১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৬:৫১:২২ অপরাহ্ন


অনন্য নজির স্থপিত হলো
ধর্মীয় আমেজ সৌহার্দ্য সম্প্রীতির নজির গড়লো সোসাইটির ইফতার
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৪-২০২৩
ধর্মীয় আমেজ সৌহার্দ্য সম্প্রীতির নজির গড়লো সোসাইটির ইফতার বাংলাদেশ সোসাইটির ইফতারে অংশগ্রহণকারীরা


প্রকৃত ধর্মীয় আমেজ এবং সৌহার্র্দ্য সম্প্রীতির অনন্য নজির স্থাপিত হলো প্রবাসের মাদার সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির ইফতার মাহফিলে। অনেকদিন পর বাংলাদেশ সোসাইটির ইফতার মাহফিলে দেখা গেল এক অনন্য নজির। এমন ইফতার মাহফিল সোসাইটির গত কয়েক বছরে হয়নি। এবারের ইফতার মাহফিলটি ছিল স্মরণকালের বৃহত্তম ইফতার পার্টি। ইফতার মাহফিলে কমিউনিটির সর্বশ্রেণি এবং সব আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য কর্মকর্তাদের সরব উপস্থিতি। সবচেয়ে আলোকিত বিষয় ছিল প্রবাসে জন্ম নেয়া এবং বেড়ে ওঠা প্রবাসের নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণে পবিত্র কোরআন প্রতিযোগিতা। রমজানের শুরু থেকেই বাংলাদেশি অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকার মসজিদ এবং মাদ্রাসা থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৬০ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে চূড়ান্ত পর্ব করা হয়। চূড়ান্ত পর্বটি অনুষ্ঠিত হয় গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশ সোসাইটির ইফতার মাহফিলে। ইফতার মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয় উডসাইডের তিব্বতি কমিউনিটি সেন্টারে। বাংলাদেশ সোসাইটির ইফতার মাহফিলে যারাই উপস্থিত হয়েছেন, তারাই অনুষ্ঠানের প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, চমৎকার, অসাধারণ, আমরা অভিভূত, আমরা আপ্লুত। চেষ্টা এবং মনস্থির করলেই সব কিছু করা সম্ভব। যা প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তারা। তবে গত সাত বছর ধরেই বাংলাদেশ সোসাইটি কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে, তবে এবারের আয়োজন সবকিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিজয়ী ১২ জনকে অর্থ পুরস্কারসহ অর্থ দেয়ার বিষয়টি দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে। প্রথম পুরস্কার ছিল ৫০০ ডলার, দ্বিতীয় পুরস্কার ছিল ৩০০ ডলার এবং তৃতীয় পুরস্কার ছিল ২০০ ডলার। সোসাইটির পাশাপাশি শাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শাহ জে চৌধুরী বিজয়ীদের হাতে ১০০ ডলার করে তুলে দেন। এসব অর্থ তুলে দেন বিচারকবৃন্দ, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজ, গোল্ডেন অ্যাজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজ, ইমিগ্র্যান্ট হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ, গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু, জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ারসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

ধর্মীয় আমেজে যেভাবে ইফতার মাহফিল হওয়ার কথা সেভাবে ইফতার মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়। মহিলাদের জন্যও আলাদা বসার ব্যবস্থা রাখা হয়। অনুষ্ঠানে সোসাইটির সাবেক ৬ সভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ছিল না কোনো বিরক্তিকর বক্তব্য। মূলত যে কোনো অনুষ্ঠানেই বক্তব্য নিয়ে, কাকে দেওয়া হলো, কাকে আগে এবং পরে দেওয়া হলো তা নিয়েই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। স্টেজ ছিল, সেই স্টেজে শোভা পায় ইমামদের আসন গ্রহণ এবং কোরআনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ। মূলত তারাই স্টেজকে আলোকিত করেছেন। আর আলোকে আলোকিত হয়েছেন বাংলাদেশ সোসাইটি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে হলে উপস্থিত প্রায় হাজারখানেক মানুৃষ। আরো উল্লেখ করার মতো বিষয় ছিল বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তারা সারাদিন হলে উপস্থিত থেকে নিজেরা রান্না করেছেন ইফতার। যে কারণে ইফতার খেয়ে সবাই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। সার্থক হয়েছে সোসাইটির কর্মকর্তাদের কষ্ট। আরেকটি বিষয় সবার দৃষ্টি কেড়েছে। আর সেটি হলো অনুষ্ঠানে স্মরণ করা হলো সাবেক সভাপতি মরহুম কামাল আহমেদ, সহসভাপতি আব্দুল খালেক খায়ের এবং আজাদ বাকিরকে।

বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকীর পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম। তিনি সোসাইটির কোরআন প্রতিযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন এবং প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ। ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আজিমুর রহমান বোরহান, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, ওয়াসি চৌধুরী, আব্দুল হাসিম হাসনু, এমদাদুল হক কামাল, কাজী আজহারুল হক মিলন, আলী ইমাম শিকদার, সাবেক সভাপতি ডা. মইনুল ইসলাম মিয়া, ডা. মানতাসুমি বিল্লাহ, আক্তার হোসেন, ডা. ওয়াদুদ ভুইয়া, নার্গিস আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, আব্দুর রহিম হাওলাদার, রাব্বী মোহাম্মদ খোকন, আতাউর রহমান সেলিম, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, সাবেক নির্বাচন কমিশনের সদস্য মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, সাবেক কর্মকতা তপন জামান, এলিন রহমান, সৈয়দ এনায়েত আলী, জে. মোল্লা সানি, আহসান হাবিব, তোফায়েল আহমেদ, মফিজুল ইসলাম রুমি, আব্দুল মান্নান, সরওয়ার খান বাবু, খান শওকত, নূরুল হক, সালামত উল্যাহ, আবুল কাশেম, নির্বাচন কমিশনের সদস্য খোকন মোশাররফ, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, রুহুল আমিন সরকার, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক, সহসভাপতি তাজু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ইউছুপ জসীম, কোষাধ্যক্ষ মহিউদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি রাফেল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ বি সিদ্দিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনূস সরকার, মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, খন্দকার ফরহাদ, শাহাদাত হোসেন রাজু, হৃদয়ে নারায়ণগঞ্জের সভাপতি প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, বগুড়া সমিতির সভাপতি মহব্বত আকন্দ, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি আতোয়ারুল আলম, কুমিল্লা সমিতির সভাপতি বদরুল হক আজাদ, জি এম জাহাঙ্গীর, ছদরুন নূর, মহসীন আহমেদ, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নূরুল আজিম, শোটাইম মিউজিকের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলম, আমিনুর রশীদ বাবু, বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী বেবী নাজনীন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জসীম ভূইয়া, হুমায়ুন কবীর, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শেফাজ, অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, হাসান জিলানী, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির আলী খান পল, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মইনুজ্জামান চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, আতিকুল হক জাকির, শাখাওয়াত বিশ্বাস, হেলাল মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, দুলাল বেহেদু, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সহসাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম,  বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিল সিনিয়র সহসভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহসভাপতি ফারুক চৌধুরী, সহসাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম ভুইয়া, কোষাধ্যক্ষ নওশাদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, ক্রীড়া সম্পাদক মাইনুল উদ্দিন মাহবুব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. শাহনাজ লিপি, সাহিত্য সম্পাদক ফয়সাল আহমদ, স্কুল ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক প্রদীপ ভট্টাচার্য, কার্যকরি সদস্য ফারহানা চৌধুরী, মোহাম্মদ আক্তার বাবুল, মোহাম্মদ সাদী মিন্টু, সুশান্ত দত্ত, শাহ মিজানুর রহমান।

শেয়ার করুন