০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০৫:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন


সাম্য ও ঐক্যের বার্তা দিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্ধোধন
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-১১-২০২২
সাম্য ও ঐক্যের বার্তা দিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্ধোধন কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের একটি মুহুর্ত/ছবি সংগৃহীত


বিশ্বের সবচে মেগা ও মর্যদাপূর্ণ আসর বিশ্বকাপ ফুটবলের পর্দা উঠলো। কাতারের রাজধানী দোহায় রোববার বিশ্বকাপের সবচে ব্যয়বহুল উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মানুষকে তাক লাগিয়ে দেয় পেট্রো ডলারের দেশ কাতার। মুসলমান দেশ হিসেবে সে ঐতিহ্যের সমাহার ঘটিয়েই অনুষ্ঠান সাঝানো। যার সুচনাটাই পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। তিলাওয়াত করেন গানেম আল মুফতাহ। 

কিন্তু চিত্রটা তুলে ধরা হয়েছে কোমলমতি শিশুদের কুরআন শিক্ষার আসরে এক ওস্তাদজীর কুরআন শিক্ষার আসর দেখিয়ে। প্রায় ৬০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে আল খোর শহরের আল বাইত স্টেডিয়ামে হলো এ উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান।  ফ্রান্সের কিংবদন্তী ফুটবলার ও ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের অধিনায়ক মার্শেল দেশাই প্রথমে বিশ্বকাপ ট্রফির প্রদর্শনী করেন স্টেডিয়ােেম স্থাপিত বিশেষ মঞ্চে। তুমুল করতালি ও হর্ষধ্বনির মাধ্যমে বিশ্বকাপ ট্রফি বরণ করে নেন দর্শকেরা। 

বিশ্বকাপ ট্রফি প্রদর্শনের পরই মঞ্চে আরোহন করেন বিখ্যাত হলিউড অভিনয় শিল্পি মরগ্যান ফ্রিম্যান। তার সঙ্গে মঞ্চে আসেন একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। এরপরই কাতারের ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতি তুলে ধরে মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী দেখান একের পর এক। একই সঙ্গে আলোকরশ্নির দুর্দান্তসব কারুকাজ দর্শক মনে দাগ কেটে দিয়েছে। 


প্রতিটা দলের জার্সী পরে প্রদর্শনী। প্রতিটা বিশ্বকাপের মাসকট। কাতার বিশ্বকাপের মাসকট লা’ইবেরও প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শিত হয় বিশাল আকারের সাদা আসকান পরিহিত এবং মাথায় সাদাকালো এ্যারাবিয়ান ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি। কাতারের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য তুলে ধরার পর মঞ্চে আসেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীগোষ্ঠী বিটিএসের শিল্পী জুং কুক। তার সঙ্গে গানে অংশ নেন কাতারি সংগীত শিল্পী ফাহাদ আল কুবাইসি।

এভাবে চলতে থাকার এক পর্যায়ে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির শীর্ষ কর্মকর্তা কাতারের শাসক শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুমের আরবীতে স্বাগত ভাষন এর মধ্য দিয়ে শুরু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান । এর পর অণ্যান্য কার্যক্রমের সঙ্গে ছিল আতশবাজির অপূর্ব ও মনমুগ্ধকর সব প্রদর্শনী।  

প্রায় ৬০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে ৮৪৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এ স্টেডিয়াম থেকেই বার্তা দেয়া হয় ফিফা ২০২২ বিশ্বকাপের সুচনা ধ্বনি। তবে অনুষ্ঠানের মুল বার্তা ছিল সাম্য ও ঐক্যের বার্তা। 



এর আগে এ অনুষ্ঠান কেমন হবে সেটা নিয়ে ছিল কৌতুহল। সম্পুর্ন গোপন রেখে আয়োজকরা প্রস্তুতি গ্রহন। মাঠে চমৎকার পারফরমেন্সের মধ্যদিয়ে সকল সমালোচনার জবাব দিয়ে দারুন এক অনুষ্ঠান উপহার দেন আয়োজক কাতার। 

এরপর স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডর এর মধ্যে অনুষ্টিত হয় খেলা। এতে ইকুয়েডর প্রথমার্ধের দেয়া দুই গোলে জয় লাভ করে। 

 


শেয়ার করুন