২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:০২:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


রুচির দুর্ভিক্ষ?
সালেক সুফি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৪-২০২৩
রুচির দুর্ভিক্ষ? হিরো আলম


ইদানীং বাংলাদেশে প্রিয় প্রসঙ্গ রুচির দুর্ভিক্ষ। রুচিশীল বা রুচিহীন দুই ধরনের মানুষ পক্ষে বা বিপক্ষে বলে মিডিয়ায় নিজেদের জাহির করছে। আমরা পুরোনো যুগের মানুষ। ১৯৬০ স্কুল, ১৯৭০-এর প্রথম ভাগে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেষভাগে চাকরি জীবনে প্রবেশ করি। আমাদের ছাত্রজীবনে সোশ্যাল মিডিয়া বলে কিছু ছিল না। ইলেকট্রনিক মিডিয়া বলতে রেডিও বাংলাদেশ এবং পিটিভি। 

ঢাকা কথাই নেই দেশের পল্লী প্রান্তরে যাত্রা পালা গান হতো, স্কুল-কলেজে বার্ষিক নাটক, সাহিত্য সভা, সামাজিক অনুষ্ঠান হিসেবে নাটক, যাত্রা, পুতুল নাচ হতো। সারা দেশে স্নিগ্ধ সুশীল রুচিসম্মত ছায়াছবি দেখানো হতো। খুব কম মানুষের ঘরে টেলিভশন ছিল। দলবেঁধে মানুষ কারো বাসায় সপ্তাহে এক দিন, দুই দিন নাটক এবং ছায়াছবি দেখতে যেতো। তখন কিন্তু রুচিহীনতা ছিল না। 

প্রবীণদের, শিক্ষকদের সম্মান দেখানো হতো। স্বাধীনতার পর ‘আবার তোরা মানুষ হ’ রুচি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ১৯৮০ দশকের মাঝামাঝি থেকে শিক্ষাঙ্গনে দলবাজি, দখলবাজি, মাস্তানি শুরু হলো। সংক্রমণ ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়লো দেশব্যাপী। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ মুছে গেল। অর্থ-পেশি সমাজে তথা দেশে ক্ষমতা অর্জনের মাপকাঠি হয়ে দাঁড়ালো। রাজনীতি চলে গেল অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে। ধীরে ধীরে শিল্প-সংস্কৃতি গ্রাস করলো অপসংস্কৃতি। 

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যানসারের মতো ছড়িয়ে পড়ছে অপসংস্কৃতি। দেশের প্রশাসনে যেমন সমাজ জীবনের সব ক্ষেত্রেই চর দখলের সংস্কৃতি। শিষ্টের দমন আর দুষ্টের তোষণ যেখানে নীতি সেখানে রুচির দুর্ভিক্ষ সঙ্গায়িত করা নিষ্প্রয়োজন। আমি হিরো আলমের কথা বলছি না বা প্রবীণ নাট্যকারকে নিয়েও কোনো কথা বলবো না। 

প্রশ্ন করবো সরকার, সরকারি দল বা প্রধান বিরোধী দলগুলোর নেতানেত্রীদের বা তাদের লেজুরবৃত্তিকারী তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের কেন বাংলাদেশের মতো সম্ভাবনাময় দেশে রুচিহীনতা সর্বত্র? কেন সর্বগ্রাসী দুর্নীতি গ্রাস করছে প্রিয় মাতৃভূমিকে?  রুচিহীনতা নিয়ে ডিজিটাল দেশ বা স্মার্ট দেশ হয়ে কি লাভ হবে?

শেয়ার করুন