০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০৪:৩৪:২৭ অপরাহ্ন


জবি ছাত্রী খাদিজাকে মুক্তির দাবি অ্যামনেস্টির
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৮-২০২৩
জবি ছাত্রী খাদিজাকে মুক্তির দাবি অ্যামনেস্টির


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এক বছর ধরে কারাবন্দি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

গত ২৮ আগস্ট সোমবার এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টির অন্তর্বর্তীকালীন দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপপরিচালক নাদিয়া রহমান এ আহ্বান জানান। নাদিয়া রহমান বলেন, ‘খাদিজার বারবার জামিন আবেদন নাকচ এবং বছরব্যাপী কারাবন্দিত্ব বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের একটি নিদারুণ ঘটনা। তার বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা এবং ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করার কথা। তার কারাগারে বসে একটি দমনমূলক আইনের মাধ্যমে ভাগ্যে কী ঘটবে, সেজন্য অপেক্ষায় থাকার কথা নয়।’

অ্যামনেস্টির এই কর্মকর্তা আরো বলেন, খাদিজার এই আটকাবস্থা এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষের সমালোচনাকারী ব্যক্তিদের কথা বলার সুযোগ সংকুচিত করা হচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভিন্নমতের ব্যক্তিদের জন্য খারাপ নজির তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকার দমনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করলেও কর্তৃপক্ষ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সরকারের সমালোচনাকারী ও অধিকারকর্মীদের হয়রানি করতে এই আইন প্রয়োগ করছে বলে অভিমত দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বিবৃতিতে নাদিয়া রহমান বলেছেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে খাদিজাকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে যারা শুধু শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারের চর্চার জন্য এভাবে বন্দি আছেন, তাদেরও মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় খাদিজাতুল কুবরাকে ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়। এ সময় খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। গত এক বছরে তার আর জামিন হয়নি। এক বছর ধরে তিনি গাজীপুরে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

শেয়ার করুন