৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৪:০৮:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


মহানগর উত্তর বিএনপির অনুষ্ঠানে মিজানুর রহমান
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শপথ হোক হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৯-২০২৩
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শপথ হোক হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কেক কাটার দৃশ্য


প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শপথ হোক স্বৈরাচারী হাসিনা বা হায়েনা মুক্ত বাংলাদেশ। স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের বাংলাদেশের জনগণের হাতে তুলে দিতে হবে। স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হলে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্ত হবে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীরের ন্যায় বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে নেতৃত্ব দেবেন। গত ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা ব্রঙ্কসের আলাক্সা চাইজিনের পার্টি হলে অনুষ্ঠিত নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিএনপি কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া এ সব কথা বলেন।

নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আহবাব চৌধুরী খোকনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ফয়েজ চৌধুরী ও মইন উদ্দিন নটোর পরিচালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া। প্রধান বক্তা ছিলেন বরিশাল জাতীয়তাবাদী ফোরামের আহ্বায়ক ডা. আব্দুস সবুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক মহানগর উত্তরের যুগ্ম-আহ্বায়ক এ জি এম আব্দুস সবুর, ইমরান শাহ রন, শরিফুল খালিসদার, সৈয়দ গৌছুল হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা আব্দুস সবুর, শাহ আলম, আনোয়ার জাহিদ, মানিকুজ্জামান মানিক, ব্রঙ্কস মহানগর বিএনপির পূর্বের আহ্বায়ক লিয়াকত আলী, পশ্চিমের আহ্বায়ক আনোয়ারুল আলম ভূইয়া, মমতাজ আহমেদ, আক্তারুজ্জামান হ্যাপি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শরিফ হোসেন, মীর মিজান, পূর্বের সদস্য সচিব মোহাম্মদ সোলায়মান, পশ্চিমের সদস্য সচিব এস রহমান দুলাল, মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর, শাহ কামাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পূর্ব এবং পশ্চিমের সদস্য সচিব তাদের কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন অনুষ্ঠানের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের এই দিনে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশের প্রয়োজনে তিনি বারবার সামনে এসেছিলেন। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতার লোকে পাকিস্তানী আর্মিদের কাছে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে অবস্থান করছিলেন। সোজা কথা তিনি স্বেচ্ছায় ৯ মাস কারাবরণ করেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার তার বাবার পথ অনুসরণ করছেন। শেখ মুজিব বাংলাদেশের সব দল বন্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন, এখন শেখ হাসিনাও বাংলাদেশে এক প্রকার বাকশাল কায়েম করছেন। আজকে বিচার বিভাগ তার ফরমায়েশি আদালতে পরিণত হয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশের সাবেক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দিয়েছে, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার বেগম জিয়াকে জেলে রেখে শান্তি পাচ্ছেন না, তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না, তাকে স্লো পয়জনিং দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বনির্ভর বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন, আর শেখ হাসিনা সেই বাংলাদেশকে ভারতের তাবেদার সরকারে পরিণত করেছেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন, আর শেখ হাসিনা গণতন্ত্র হত্যা করেছেন। বাংলাদেশে এখনো জনপ্রিয় দল বিএনপি। তারেক রহমান জনপ্রিয় নেতা। তিনি প্রবাসে বসেও বিএনপিকে শক্তিশালী করেছেন। তিনি নিন্দা জানান ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে হাসিনার পেটোয়া পুলিশ বাহিনী বিএনপির দেড় হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতারে। তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির মতো বিশাল র‌্যালির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া বলেন, আমি পদ চাই না, শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করতে চাই।

প্রধান বক্তা ডা. আব্দুস সবুর বলেন, বাংলাদেশের মহানায়ক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের দাবি একটাই শেখ হাসিনার পদত্যাগ।

আহবাব চৌধুরী খোকন বলেন, আমরা যখন লন্ডন গিয়েছিলাম, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আপনাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আজকের এই দিনে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। খালেদা জিয়া গণতন্ত্র উপহার দিয়ে আজকে জেলে, তারেক রহমান জনগণের কথা বলতে গিয়ে নিবার্সিত। আজকে আমি ঘোষণা করছি, জাতিসংঘের সামনে আমাদের স্মরণকালে বৃহৎতম বিক্ষোভ সমাবেশ হবে যখন শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন। এই বিক্ষোভ সমাবেশে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

ফয়েজ চৌধুরী অনুষ্ঠানকে সফল এবং সার্থক করার জন্য ব্রঙ্কস মহানগর বিএনপির পূর্ব এর্ব পশ্চিমের নেতৃবৃন্দ ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে হলভর্তি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। স্থান না থাকায় অনেকেই অডিটোরিয়ামে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন উড়ান প্রধান অতিথি মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া।

অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন আব্দুর রহিম, কোরআন তেলাওয়াত করেন মানিকুজ্জামান। পরিবেশন করা হয় বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীত। সেই সঙ্গে পরিবেশন করা হয় দলীয় সংগীত।

শেয়ার করুন