২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১১:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ন


‘দ্য বারী স্টেটে’ মেয়র অ্যাডামস, বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৯-২০২৩
‘দ্য বারী স্টেটে’ মেয়র অ্যাডামস, বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা মেয়র এরিক অ্যাডামসকে স্বাগত জানাচ্ছেন বারী পরিবারের সদস্যরা


নিউইয়র্কের স্বনামধন্য হোম কেয়ার বারী হোম কেয়ারের কর্ণধার আসেফ বারী এবং মুনমুন হাসিনা বারীর লং আইল্যান্ডের বাস ভবনে গিয়েছিলেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার প্রায় দুই বছরের মাথায় প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশির বাড়িতে গেলেন সিটি মেয়র। গত ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘দ্য বারী স্টেটে’ গিয়ে মেয়র নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের উত্থানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ‘দ্য বারী স্টেট’ ঘুরে দেখে তিনি অভিভূত হন। এ সময় মেয়র এরিক অ্যাডামসের সম্মানে আয়োজন করা হয় ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানের। এতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, আমি যখন মেয়র হিসেবে নিউইয়র্কে দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন এই সিটি ছিল একটি ভঙ্গুর সিটি। কিন্তু দিনে দিনে সেই ভঙ্গুর অবস্থা থেকে আমরা সবাই মিলে এ সিটিকে টেনে তুলতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, নিউইয়র্কে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশিরা অব্যাহতভাবে সবকিছুতে ভালো করছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি, কৃষ্টি কালচারে তাদের টেনে ধরার সময় নেই, তারা নিজ গুণ, দক্ষতা এবং পরিশ্রমে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং নিউইয়র্ক তথা, আমেরিকা বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। মেয়র বলেন, বর্তমানে নিউইয়র্ক সিটিতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার চাকরির পদ খালি রয়েছে। এসব পদে বাংলাদেশিরা চাকরির অনায়াসে সুযোগ নিতে পারেন।

আসেফ বারীর প্রশংসা করে মেয়র বলেন, বাংলাদেশিরা ব্যবসা-বাণিজ্যের অভাবনীয় সাফল্য দেখাচ্ছেন তা ইতিবাচক এবং অনেক লোকের কর্মস্থান সৃষ্টি করায় তা প্রশংসার দাবিও রাখে। অতীতের মতো আগামীতেও মেয়র অ্যাডামস বাংলাদেশিদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

‘দ্যা বারী স্টেট’ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আসেফ বারী এবং মুনমুন বারী। তারা বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি কোন বাড়িতে মেয়রের আগমনে তারা সম্মানিতবোধ করছেন। একই সঙ্গে তারা নির্বাচনসহ সব বিষয়ে মেয়রের হাতকে শক্তিশালী করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আসেফ বারী ও মুনমুন বারীর তিন সন্তান মুহিব বারী, সাবা বারী ও আদি বারী ছাড়াও জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন জেবিবিএর প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ, মেয়র এরিক অ্যাডামসের ভাই ব্রায়ান অ্যাডামস বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন শামসুন নাহার নিম্মি। এছাড়া মঞ্চে ছিলেন রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর ও ইস্টার্ন ইনভেস্টমেন্টের কর্ণধার নুরুল আজিম।

অনুষ্ঠান শেষে ‘দ্য বারী স্টেট’ দীর্ঘসময় ঘুরে দেখেন মেয়র। তিনি অনুষ্ঠানে আগতদের সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে ছবি তোলেন। মেয়র এরিক অ্যাডামস আসেফ বারীর অফিস কক্ষে গিয়ে কিছু সময় ব্যয় করেন এবং অটোগ্রাফ দেন। প্রায় ২ ঘণ্টা বাংলাদেশিদের সঙ্গে নির্মল সময়ে কাটিয়ে রাত ১০টার দিকে ‘দ্য বারী স্টেট’ ত্যাগ করেন বিশ্বের রাজধানীখ্যাত নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস।

এরিক অ্যাডামসের ‘দ্য বারী স্টেটে’ আগমন নিয়ে উপস্থিত সবাই আসেফ বারী ও মুনমুন বারীর প্রশংসা করেন এবং বলেন ‘আপনাদের সুবাদে’ আমরা মেয়রকে এত কাছে পেয়েছি। অনুষ্ঠান শেষে মেয়র এবং উপস্থিত সবাই নৈশভোজে অংশ নেন। ‘দ্য বারী স্টেটে’ প্রবেশের সময় লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং ফুল দিয়ে মেয়র এরিক অ্যাডামসকে স্বাগত জানান আসেফ বারী, মুনমুন হাসিনা বারী, মুহিব বারী, সাবাহ বারী ও আদি বারী। নৈশভোজসহ পুরো অনুষ্ঠানে উপস্থিতিকে আন্তরিকতা দিয়ে মুগ্ধ করেন আসেফ বারী ও মুনমুন বারী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন গিয়াস আহমেদ, সিইও ইমিগ্র্যান্ট এল্ডার হোম কেয়ার অ্যান্ড চেয়ারম্যান ফোবানা, নুসরাত আহমেদ-চেয়ারম্যান ইমিগ্র্যান্ট এল্ডার হোম কেয়ার, নুরুল আজিম-রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর, কেভিন থমাস-স্টেট সিনেটর ডিস্ট্রিক্ট ৬, তারেক হাসান খান-সিইও গ্লোবাল মাল্টি সার্ভিসেস, এআরএম রকিব উদ্দিন-প্রেসিডেন্ট এবং সিইও স্টপ অ্যান্ড কার, জিয়া খান- চেয়ারম্যান, স্ট্যান প্রোপার্টিজ, জুবার চৌধুরী, বাটারফ্লাই এসডিসির নির্বাহী পরিচালক, প্রিন্স রায়হান-ব্যবসায়ী, জে এফ এম রাসেল, রিয়েলিটর, রকি আলিয়ান, সিইও স্টার ফার্নিচার, সৈয়দ হক (শাকিল)-ব্যবসায়ী, মোহাম্মদ আবুল কাশেম- সিইও মাদানী ডিস্ট্রিবিউটর, আশরাফুজ্জামান-সেক্রেটারি নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, এনামুল হক এনাম, সম্পাদক-অর্থকণ্ঠ, মামুন মির্জা রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক-ব্যবসায়ী, মো. মেহেরুজ্জামান জেফলিন, চেয়ারম্যান জে এ পি জেনস, মোহাম্মদ চৌধুরী, সিইও ডি স্কুল, ড. মো. মফিজুর রহমান, সিইও ব্লু গ্রিন ইন্স্যুরেন্স, বার্নি অ্যাডামস অ্যান্ড শ্যারন, মেয়র এরিক অ্যাডামসের ভাই। মুহাম্মদ আশরাফ, সাবেক চেয়ারম্যান চঅঝঘণ (পাকিস্তানি আমেরিকান সোসাইটি অব এনওয়াই)। সেরিনা ইউনুস, ডেমোক্রেটিক পার্টির কমিউনিটি অর্গানাইজার ফর টাউন অব হান্টিংটন, এহতেশাম সৈয়দ, টমাস জয়, সাফোক কাউন্টি পুলিশ বিভাগ, আহসান হাবিব, জোন চেয়ার, লায়ন্স ক্লাব, উ ২০-জ২ ৩৩, আশরাফুজ্জামান মোহাম্মদ আবদুল হান্নান, আলমগীর খান আলম, ঈঊঙ: শোটাইম মিউজিক, নবযুগের সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাগর, সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, ফটোসাংবাদিক নিহার সিদ্দিক, সাইফুর রহমান ভান্ডারি রাজ, এক্স-এমপি, অ্যালেক্স জুজিয়াস এমডি ফ্যানস ও জোয়েলি মারেরো জুজিয়াস, পিএইচডি, মোহাম্মদ আবুল কাশেম, নাসির খান পাল, সাইফুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট নিউইয়র্ক বাংলাদেশি আমেরিকান লায়ন্স ক্লাব।

শেয়ার করুন