বেনাপোল
এক্সপ্রেস ট্রেনের আগুনের ঘটনাকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ অভিহিত করে জাতিসংঘের
মাধ্যমে তদন্তের দাবি করেছে বিএনপি। ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শনিবার দলটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দেয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন,
“পৃথিবীর সকল স্বৈরাচারই ভিন্নমতকে দমন করার জন্য সন্ত্রাস ও নাশকতার
পন্থা অবলম্বন করে থাকে। দেশে দেশে স্বৈরশাহী মানবতাবোধ শূন্য ও অনুভুতিহীন
হয়ে থাকে। আজকে দুস্কৃতিকারীদের দ্বারা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন
লাগিয়ে যে ধ্বংস ও বিপদের পথ উন্মোচন করা হল তাতে দেশ ও জাতিকে এক গভীর
খাদের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পুরানো খেলায় মেতেছে সরকার
“একতরফা নির্বাচন আয়োজন করতে গিয়ে সরকার পুরনো খেলায় মেতে উঠেছে। সরকার আবারও আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে।” বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে ওই কথা বলেন বিএনপি নেতা। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের বর্জনের ডাকে শনিবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টা হরতালের শুরুতে শাহবাগ এলাকায় ঝটিকা মিছিলের আগে এ কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন,আগেও অগ্নিসন্ত্রাসের নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছিল। গতকাল (শুক্রবার) বেনাপোলে এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড এবং হতাহতের ঘটনা সরকারি সেই পুরনো খেলার অংশ বলে জনগণ বিশ্বাস করে।
“এই অমানবিক ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ও দুরভিসন্ধিমূলক। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্র্রেনে আগুন লাগিয়ে হতাহতের ঘটনা নিঃসন্দেহে নাশকতামূলক কাজ এবং মানবতার পরিপন্থি এক হিংস্র নিষ্ঠুরতা। আমি এই ঘটনায় ধিক্কার জানাই, তীব্র নিন্দা জানাই।”
রোববার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এই ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে ভোটের দিন ও এর আগের দিন হরতাল ডেকেছে বিএনপি। এই কর্মসূচি
শুরুর আগের রাতে ঢাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়। এতে ট্রেনের তিনটি বগি পুড়ে প্রাণ যায় ৪ জনের।
মিছিল থেকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, “৭ জানুয়ারি নির্বাচন কোনো নির্বাচন নয়, এটি আসলে ভাগবাটোয়ারার ডামি নির্বাচন। ভোটারদের প্রতি আমাদের আহ্বান, কালকে (রোববার) কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবে না, এই ভোটকে না বলুন। সকলে নিজের নিজের বাড়িতে থাকুন।”
২০/৩০ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে শাহবাগ সড়কে পরীবাগের মোড় থেকে মিছিল বের করেন রিজভী। নির্বাচন বিরোধী স্লোগান দিয়ে কিছুক্ষণ পর তারা সেখান থেকে চলে যান।