২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৪:০৩:১৯ পূর্বাহ্ন


আফরিন আক্তার ঢাকায় যাচ্ছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের সিরিজ সফর
বাংলাদেশ নিয়ে আবারও সরব হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০২-২০২৪
বাংলাদেশ নিয়ে আবারও সরব হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র আফরিন আক্তার ও ডোনাল্ড লু


মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একাধিক কর্মকর্তার ঢাকা সফর নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। দ্বাদশ নির্বাচন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবজারভেশন থাকলেও বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত যুদ্ধে রূপ নেওয়া, সীমান্ত পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠা, ফের রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুতির আশঙ্কা তথা, দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে আচমকা উদ্বেগ তৈরির প্রেক্ষাপটে ঢাকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ওয়াশিংটন। এমনটাই বলছে, ওয়াকিবহাল কূটনৈতিক সূত্র। এ নিয়ে বিভিন্ন লেভেলে আলোচনা শুরু হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে সিরিজ সফরে আগ্রহী মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ও জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। সেগুনবাগিচা স্বীকার করেছে যে, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সফরগুলো শুরু করতে চায় ওয়াশিংটন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপে সম্প্রতি কারা বলেন, তবে চলতি মাসে কোন কোন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করবেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ওয়াশিংটনের একাধিক সূত্র বলছে, দিনক্ষণ সুনির্দিষ্ট অর্থাৎ সফরসূচির অনেক কিছু এখনো চূড়ান্ত না হলেও চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার ঢাকা সফর করতে পারেন এমন ধারণা দেওয়া হয়েছে। 

কাছাকাছি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তাও সফর করতে পারেন বলে আভাস মিলেছে। তবে দুটি সফর একসঙ্গে হবে, না আলাদা তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে দেখভালকারী ঢাকার এক কর্মকর্তা বলেন, দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুও বাংলাদেশ সফরে আগ্রহী।

তবে সফরটি কবে তা এখনো জানায়নি ওয়াশিংটন। তার ধারণা, লু পাকিস্তান সফর করতে পারেন। সেই সুবাদে হয়তো তিনি বাংলাদেশ ঘুরে যাবেন। এদিকে বহুল আলোচিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত নতুন সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে কাজ করার পরিকল্পনা করছে-এমন প্রশ্নে ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার ওয়াশিংটনে বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করার দিকে মনোনিবেশ করছে যুক্তরাষ্ট্র। লক্ষ্য অর্জনে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে রয়েছে, মুক্তগণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও শ্রম সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাজ করা এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনে উদ্বুদ্ধ করা। এগুলো বাংলাদেশকে আরো বেশি গণতান্ত্রিক হতে সাহায্য করবে বলে মনে করে ওয়াশিংটন। 

আফরিন আক্তার বলেন, আমরা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের বিষয়গুলোকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাই। এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত দাবি করে আফরিন আক্তার বলেন, আমরা বাংলাদেশের কৃষকদের সঙ্গে কাজ করছি। শ্রমিক সংগঠকদের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা সুশীল সমাজের সমস্ত অংশীজনকে নিয়ে কাজ করছি। এটি করার ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে সত্যিকারার্থে নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণ করা, দীর্ঘমেয়াদে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখে সন্তুষ্ট হয়েছেন জানিয়ে মার্কিন উপসহকারী মন্ত্রী বলেন, যা সত্যিই অর্থনৈতিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া, বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, শ্রমিক এবং জনগণের সঙ্গে কাজ করা, আমাদের দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা যা করার চেষ্টা করছি তার অনেক কিছুই প্রতিফলিত করে। 

বাংলাদেশ অবশ্যই শান্তিরক্ষায় (পিস মিশন) আমাদের অন্যতম বৃহত্তম অবদানকারী এবং আমরা সেই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে পেরে খুবই আনন্দিত। এদিকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা সংকট ও মিয়ানমারে চলমান অস্থিরতা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতকে সতর্ক করেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক ‘ইউএস ইনস্টিটিউট অব পিস’ (ইউএসআইপি)-এ বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল ও পেন্টাগনের অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওই আলোচনা হয়। সেখানে তিনি বলেন, মিয়ানমার পরিস্থিতির সহসাই উন্নতি হচ্ছে না। এ কারণে বাংলাদেশ ও ‘সম্ভবত ভারতের জন্যও’ যে শরণার্থী সংকট ও নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা সামনে আরো গভীর হতে পারে।


আফরিন আক্তার

ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার আগামী সপ্তাহে ঢাকায় যাচ্ছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার প্রথম ঢাকা সফর। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আফরিন আক্তার ২৪ ফেব্রুয়ারি তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে যেতে পারেন। সংসদ নির্বাচনের আগে গত অক্টোবরে আফরিন আক্তার ঢাকা সফর করেন। নির্বাচনের আগে সেটাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার শেষ বাংলাদেশ সফর।

কূটনেতিক সূত্র জানিয়েছে, তিন দিনের ঢাকা সফরের সময় আফরিন আক্তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা অনু বিভাগ) খন্দকার মাসুদ আলমের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করবেন। এর পাশাপাশি পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ তথা আওয়ামী লীগ সরকারের মতপার্থক্য রয়েছে। নির্বাচনের আগে ও পরে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি। এমন এক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে তিনি দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ‘ঐকান্তিক ইচ্ছার’ কথা উল্লেখ করেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, আফরিন আক্তার বাংলাদেশ সফরের সময় একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীর পাশাপাশি মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি আলোচনায় আসতে পারে।

গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে এসেছিলেন আফরিন আক্তার। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রত্যাশার কথা অব্যাহতভাবে বলে যাচ্ছে। দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের শান্তিপূর্ণ উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্র জোর দিচ্ছে।

নির্বাচন নিয়ে দুই দেশের মতপার্থক্য, এ নিয়ে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তাদের অবস্থানের সঙ্গে জো বাইডেনের চিঠির গুণগত পার্থক্য রয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে নির্বাচনের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এ নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকেরা বলছেন, ডেমোক্রেটিক পার্টির পররাষ্ট্রনীতিতে গণতন্ত্র, সুশাসনের মতো মূল্যবোধের বিষয়গুলো সব সময় থাকবে। তবে বাংলাদেশের নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতিতে অংশীদারিত্বের বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র সামনে রাখবে।


ডোনাল্ড লু ফের দৃশ্যপটে 

রোহিঙ্গা সংকট ও মিয়ানমারে চলমান অস্থিরতা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতকে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। সম্প্রতি তিনি ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক ‘ইউএস ইনস্টিটিউট অব পিস’ (ইউএসআইপি)-এ বক্তব্য রাখেন। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল ও পেন্টাগনের অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। সে সময়ই তিনি বলেন, মিয়ানমার পরিস্থিতির সহসাই উন্নতি হচ্ছে না। এ কারণে বাংলাদেশ ও ‘সম্ভবত ভারতের জন্যও’ যে শরণার্থী সংকট ও নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা সামনে আরো গভীর হতে পারে। হিন্দুস্তান টাইমসের এক রিপোর্টে এ খবর দেওয়া হয়েছে।

ডোনাল্ড লু বলেন, আমি বাংলাদেশ ও সেখানে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বার্মায় চলমান অস্থিরতা এই অঞ্চলের জন্য কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে অনেক সময় ব্যয় করেছি। ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার জন্য ঢাকা যে উদারতা দেখিয়েছে তাকে সমর্থন দিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে। অসাধারণ এই উদারতা দেখার জন্য আমি বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির কক্সবাজার পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। আমি এসব শরণার্থীর নিজ দেশে ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোর একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছি। এরপরই লু উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, তবে বার্মার পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না।

এতে করে বাংলাদেশ ও সম্ভবত ভারতের জন্যও শরণার্থী সংকট ও নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এই সমস্যা সামনে আরো গভীর হতে পারে। এ নিয়ে আমাদের চোখ খোলা রাখতে হবে এবং এই অঞ্চলে বাংলাদেশ ও ভারতের মতো আমাদের অংশীদারদের সমর্থন করতে হবে, যাতে করে তারা তাদের দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা বাড়তে না দিয়ে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারে।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ছাড়াও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের আরো নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন লু। তিনি শ্রীলঙ্কার প্রশংসা করার পাশাপাশি মালদ্বীপকে চীনের ফাঁদ সম্পর্কে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, বেইজিং যদি অন্য কোনো দেশের সঙ্গে সত্যিকারের প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতো, তাহলে তারা মালদ্বীপের মূল্যবান অংশীদার হতে পারতো। লু ভারত মহাসাগর এলাকায় ভারতের নেতৃত্বের বিষয়টি মেনে নিয়ে দেশটির সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। 

শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গে লু বলেন, মাত্র দেড় বছর আগেও শ্রীলঙ্কা সংকটে ডুবে ছিল। রাস্তায় দাঙ্গা হচ্ছিল। খাদ্য ও পেট্রলের জন্য দীর্ঘলাইনে দাঁড়াতে হচ্ছিল। এরপর বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাড়ি দখলে নিলো এবং তার পুলে সাঁতার কাটলো। কিন্তু এখন যদি আপনি শ্রীলঙ্কা যান, দেখবেন এটি পুরো আলাদা একটি দেশ। মুদ্রা এখন স্থির, পণ্য ও জ্বালানির দামও স্বাভাবিক। লু বলেন, বন্ধুদের থেকে সাহায্য পেয়েই শ্রীলঙ্কা এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। ভারত ও অন্য কিছু দেশ গিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ঋণসহায়তা দিয়েছে। যার ফলে শ্রীলঙ্কা তার সব থেকে কঠিন সময়েও গুরুত্বপূর্ণ আমদানিগুলো অব্যাহত রাখতে পেরেছিল। ইউএসএইড সে সময় শত শত মিলিয়ন ডলারের কৃষি পণ্য, সার ও বীজ সরবরাহ করেছে। যাতে কৃষকরা তাদের নিজেদের ফসল নিজেরা উৎপাদন করতে পারে।

শেয়ার করুন