০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ১০:৪৫:০২ পূর্বাহ্ন


অযৌক্তিক নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৩-২০২৪
অযৌক্তিক নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত


ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও (নির্বাচন আচরণ) খসড়া সংশোধন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে সরকারের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির মতবিনিময় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, উপজেলা পরিষদে জামানতের অংকের পরিমাণ কেবল অযৌক্তিক নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও (নির্বাচন আচরণ) খসড়া সংশোধন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে মতবিনিময়ের জন্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি’র নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচন কমিশনারদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে এক লিখিত বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির তরফ থেকে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে এক লক্ষ টাকা ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা জামানত নির্ধারণ করায় কেবল বিত্তবানরাই উক্ত নির্বাচন করতে পারবে, অন্য কেউ নয়। ওয়ার্কার্স পার্টি বক্তব্যে বলা হয় যেখানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামানত ২০ হাজার টাকা সেখানে উপজেলা পরিষদে জামানতের অংকের পরিমাণ কেবল অযৌক্তিক নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর মধ্য দিয়ে উপজেলা পরিষদের মত স্থানীয় সরকার নির্বাচন সাধারণ প্রার্থী ও জনগণের নাগালের বাইরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ওয়ার্কার্স পার্টির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের খসড়া সংশোধনী প্রস্তাব করে উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ বহাল রাখার সুপারিশ করা হয়।

ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবে কালো-সাদা পোস্টারের পরিবর্তে রঙিন পোস্টারের বিধানও বাতিল করার কথা বলা হয়। অনলাইনে মনোনয়ন প্রদানসহ নির্বাচনে টাকার খরচ নিয়ন্ত্রণ করা, নির্বাচনে সকলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, নির্বাচনে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, নির্বাচনকে সন্ত্রাস, পেশী শক্তির প্রভাব ও দুর্বৃত্তামুক্ত মুক্ত করা, ভোটার তালিকা থেকে যুদ্ধাপরাধী, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সংগঠনের সদস্য, জঙ্গী তৎপরতার যুক্ত ব্যক্তি, রোহিঙ্গাদের বাদ দেয়ারও সুপারিশ করা হয়। 

নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কালো টাকা, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ, নির্বাচনী আইন প্রয়োগে অপ্রতুলতা, ভোটারদের অনাগ্রহের বিষয়সমূহ উঠে আসে।

নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়, এই সব সংস্কার করতে ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। এই প্রসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টি সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পূর্বতন দাবী পুনর্ব্যক্ত করেন। 

আলোচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনারগণ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিবুর খান (অবঃ), মোঃ আলমগীর রহমান, মোঃ আনিছুর রহমান ও নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন। ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি, সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা, পলিটব্যুরোর সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন