৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ৬:১৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


সরকারের হানিমুনের সময় কী হচ্ছে বাংলাদেশে
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৪-২০২৪
সরকারের হানিমুনের সময় কী হচ্ছে বাংলাদেশে


কিছু দিন ক্রমাগত এখানে সেখানে আগুন। একটি দুটি হলে দুর্ঘটনা বলা যেতো। কিন্তু যখন ক্রমাগত হতে থাকে তখন অন্তর্ঘাত বলে সন্দেহ মনে জাগে। কেন আগুনে পুড়ে মানুষ মরলো, সম্পদ ধ্বংস হলো কোন কূলকিনারা পাওয়া গেলো না। এর আগে নির্বাচনের সময় বাস ট্রেনে আগুন দেওয়া হলো। এ নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, রাজনৈতিক বাহাস। তারপর সবাই ভুলে গেলো। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদীর সরবরাহের ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেটের কারসাজিতে মূল্য সন্ত্রাস চলছে সরকারের বহু ধরনের কার্যক্রম সত্ত্বেও। দুনিয়ার মুসলিম-অমুসলিম বহু দেশে রমজানের সময় বিশেষ মূল্যহ্রাস থাকলেও বাংলাদেশে মূল্য সন্ত্রাস। রমজানের অধিকাংশ সময় আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও শেষ দিকে এসে যেই না গরম বাড়লো, অমনিই দেশ জুড়ে অসহনীয় বিদ্যুৎ লোডশেডিং। 

ঈদ যাত্রায় বাস, ট্রেন, জলযানে পর্যাপ্ত টিকিট ও সংগ্রহে স্বস্তি নেই। রাস্তায়ও মিলছে অস্বস্থির খবর। এরই মাঝে কুকি-চীন নাম একটি সন্ত্রাসী সংগঠন তান্ডব করলো বান্দরবনে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল ঠিকাদারের গুদামে ডাকাতির চেষ্টা। সরকারি ছাত্র সংগঠন হঠাৎ করে শান্ত বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনীতি করার অভিলাস। বিরোধী দলগুলো ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশের ঘোষণা করেছে। এগুলো সব তাহলে কি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নাকি পারস্পরিক সম্পর্ক যুক্ত কোনো মহলের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র? এত সব ডামাডোলের মাঝে শেয়ার মার্কেট থেকে নতুন করে অর্থ লোপাট ঘটনা আড়ালে রয়ে গেছে। 

যেভাবেই হোক নির্বাচনের পর পুরোনো সরকার নতুন ভাবে এসে অর্থনৈতিক ধস সামাল দিতে নানা প্রচেষ্টা নিয়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণে জন জীবনে কিছু অস্বস্তি থাকলেও দুনিয়ার অনেক দেশ থেকে সার্বিক পরিবেশ ভালো বাংলাদেশে। ২০২৩ থেকেও কিন্তু অন্তত রমজান মাসের অধিকাংশ দিন বিদ্যুৎ মহাসঙ্কট থেকে মুক্ত ছিল বাংলাদেশ। কেন কিছুদিন হঠাৎ করে আগুনে পুড়লো মানুষ, ধ্বংস হলো সম্পদ? 

এবার আসুন ভারতীয় পণ্য বর্জনের অবাস্তব আন্দোলন প্রসঙ্গে। যেখানে চাল, ডাল, মসলা, ভোজ্য তেল, লবন, চিনি, পোশাক, শিল্পের কাঁচামাল থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, পেট্রোলিয়াম জাত দ্রব্য ভারত থেকে আসে। সেখানে হঠাৎ করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন কাদের স্বার্থে? আমি নিঃসন্দেহে ভারতের উপর একান্ত নির্ভরশীলতার ঘোর বিরোধী। কিন্তু তাই বলে কঠিন সময় প্রভাবশালী প্রতিবেশীর সঙ্গে বৈরিতা সৃষ্টির অন্তর্নিহিত কারণ বোধগম্য নয়। বরং দেশীয় পণ্য ব্যবহার বাড়ানোর জন্য আন্দোলন হতে পারে। দেশব্যাপী পণ্য চলাচলে চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেটের অশুভ তৎপরতার বিরুদ্ধে জন প্রতিরোধ গড়ে উঠলে এমনিতেই আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে। 

এবার আসুন ছাত্র রাজনীতি নিয়ে। দেশে কি আদৌ সুস্থ রাজনীতি আছে? আছে কি সুস্থ ছাত্র রাজনীতি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়- কোথায় আছে সুস্থ ছাত্র রাজনীতি? কেন কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে সবার জানা। একমাত্র বুয়েটেই সকল সেমিস্টার সুস্থভাবে চলছে, শিক্ষার পরিবেশ অনুকরণীয়, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সেই ১৯৭২ থেকেই কোন অভিযোগ নেই। সেখানে হঠাৎ করে জঙ্গী সংগঠনের অস্তিত্বের ধুয়া তুলে কেন ছাত্র রাজনীতি শুরু করে ক্যাম্পাস অস্থির করার পাঁয়তারা? 

এবার আসুন কুকি-চীন সংগঠন হঠাৎ করে পুনরায় আগ্রাসী হয়ে ওঠা? প্রশ্ন জাগে সব ধরনের সরকারি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিপুল পরিমাণ উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও কিভাবে বান্দরবনে এই ধরনের সন্ত্রাস করতে সফল হলো কুকি-চীন সংগঠন? এমনিতেই সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সময় বিজেবি সহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম এলাকায় সতর্ক থাকার কথা। এতকিছুর মাঝে নিজ অভ্যন্তরে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ব্যাংক, পুলিশ ফাঁড়ি, আনসার বাহিনীর উপর আক্রমণ করে অস্ত্র গোলাবারুদ, অর্থ আত্মসাৎ কিভাবে করলো? এগুলো কিসের ইঙ্গিত করে? নেপথ্যে কোন শক্তি কাজ করছে কি? 

বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই একমাত্র প্রার্থনা যেন গ্রীষ্মকালে যেন দাবদাহ সীমিত থাকে। জ্বালানি সংকট, অর্থ সংকটের কারণে কোনোভাবে সরকার বিদ্যুৎ সংকট এড়াতে পারবে না। তবে সর্বপর্যায়ে কৃচ্ছতা সাধন, জ্বালানি বিদ্যুতের দক্ষ ব্যবহার করে সংকট সহনীয় পর্যায়ে রাখা যেতে পারে। এদেশের একজন বিদ্যুৎ ব্যাবসায়ী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ জ্বালানি ব্যবসা করে সিঙ্গাপুরে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী হয়েছে এটাও পত্রিকার শিরোনাম। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রি করে বন্ধু দেশের প্রতিষ্ঠান শেয়ার মার্কেটে অবস্থান উজ্জ্বল করেছে। 

দেশে ক্রমাগত ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকলেও পার্লিয়ামেন্টে কার্যকরি বিরোধী দল না থাকায় সরকারকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। যা টুকটাক মাঠে ময়দানের বক্তব্যেই। এটা অবশ্যই গণতন্ত্রের জন্য সুসংবাদ নয়। 



যা ঘটলো বান্দরবানে 

খবর মাধ্যম মারফত জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে কেএনএফের শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রুমা সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় তারা ব্যাংকের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যদের মারধর করে। পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪ টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসীরা উপজেলা মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের জিম্মি করে তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যায়। মসজিদের ইমাম নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ২ এপ্রিল রাত সোয়া ৮ টার দিকে কেএনএফের ১০/১৫ জন সদস্য অস্ত্র নিয়ে মসজিদে ঢোকে এবং সবার মোবাইল কেড়ে নিয়ে চলে যায়। 

রুমা সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার উথোয়াইনু মার্মা বলেন, ‘মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার কাছ থেকে ব্যাংকের ভল্টের চাবি নিয়ে যায়। তারা সবাই কুকি চিনের সদস্য ছিল। তাদের মুখে কালো রং মাখা ছিল। ৩ এপ্রিল দুপুর ১২ টার দিকে কেএনএফ সদস্যরা থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে রুমা ও থানচি এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। পরে ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করে র‌্যাব। 

পরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, কেএনএফ সন্ত্রাসীরা ব্যাংক লুট করার জন্য হামলা চালায়। কিন্তু তারা ভল্ট ভাঙতে না পারায় ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ৪ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে কেএনএফের ৩০/৪০ জনের একটি সশস্ত্র দল থানচি থানায় হামলা চালায়। এসময় পুলিশও হামলা চালালে তাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ গোলাগুলির ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও অবশেষে পুলিশের আক্রমণে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এসব ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলন করে কেএনএফের সঙ্গে চলমান শান্তি আলোচনা বন্ধ ঘোষণা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। 

শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লা বলেন, কেএনএফ শান্তি আলোচনার চুক্তি ভঙ্গ করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে। তারা ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ম্যানেজারকে অপহরণ করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তাই এ অবস্থায় তাদের সঙ্গে আর কোনো শান্তি আলোচনা হতে পারে না। এসব ঘটনার পর হামলাকারী কারা এবং কারা হামলার সঙ্গে জড়িত সেটি জানার পরও অজ্ঞাত আসামি দিয়ে মামলা দায়ের করায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, ‘মামলায় দেড় শতাধিক অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি আমরা নিশ্চিত নই। তাই সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তদন্ত করে আসামিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যাতে কোনো আসামি পার না পায়।’ 



কুকি চিন গঠন

২০১৬ সালে বম সম্প্রদায়ের যুবকদের নিয়ে কুকি চিন জাতীয় উন্নয়ন সংগঠন (কেএনডিও) নামে একটি সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া জনৈক নাথান বম। পরবর্তীতে ২০২২ সালে তার নেতৃত্বে সংগঠনটি সশস্ত্র সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর গুম-খুন-চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার করে সংগঠনটি। তাদের হামলায় সেনাবাহিনীর ৫ সদস্যসহ অনেক সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। পরবর্তীতে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করেন। 



আবহাওয়া উত্তপ্ত হতেই শুরু

এবারের মার্চ মাসে গ্রীষ্মের সূচনা এবং নিবিড় জলসেচ সময়ে গরম তুলনামূলক কম থাকায় সরকার সন্তোষজনক ভাবেই সামাল দিয়েছে। কিন্তু এপ্রিলের শুরুতে গরম পড়তে শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মহানগরীর বাইরে গ্রামাঞ্চলে তীব্র লোডশেড্ডিং শুরু হয়েছে। হবিগঞ্জে নাকি ১২-১৪ ঘন্টা লোডশেড্ডিং হয়েছে বিধায় সাংসদ মহাসমাবেশ করার হুমকি দিয়েছেন। ফরিদপুর, কুমিল্লা, সাতক্ষিরা থেকেও অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কথা জানিয়েছে পরিচিত জন। মার্চ মাস জুড়ে দেশব্যাপী পিক চাহিদা ১৩ হাজার মেগাওয়াট অতিক্রম করেনি। এপ্রিলের শুরুতে হঠাৎ করে পিক চাহিদা কত হয়েছে? নাকি কোনো কারিগরী দুর্ঘটনার কারণে সঙ্কট হয়েছে তার ব্যাখ্যা প্রয়োজন। বিপিডিবি জানিয়েছে এবার গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। আরো জানান হয়েছে সঞ্চালন এবং বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন ঘটায় জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত হলে সর্বোচ্চ চাহিদা মিটানোর অসুবিধা হবে না। জানি গ্যাস সরবরাহ সংকট আছে। কিন্তু সাগরে স্থাপিত দুটি এফেসারু আবারো চালু হওয়ায় গ্যাসের সরবরাহ বাড়ার কথা। বাড়তি গ্যাস প্রায় সবটুকু বিদ্যুৎ উৎপাদনে বরাদ্দ দেয়ার কথা। শোনা গাছে দেশে কর্মরত আইপিপিগুলোর বকেয়া পরিশোধ করার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাহলে কেন বিদ্যুৎ সংকট। 

ঈদের সময় কমবেশি ৭-১০ দিন শিল্পকারখানাগুলো অধিকাংশ বন্ধ থাকবে, বিপুল সংখ্যক মানুষ শহর, মহানগর ছেড়ে গ্রামে যাবে। চাহিদা অনেক কম থাকবে। এই সময়টা বিদ্যুৎ সরবরাহ চেন দম ফেলার সুযোগ পাবে। জানিনা সরকার গ্রীষ্ম মৌসুমে কৃচ্ছ্রতা এবং ডিমান্ড সাইড ব্যাবস্থাপনা বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে? বাস্তবায়ন স্ট্রাটেজি কি? এপ্রিল মাঝামাঝি এবারেও কিন্তু হিট ওয়েব হবার সম্ভাবনা আছে। দেশবাসী এমনি নানা সংকটে আছে। এর উপর মরার উপর খাড়ার ঘা হিসাবে লোডশেডিং হলে সরকার জনরোষে পড়তে পারে।

শেয়ার করুন