৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ৬:৩৬:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


দেশকে কাজী নওশাবা
আমি মনের বিপক্ষে যেতে পারি না
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৪-২০২৪
আমি মনের বিপক্ষে যেতে পারি না কাজী নওশাবা আহমদ


কাজী নওশাবা আহমদ। মডেলিং ও টিভি নাটকে অভিনয় করে নজর কাড়লেও এখন সিনেমাতেও নিয়মিত অভিনয় করছেন। ঈদে মুক্তির প্রতিক্ষায় থাকা দুইটি সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত ‘মেঘনা কন্যা’ সিনেমাটিতে তাঁকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা গেলেও জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘জ্বীন-২’ সিনেমায় দেখা যাবে অতিথি চরিত্রে। এই দুই সিনেমা ও ক্যারিয়ার নিয়ে তিনি কথা বলেছেন দেশ পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলমগীর কবির 

প্রশ্ন: দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় করছেন। ক্যারিয়ার নিয়ে আপনার ভাবনা কি?

কাজী নওশাবা আহমদ: আমার ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ভালো লাগা-মন্দ লাগা অনেকের সঙ্গে মেলে না। কেন মেলে না? সেই প্রশ্ন যখন নিজেকে করি তখন বুঝি, সবকিছুর আগে আমার চাওয়া একটাই-শিল্পীসত্তাকে খুশি রাখা। তাই সে কাজই বেছে নিই, যা শেষ করার পর অন্য রকম আত্মতৃপ্তি মেলে। সত্যি বলতে, যশ-খ্যাতির নেশায় যে কোনো কিছু করার ইচ্ছাও কখনও হয়নি। এ জন্যই স্রোতের বিপরীতে চলেছি সব সময়। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোনো কিছুর মোহে নিজের এই সিদ্ধান্ত বদলাব না। অবশ্য এ নিয়ে নানা রকম কথাও শুনতে হয়েছে।

প্রশ্ন: ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কি বলে মনে হয়?

কাজী নওশাবা আহমদ: অনেকে বলেছেন, অভিনয় যার পেশা, তার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া বিলাসিতা ছাড়া কিছু নয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ কথা একেবারে মিথ্যা নয়। কিন্তু আমি যে মনের বিপক্ষে যেতে পারি না, সুতরাং নিজেকে বদলাব কীভাবে! না-ই বা পারলাম অভিনেত্রী হিসেবে শীর্ষে জায়গা করে নিতে। পুরস্কার, সম্মাননা, বড় তারকার তকমা না-ই বা থাকল ক্যারিয়ারের ঝুলিতে। নিজের মতো করে যদি শিল্পচর্চা ধরে রাখতে পরি, সেটিই হবে বড় প্রাপ্তি।

প্রশ্ন: ঈদে আপনার ছবি মুক্তি পাচ্ছে। প্রত্যাশা কেমন?

কাজী নওশাবা আহমদ: একজন অভিনেত্রী হিসেবে এটা খুবই আনন্দের। কারণ, ঈদের সিনেমা নিয়ে সবার মতো অভিনয়শিল্পীদেরও আলাদা আগ্রহ থাকে। আমি খুবই উচ্ছ্বাসিত। আমি খুবই আনন্দিত দীর্ঘ একটা অপেক্ষার পরে দারুণভাবে ফিরছি। অপেক্ষার ফল পাচ্ছি। এভাবে ফেরার জন্যই হয়তো মুখিয়ে ছিলাম। সত্য ঘটনা অবলম্বনে আমাদের মেঘনা কন্যা আলাদা দর্শক পাবে। সেভাবেই আমরা সিনেমাটিকে তুলে ধরছি।

প্রশ্ন: কিন্তু এবার রেকর্ড ১১টি সিনেমা মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা কি আপনাকে চিন্তায় ফেলছে?

কাজী নওশাবা আহমদ: হলসংখ্যা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। আমাদের সিনেমাটি নারী পাচারের সত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সচেতনতা তৈরির জন্য সিনেমাটি দর্শকদের দেখা উচিত। আমাদের সিনেমায় বাণিজ্যিক উপাদানগুলো রয়েছে। দর্শকদের কথা মাথায় রেখে নাচ-গানের মধ্যে দিয়েই আমাদের পরিচালক ফুয়াদ চৌধুরী গল্পটি তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে ঈদে তারকাবহুল সিনেমা রয়েছে, সেসব সিনেমার সঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে এই ভেবে ভালো লাগছে। অনেকটা স্বপ্ন স্বপ্ন লাগছে।

প্রশ্ন : ঈদে সিনেমা মুক্তি নিয়ে কোনো স্বপ্ন ছিল?

কাজী নওশাবা আহমদ: ঈদের সিনেমা নিয়ে সব সময়ই স্বপ্ন দেখতাম। শাকিব ভাইয়ের সিনেমার সঙ্গে আমার সিনেমার পোস্টার থাকবে। তাতেই আমি খুবই উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত। এই যে ঈদে শাকিব খান, রাজ, বুবলী তাঁদের পাশে আমার সিনেমা, এটাকে স্বপ্নবিলাসী মনে হচ্ছে। এখন আমার সিনেমাটি হয়তো অত বড় পরিসরে মুক্তি পাবে না। আমার কাজটি আমি করে গেছি। জওয়ান সিনেমার পাশে যেমন টুয়েলভথ ফেল সিনেমাও কিন্তু প্রশংসা পায়। আমি সিনেমাটির সঙ্গে তুলনা করছি না। সব সিনেমার দর্শক আছে, এটা বোঝানোর জন্য বলেছি। আমি কোনো প্রতিযোগিতায় নেই, ঈদের এই চলচ্চিত্র মেলায় অংশ নিতে পারছি, এটাই বিলাসিতা।

প্রশ্ন : মেঘনা কন্যার কীভাবে হয়ে উঠতে হয়েছে?

কাজী নওশাবা আহমদ: মেঘনাপারের সহজ সরল একটি মেয়ে হাসি। তার বাবা একজন গায়েন। তার মেয়ে হাসি চায় নাচ শিখে বড় কিছু হতে। সেই মেয়েটিই একসময় বিক্রি হয়ে যায়। তারপরের গল্পটা পর্দায় তুলে ধরা চ্যালেঞ্জিং ছিল। অন্ধকার জগতের একটি মেয়ের করুণ জীবন। এখানে আমাকে বেশি সহযোগিতা করেছে আমার আগের চরিত্রগুলো। আমার প্রথম সিনেমা উধাও, নাটক ললিতা, পরে আমি টেলিভিশনের এমন চরিত্রের কিছু তথ্যচিত্র করেছি, যার কারণে আমি ব্রোথেলে গিয়েছি। আমার সৌভাগ্য হয়েছে অন্ধকার জগতের মেয়েদের জীবনটা কাছ থেকে দেখার। তাদের লড়াইয়ের কাছে আমার লড়াই অনেক তুচ্ছ।

প্রশ্ন : ঈদের সিনেমা শৈশব থেকে কখনো দেখা হতো?

কাজী নওশাবা আহমদ: আগে দেখা হতো না। তবে কখনো মায়ের সঙ্গে দেখেছি। সিনেমাগুলো নিয়ে খুবই আগ্রহী থাকতাম। আর আমরা মা-মেয়ে প্রথম ঢাকা অ্যাটাক সিনেমাটি দেখি। মা শাকিব খানের সিনেমার ভক্ত। এবার ঈদে আমার মেঘনা কন্যা, রাজকুমার, ওমর, জ্বীন-২সহ সব সিনেমাই দেখব।

প্রশ্ন : কলকাতার ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ সিনেমাটির কী অবস্থা?

কাজী নওশাবা আহমদ: সিনেমায় আমি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছি। সিনেমাটি আমার জন্য অনেক বড় পরীক্ষা ছিল। কতটা পাস করতে পারলাম, সেটা দর্শক বলবেন। এমন চরিত্রে সুযোগ দেওয়ার জন্য পরিচালক অনিক দত্তের কাছে কৃতজ্ঞতা। সিনেমাটির শুটিং শেষ করেছি। ডাবিংয়ে অংশ নেব। আগামী দুর্গাপূজায় সিনেমাটি মুক্তি পাবে।

প্রশ্ন: ঈদ কোথায় করছেন। পরিকল্পনা কিভাবে সাজালেন?

কাজী নওশাবা আহমদ: ঈদ ঢাকাতেই করব। যেহেতু আমার সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে তাই প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে বসে আমার অভিনয়ের প্রতিক্রিয়া বুঝার চেষ্টা করব।

শেয়ার করুন