২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ১১:২৩:২৬ পূর্বাহ্ন


ঘর-বাইরে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৬-২০২২
ঘর-বাইরে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র


শত চ্যালেঞ্জ। ঘরে-বাইরে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র। এসব মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশকে সম্মানের স্থানে উন্নীত করেছেন। বলছি না দেশ দুর্নীতিমুক্ত,সমস্যা সংকটমুক্ত হয়ে গেছে, কিন্তু বিশ্ব স্বীকৃতি দিচ্ছে ২০২২ বাংলাদেশ ২০১০ থেকে অনেক অনেক উন্নত। খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিদ্যুৎ পৌঁছেছে ঘরে ঘরে, বাস্তবায়িত হচ্ছে দেশকে বদলে দেয়া মেগাপ্রকল্প।

আর তো ক’দিন এরপর সড়ক চলাচল শুরু হবে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে। বাংলাদেশের জনগণের নিজেদের অর্থে সম্পাদিত এই মেগা প্রকল্পটি বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। কিন্তু দেশের ২৩ অবহেলিত জেলার জীবন স্পন্দন সেতুটি কোনো কোনো গোষ্ঠীর গাত্রদাহের কারণ সহজেই অনুমেয়। সেতুর ওপর দিয়ে সড়ক পথে যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় ঘোষণার পর থেকেই দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্র চলছে শুরু হয়েছে অগ্নিসন্ত্রাস।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ষড়যন্ত্রের বিষয়ে দেশবাসীকে সজাগ,সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছেন। উনার কাছে প্রতিদিন গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদন পেশ করে। তাই উনার পক্ষে সঠিক তথ্য জানার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। 

কারা করতে পারে সন্ত্রাস-অন্তর্ঘাত? 

পদ্মাসেতু শুধু দক্ষিণ অঞ্চলের নয় সমগ্র দেশের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হবে। রাজনৈতিক কারণে বিরোধীদল যাই বলুক আমি মনে করিনা আত্মঘাতী অগ্নিসন্ত্রাস করে ওদের কোনো মাইলেজ অর্জিত হবে। তবে সবকিছু তো একেবারে উড়িয়েও দেয়া যায়না- এটাও ঠিক। হয়তো ভিনদেশিদের বিভিন্ন স্বার্থও জড়িয়ে থাকতে পারে এক্ষেত্রে।

যাদের সে স্বার্থ উদ্ধারে কিছুটা অস্থিতিশীল করা প্রয়োজন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বহু ষড়যন্ত্র মানুষ দেখে এসেছে। পূর্বে দেশে এমনটা হয়েছে বলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিসংখ্যান বা অবজারভেশনে অনুমান করা গেছে। যার কোনো সুরাহা বা বিচার বা তদন্তের ফল প্রকাশ হয়নি। হলেও ধামাচাপা টাইপের।

উদোরপিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে যা বিভিন্ন সময়ে রাজনীতিবিদরাও ইশারা ইঙ্গিত বলেছেন। এবারো যে অমনটা হবে না তারই বা গ্যারান্টি কি। এমন ষড়যন্ত্র অবশ্য অনেক দেশের বিরুদ্ধে অনেক দেশ করে আসছে। যা তারা প্রকাশ্যে বলে বা অভিযোগ করেও আসছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে শান্তি বা বন্ধুত্ব প্রত্যাশা করে বিধায়, এ নিয়ে উচ্চবা”্য করেনা কখনো। সেটা যে সরকার যখনই থাকুক না কেন।  

বাংলাদেশ প্রায় এক দশক ৬.৫-৭.০০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই অনুন্নত দেশের পর্যায় থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। করোনা সংকটের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েনি। বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট এবং জ্বালানি সংকটের মাঝেও বাংলাদেশ প্রতিবেশী সকল দেশ থেকেও ভালো আছে।

যদি দুর্নীতির লাগাম টেনে দেয়া সম্ভব হতো তাহলে ধনি দরিদ্রের ব্যবধান অনেক কমানো যেতো। কিছু মানুষ নানাভাবে দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করছে। তবে সরকার দেরিতে হলেও কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশের মতো দুর্নীতির ক্যানসার বাংলাদেশ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই বলে আইনের শাসন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে বলা ঠিক হবে না। অনেক বড় বড় দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। এগুলো সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দেশ প্রেম আর মৃত্যু ভয় উপেক্ষার কারণে। 

বাংলাদেশিরা নিজেরা আরো সচেতন, আরো সতর্ক এবং দায়িত্বশীল হলে কাজগুলো সহজ হতো। এতো উপদেষ্টা, মন্ত্রী, সচিব, গোয়েন্দা সংস্থা থাকতে সব কিছু কেন এক প্রধানমন্ত্রীকে করতে হয়? প্রধানমন্ত্রী যদি জেনেই থাকেন করা ষড়যন্ত্র করছেন নিঃসঙ্কোচে জাতির সামনে বলতে পারেন। তাহলে নীরব জনগোষ্ঠী প্রতিরোধ করবে। দেশ এগিয়ে যাবে আপনগতিতে।

২০০৯ থেকে ২০২২ দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত শিক্ষা,স্বাস্থ্য মোবাইল সেবা, ইন্টারনেট বিস্তৃত হয়েছে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর এক অংশ এখন কৃষিকাজ, মৎস্য চাষ, পশুপালন পেশা হিসাবে নিয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানার ক্ষুধা সৃষ্টি হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের রাজনীতির কৌশলে বিরোধী রাজনীতি নিঃশেষ হয়ে গাছে। প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানালেই যুবসমাজ ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিবে। তবে প্রধানমন্ত্রীকে অসৎ ব্যবসায়ী। সুবিধাবাদী আমলাদের পরিবর্তে সৎ পেশাদারদের দেশের নেতৃত্বে আন্তে হবে। সকল পযায়ে জবাবদিহিতার নিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টি কোনো হবে।


শেয়ার করুন