২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৫:৩৯:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


রোববার তুলে ধরা হবে বিস্তারিত
মার্কিন ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদনে করা অভিযোগ নাকচ বাংলাদেশের
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৪-২০২২
মার্কিন ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদনে করা অভিযোগ নাকচ বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পররাস্টপ্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম


বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনী ও মানবাধিকার সহ বিভিন্ন ইস্যুতে  ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে সম্প্রতি মার্কিণ ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট  ২০২১ সনের যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। একই ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পররাস্টপ্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যা তুলে ধরা হবে আগামী রোববার সেটাও জানানো হয়। প্রতিবেদনে তথ্য বিভ্রাট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, প্রথম কথা হল, এই অভিযোগটা বোধহয় ২০২১ এর। ২০২২ এ যে পরিমাণ গুমের কথা এখানে বলা হচ্ছে আমাদের এখানে কিন্তু সে পরিমাণ নেই।

গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয় নিজ অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন আমরা সব সময় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা যদি কেউ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন, নিরাপত্তা বাহিনী আত্মরক্ষায় যদিও করেন, তাহলে প্রত্যেক ঘটনায় ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করে থাকেন। এতে যদি ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়, তাহলে সেই বিষয়টি যদি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনে করেন -এখানে ঘটনাকে অন্যায় বা অসতর্কতার হয়েছে সেটা আমরা বিচার বিভাগে পাঠিয়ে দিই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, জেলখানায় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যথেষ্ট পরিমাণ ইন্সপেক্টর লেভেল থাকে ডিআইজি লেভেল পর্যন্ত কর্মকর্তা রয়েছেন। এটাই শুধু নয় আরো অনেক সদস্য রয়েছেন। এর অর্থ কেউই বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। এখানে আইন ভঙ্গ করলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা যেটা করেছে তাদের তথ্যবিভ্রাট হয়েছে বলে আমি মনে করি। 

তিনি বলেন, গুম-খুনের কথা যেগুলো বলেছেন, এগুলো প্রায় অনুসন্ধান করে আমরা দেখেছি- তারা অনেকেই হয়তো  আত্মগোপন করে গুম বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। হয়তো ব্যবসায় লোকসান করে নিজেই কোথাও চলে গেছেন। এই কিছুদিন আগে আপনারা দেখেছেন, একজন আড়াই বছর পর ফিরে বলেছেন, ইচ্ছা করে গুম হয়েছিলেন। পরিবারে অশান্তির কারণেই। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অনেককে খুঁজে বের করে দিয়েছে। আমি এখনো জোর গলায় বলতে পারি, যে প্রতিটা তথ্য যা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে অনেক গরমিল রয়েছে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীরও নাকচ 

মার্কিণ ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট যে বার্ষিক প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটাকে নাকচ করে দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।  পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম মার্কিন ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের দেয়া তথ্য পর্যালোচনা করেছেন জানিয়ে বলেন, এখন পর্যন্ত যা দেখেছেন, তাতে মনে হয়েছে রোহিঙ্গা ইস্যুও ভুলভাবে মার্কিন রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। সাংবাদিকদের সাথে  আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী জানান, রোববার এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে এবং পরবর্তীতে মার্কিন সরকারের সঙ্গে সিরিজ মিটিং এ বিষয়গুলি নিয়ে কথা হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতীতের মত একটা ধারাবাহিকতা আছে- বাংলাদেশ সরকার বিরোধী যেসব প্রপোগান্ডা মেশিন আছে , সে বিষয়গুলো থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। সেই মিডিয়া থেকে উদৃতি দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন সুইডেনে তাসনিম খলিল নামে একজনের বিরুদ্ধে সেই দেশের একজন নাগরিক মামলা করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ করেন কিন্তু বাংলাদেশে। কিন্তু আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে বিদেশে আওয়ামী লীগের কোনো শাখা কমিটির অনুমোদন করে না। কিন্তু দায়ও বাংলাদেশের উপর চাপানো হচ্ছে।

রিপোর্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনে ঘটনায় অভিযুক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের দায়মুক্তির দেয়ার বিষয়ে, সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, র‌্যাবের ওপর শ্যাংসন আসার পর আমরা এ সংক্রান্ত নথি দিয়েছি। আমরা এক সময় এসব ডকুমেন্ট দিতাম না, আমরা গত তিন বছরে কতজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সে তথ্য দিয়েছি কিন্তু এখানে বলা হয়েছে দু'একটি ক্ষেত্রের কথা। ১৯০ জন চাকরীচ্যুত করা হয়, তখন সেটা দু’একটির ঘরের মধ্যে পড়ে না। পৃথিবীর সকল দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যায়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে  কতজন মানুষ মারা গেছে , প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে সেখানে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে যাবে- তখন যদি তাদের গুলি চালাতে হয় কেউ যদি মারা যায় তবে আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে এই অবস্থান থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। 

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন আমরা আশা করি আমাদের বন্ধুরা মাঠের বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্চগুলো বুঝবেন। 

শেয়ার করুন