নিউইয়র্ক স্টেটের ডিস্ট্রিক্ট ৩৬-এর অ্যাসেম্বলিম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করলেন বাংলাদেশি আমেরিকান মেরি জোবায়দা। তিনি গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকালে এস্টোরিয়ার ডাচকিল পার্কে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাবেদ উদ্দিন ও মূলধারার রাজনীতিবিদ আমিন মেহেদীর পরিচালনায় মেরি জোবায়দার প্রার্থিতা ঘোষণার শুভক্ষণে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশি কমিউনিটি ও মূলধারার রাজনীতিবিদরা। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এএফ মিসবাহউজ্জামান, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম, বাকের প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, মূলধারার রাজনীতিবিদ মাজেদা উদ্দিন প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট আবুল কালাম, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মইনুজ্জামান চৌধুরী, শাহ গ্রুপের প্রেসিডেন্ট শাহ জে. চৌধুরী, আল আমিন মসজিদের মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কয়েস আহমেদ, এমদাদ তরফদার, ফক্কু চৌধুরী, টাইম টিভির প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক আবু তাহের, টাইম টিভির পরিচালক সৈয়দ ইলিয়াস খসরু প্রমুখ।
প্রার্থিতা ঘোষণার সময়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মেরি জোবায়দা। তিনি বলেন, আমি এ দেশে যখন আসি, তখন আমার বয়স অনেক কম ছিল। আমি ভালোভাবে ইংরেজি বলতে পারতাম না। যে কারণে আমাকে লেখাপড়া করতে হয়েছে। আসার পর থেকেই আমি এ এলাকায় বসবাস করে আসছি। তিনি বলেন, আমি যেহেতু এ এলাকায় বসবাস করে আসছি, আমি জানি আমাদের এলাকার মানুষের সমস্যা কী। তিনি হেলথ কেয়ার ইন্স্যুরেন্সের কথা বলেন, বাসস্থানের সমস্যার কথা বলেন, শিশুদের শিক্ষার কথা বলেন, হেইট ক্রাইমের কথা বলেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমিগ্র্যান্ট-বিরোধী অভিযানের কথা বলেন, কাগজপত্রহীনদের গ্রেফতারের কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা নিয়ে আলবেনিতে কথা বলবো। তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমি নির্বাচন করেছিলাম। সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আশা করি এবারও সহযোগিতা করবেন।
অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা মেরি জোবায়দার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এবং তাকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, সিটি কাউন্সিলে আমাদের একজন প্রতিনিধি আছেন, এবার আলবেনীতে আমরা একজন প্রতিনিধি চাই। সেটা মেরি জোবায়দার পক্ষেই সম্ভব।