০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০৬:৩৮:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


শেখ হাসিনার ৫, রেহানার ৭ ও টিউলিপের দুই বছরের কারাদণ্ড
দেশ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-১২-২০২৫
শেখ হাসিনার ৫, রেহানার ৭ ও টিউলিপের দুই বছরের কারাদণ্ড শেখ রেহানা, শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিক


প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫ বছরে, তার বোন শেখ রেহানার সাত বছর ও শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালত কারাদন্ডের পাশাপাশি টিউলিপ সিদ্দিককে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন, শেখ রেহানাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন বিচারক। এই মামলার বাকি ১৪ আসামির প্রত্যককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রাজউকের পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা এই রায় দেন ঢাকার আদালত।

রায়ে আদালত বলেন, শেখ রেহানাকে এই মামালায় সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড এক লাখ টাকা জরিমানা, শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিককে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড এক লাখ টাকা জরিমানা এবং শেখ হাসিনাসহ বাকি আসামিকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হলো। এ মামলায় ১৭ জন আসামির মধ্যে শুধু খুরশীদ আলম আত্মসমর্পণ করেছে।’

এর আগে প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় গত ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনার সাত বছর করে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া এক মামলায় তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। তবে আজকের মামলার রায়ে নতুন করে সাজার মুখোমুখি হতে পারেন রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। এ মামালায় প্লট গ্রহীতা হিসেবে প্রধান আসামি করা হয়েছে শেখ রেহানাকে, দুই নম্বর আসামি টিউলিপ ও শেখ হাসিনা তিন নম্বর আসামি।

শেখ পরিবারের তিনজন ছাড়াও এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন-জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। তাদের মধ্যে আসামি খুরশীদ আলম কারাগারে আটক রয়েছেন।

রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পূর্বাচলে মা, ভাই ও বোনের প্লট বরাদ্দে তিনি তার ‘বিশেষ ক্ষমতা’ ব্যবহার করে খালা শেখ হাসিনার ওপর চাপ প্রয়োগ ও প্রভাব বিস্তারে ভূমিকা রাখেন। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শেখ রেহানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে এ বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

শেয়ার করুন