আজকে বাংলাদেশে ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব চলছে। নতুন প্রজন্মের সামনে বিকৃত ইতিহাস তুলে ধরা হচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ এটাই চিরসত্য শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। আজকে প্রচার করা হচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ নাকি স্বাধীনতার ঘোষণা। বাংলাদেশে আবারও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার বাকশাল কায়েম করেছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে তুলে দিয়েছে। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি আয়োজিত শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি গত ২৯ মে সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের কাবাব কিং রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ডা. মজিবুর রহমান মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শিল্পী বেবী নাজনীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ, লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শওকত আলী। মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক নেতা ও অনুষ্ঠানের যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, গিয়াস উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন সবুজ, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফরহাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সেলিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ্জামান, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক মহিলা সম্পাদিকা সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা এ এম এস জাহাঙ্গীর হাসাইন, সালেহ আহমেদ মানিক, কোকো স্মৃতি পরিষদের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রাজু, আকিকুর রহমান ফারুক প্রমুখ।
বেবী নাজনীন তার বক্তব্যে বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন ক্ষণজন্ম নেতা। তার কারণেই আমরা বাংলাদেশ নামক দেশটি পেয়েছি। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের রোষানলে পড়েছে বিএনপি, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে হবে।
ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়ারউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীতে আমাদের শপথ হোক স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ। এজন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ এবং লাগাতার আন্দোলন। তিনি শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবনে তুলে ধরেন।
গিয়াস আহমেদ বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে। যে কারণে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। আর শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। যে কারণে আমরা স্বাধীন।
জসীম ভুইয়া অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আজকে আমাদের শপথ হোক বাকশাল মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবো।