২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৮:২৩:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী অনুমোদনে প্রজ্ঞা-আত্মা’র অভিনন্দন, দ্রুত গেজেট প্রকাশের দাবি বাংলাদেশের মাটি স্পর্শ করলেন তারেক রহমান ফুজি ফিফথ স্টেশন ইতিহাস গড়ে বিচারপতি হলেন বাংলাদেশি আমেরিকান সোমা হাদির খুনিদের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি ও গায়েবানা জানাজা মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্যাংচুয়ারি ক্যাম্পাস’ ঘোষণার দাবি শিক্ষার্থীদের কিউনি ও সুইনি ছাত্রছাত্রীদের জন্য এক্সেলসিয়র স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু তৃতীয় দেশে ফেরত পাঠানোর যুক্তিতে আশ্রয় আবেদন বাতিলের উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাচারালাইজড নাগরিকত্ব বাতিলের নতুন নির্দেশনা ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ৩৯ দেশ


ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মামলা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৪-২০২৫
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মামলা হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ


হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ট্রাম্প প্রশাসনের ৯ বিলিয়ন ডলারের সরকারি অনুদান ও চুক্তি পর্যালোচনার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কথিত ‘ইহুদিবিদ্বেষ’ দমন অভিযানের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

গত ১১ এপ্রিল বোস্টনের একটি ফেডারেল আদালতে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন অবৈধভাবে একাডেমিক স্বাধীনতা ও বাক্‌স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করছে। মামলাটি করেছে হার্ভার্ডের আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস (এএইউপি)-এর স্থানীয় ও জাতীয় শাখা। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ-যারা আদালতে প্রশাসনের পক্ষ সমর্থন করছে, ১২ এপ্রিল কোনো মন্তব্য করেনি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

হার্ভার্ডে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ ও প্রশাসনের চাপ

ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে মুখোশ পরিহিত আন্দোলনকারীদের উপস্থিতি প্রশাসনের নজরে আসে। পরবর্তী এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো হার্ভার্ডকে কয়েকটি শর্ত পূরণের নির্দেশ দেয়, যার মধ্যে ছিল মুখোশ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, ডাইভারসিটি, ইকুইটি অ্যান্ড ইনক্লুশন (ডিইআই) প্রোগ্রাম বাতিল এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করা। চিঠিতে আরো বলা হয়, হার্ভার্ডের বিভিন্ন বিভাগ ও কার্যক্রম, যেগুলো ‘ইহুদিবিদ্বেষমূলক হয়রানি’ বাড়িয়ে তোলে, সেগুলো পুনর্মূল্যায়ন ও সংস্কার করতে হবে এবং নীতিভঙ্গকারী শিক্ষার্থীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রশাসন বলছে, তারা ১৯৬৪ সালের সিভিল রাইটস অ্যাক্টের শিরোনাম ধারা অনুযায়ী এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা সরকারিভাবে অর্থায়নপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ দেয়।

মামলার অভিযোগ: বাক্স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ

তবে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, প্রশাসন আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে অর্থ বন্ধের হুমকি দিয়েছে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে সুরক্ষিত বাক্‌স্বাধীনতার লঙ্ঘন। মামলার বাদী পক্ষ দাবি করছে, ট্রাম্প প্রশাসন রাজনৈতিক মতাদর্শ ও নীতিগত পছন্দ হার্ভার্ডের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং এমন বক্তব্যকে দমন করতে চাইছে যা তাদের অপছন্দ। হার্ভার্ডের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এএইউপি অধ্যায়ের সাধারণ পরামর্শদাতা অ্যান্ড্রু ক্রেসপো এক বিবৃতিতে বলেন, প্রথম সংশোধনী সরকারকে সেই ক্ষমতা দেয় না, যাতে তারা নিজের অফিসের প্রভাব ব্যবহার করে সমালোচকদের কণ্ঠরোধ করে বা অপছন্দের বক্তব্য দমন করে।

শেয়ার করুন