২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৫:৩০:৩৪ পূর্বাহ্ন


মিত্ররা ব্যস্ত সমালোচনায়
সংকটে আ.লীগের পাশে নেই শরিকরা
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৮-২০২২
সংকটে আ.লীগের পাশে নেই শরিকরা জাতীয় পাটির এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের/ফাইল ছবি


দেশের বিভিন্ন সমস্যায় কোণঠাসা আওয়ামী লীগের পাশে নেই শরিকরা। যাদের নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম ও বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার শরিক করা হয়েছিল তারা উল্টা দলটিকে বিভিন্নভাবে সমালোচনা করছে। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পড়েছে আরো বেকায়দায় ও অস্বস্তিতে। 

ভালো নেই অর্থনীতি

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমে গেছে। একারণে  চলতি হিসাবের যে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে তা গত ৫০ বছরে দেখা যায়নি। এটা মোকাবিলায়ই কেবল এ বছরেই টাকার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে কয়েকবার। বলা হচ্ছে রফতানি ছাড়া অর্থনীতির আর কোনো সূচকই ভালো নেই। মূল্যস্ফীতি এখন গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রবাসী আয়ও কমছে। তবে  রফতানি বাড়ার সুখবর দেয়া হলেও বাণিজ্যঘাটতি এখন গত চারযুগের মধ্যে মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিকে  বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে সংকট মোকাবিলা করতে জ্বালানি খাতের ভর্তুকি সরকারের ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিচ্ছে।অন্যদিকে এর আগের বছর যে বাংলাদেশের অবস্থা বেশ ভালোর দিকে যাচ্ছিলো তা-ও না। 

বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরেও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। গণমাধ্যমেই খবর বেরিয়েছে বিদায়ী অর্থবছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি ছিল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অর্থনৈতিক সংকটের বর্তমান সময়ে কম রাজস্ব আদায় নিয়ে বিপাকেই আছে দেশটি। আয় কম বলে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে, অন্যদিকে আরো মূল্যস্ফীতির আশঙ্কায় জ্বালানির দামও বাড়াতে নানান চিন্তা করছে সরকার। এখন এসব সামাল দিতে সরকারি অর্থায়নের প্রকল্পেও বরাদ্দ কমানো হচ্ছে। 

এদিকে আরো ভয়ংকর খবর হচ্ছে সামনের দিনগুলিতে রাশিয়া, চীন ও ভারতের কাছ থেকে নেয়া কঠিন শর্তের ঋণগুলোই বেশি ভোগাবে বাংলাদেশকে। বলা হচ্ছে এ তিন দেশের কাছ থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার বেশি ঋণচুক্তি হয়েছে। এ বিপুল পরিমাণের দায় মাত্র ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে সুদ, আসলসহ এ বিপুল অঙ্কের ঋণ পরিশোধ করতে হবে।অন্যদিকে দায় বেড়ে যাওয়ায় আগামী তিন বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। তবে অর্থনীতিবিদরে মতে, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাপানসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে ঋণ নিলে বাংলাদেশের মতো সরকারের লাভ হতো। কারণ এটা দেশটি ৩০ থেকে ৪০ বছরে পরিশোধ করার সুযোগ পেতো। এটা ঠিক সবক্ষেত্রেরই সুদের হার প্রায় কাছাকাছি।

তবুও চীন, রাশিয়া ও ভারত-এ তিন দেশের ঋণ পরিশোধ করতে হবে এর অর্ধেক সময়ে। জানা গেছে এ তিন দেশের ঋণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রামের কর্তফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল, শাহজালাল সারকারখানা, দাশেরকান্দি পয়ঃবর্জ্য শোধনাগারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব একটি ঋণের গ্রেস পিরিয়ড আছে। এটা শেষে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে বেশিরভাগ প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হয়ে যাবে। অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি এখন কিছুটা অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকির মধ্যে আছে। আর এ জন্য তারা বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে পুরোপুরি দায়ীও করছেন না। বরং বলছেন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও বৈশ্বিক পরিস্থিতির অবনমন-এই দুটোর মিশ্রণ দেশের অর্থনীতিতে পড়েছে। আর এরই মধ্যে খবর বেরিয়েছে যে, সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের কাছে  ঋণ চেয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে। ঋণ চেয়েছে কিন্তু কি  পরিমাণ টা বলা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে  সাড়ে ৪ বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে। মূলত লেনদেনের ভারসাম্য ঘাটতি মেটাতে এবং বাজেটসহায়তা হিসেবে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। মোদ্দাকথা সরকার অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে জটিল পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। 

আর্ন্তজাতিক অঙ্গনেও ইমেজ সংকটে

গত জুনে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে একদিকে সক্ষমতার জানান দিয়েছে বাংলাদেশ, অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার খুলে যায়। বাংলাদেশ জানান দিয়েছে আমরা বিজয়ী জাতি, বিশ্বের মধ্যে মাথা উঁচু করে চলবো। কিন্তু এমন সংবাদেও স্বস্তি পাচ্ছে না কেউ। বিশেষ করে সরকারের অনেক শীর্ষ পর্যায়ে। সামনে তাদের বেশ কয়েকটি অগ্নিপরীক্ষা। কারণ সরকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে বিব্রতকর অবস্থায়।  বিশেষ করে ১ মে ২০২১ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত সময়ের গুম-খুনের ঘটনা এবং তা নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছিল জাতিসংঘ। সরকার এই সময়ে মধ্যে জবাব তৈরি করতে পারেনি।

এদিকে আগামী সেপ্টেম্বরে মানবাধিকার কাউন্সিলে জাতিসংঘ মহাসচিব এ নিয়ে বাৎসরিক প্রতিবেদন পেশ করার আগে বাংলাদেশ থেকে এব্যাপারে রিপোর্ট পাওয়া জরুরি। বাংলাদেশ এব্যাপারে জানিয়েছি ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিস্তারিত তথ্য দেবে।  সময় পেরিয়ে গেলেও তা প্রস্তুত করতে পারেনি ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এব্যাপারে সময় চেয়েছে। এনিয়ে বাংলাদেশের সরকারের দুর্নাম বাড়ছে। কেননা এর আগে র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘটনায়ও সঠিক সময়ে তথ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশের জন্য নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। কেননা প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি বা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে র‌্যাবের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এনিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দিতে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। কিন্তু ফলাফল শূন্য। এর ফলে দেশের পাশাপাশি এসরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতি হয়েছে ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।

ইসির সংলাপে পাশে নেই শরিকরা

এদিকে ইসির সংলাপে সরকারের পাশে পায়নি শরিকদের। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো একেবারে ভিন্ন অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে নিজেদের। ইসির সংলাপে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল ও তরিকত ফেডারেশন নির্বাচনকালীন সরকারে পরিবর্তন চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছে। জাতীয় পার্টি (জেপি) ও ন্যাপ (মোজাফ্ফর) সংলাপে অংশ না নিলেও ইসির কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেছে।  অবশ্য জাসদ (ইনু) এবং গণতন্ত্রী পার্টি সংলাপে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে অভিন্ন অবস্থানের কথা তুলে ধরেছে। তাদের কারো কারো মন্তব্য হচ্ছে  ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়েছিল মানুষের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য। সেটাই যদি না থাকে, তাহলে রাজনীতি করে কী লাভ? 

সমালোচনায় মুখর শরিকরা

দেশের এমন পরিস্থিতিতে সরকারের শরিক ১৪দল ও জাতীয় পার্টি এমনকি আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত এমন বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বুদ্ধিজীবীরা সরকারের বিরুদ্ধে নানাধরনের বিষোদগারে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছে। তাদের কেউ বলছেন সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতির দায় আছে। তিনি গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর স্বার্থে সরকার আমদানিনির্ভর জ্বালানি নীতি নিয়েছে। দেশের গ্যাস উত্তোলনে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কেউ কেউ বলছেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ খুব কষ্টে আছে। আর এনিয়ে তারা প্রায়ই সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছেন। অভিযোগ করা হচ্ছে মেগা প্রকল্পে দুর্নীতি, বাড়তি ব্যয়ের। অভিযোগ আনা হচ্ছে মেগা প্রকল্পসহ সর্বত্র দুর্নীতি। লাখ লাখ কোটি টাকা পাচারের তথ্য নিয়ে এসব শরিকদের কেউ কেউ রাজপথ থেকে নিয়ে বিভিন্ন টকশোতে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।

জানতে চাওয়া হচ্ছে এসব টাকা কোথা থেকে গেছে? কার কাছে গেছে? সম্প্রতি জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, লোডশেডিংয়ের নামে দেশে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। রাজধানীর বাইরে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে মারাত্মক অবস্থা চলছে। দেশের বিদ্যুৎ খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি রুখতে হবে। জাপা চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন,‘আমরা সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলব এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে বা মিছিল-মিটিং করলেই তাঁদের নামে মামলা দেয়া হচ্ছে। এমনকি হেলমেট বাহিনী দিয়ে তাঁদের দমন করা হচ্ছে। কেউ ভয়েও সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে না।

শেষ কথা

মাত্র কয়েকদিন আগেই খবর বেড়িযেছিল যে আগামী নির্বাচন ঘিরে আবারো সক্রিয় হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। গতি আনতে নির্বাচনের আগেই প্রতিটি জেলায় জোটের সমন্বয় কমিটি পুনর্গঠন ছাড়াও বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে রাজপথ দখলে রাখতে সিরিজ কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা নেয়া হয়। এরপর জোটের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি আয়োজনের নির্দেশনাও পাঠানোর খবর শোনা যায়। এর পাশাপাশি রাজধানীতে জোটের কার্যক্রম শক্তিশালী পদক্ষেপ নেয়া হয়। এনিয়ে ১৪ দল কয়েকদফা বৈঠক করে কর্মসূচি চূড়ান্তও করা হয়।

জোটের তৎপরতা এমনি ছিল গত ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে করে সবাই ধরে নিয়োছিল শরিকরা রাগ গোস্বা কাটিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাশেই থাকবে। কেননা গত ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এক কর্মসূচিতে  ১৪ দলের নেতারা বলেছিলেন, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও আগামী নির্বাচনে বাঙালি জাতি আবারো শেখ হাসিনাকেই বেছে নেবে বলে। বলেছেন, কোনো বিদেশি শক্তি নয়, বাংলার জনগণের বিশ্বাস ও আস্থাই হচ্ছে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের শক্তির মূল ভিত্তি।

সমাবেশ শেষে আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিলও বের করেন শরিক দলগুলির নেতারা। কিন্তু বর্তমান অবস্থা দেখা যাচ্ছে সম্পূণ ভিন্ন। ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পরে দেশে অনেক ঘটনা ঘটেছে। এসময়ে এসেছে ইসির সাথে রাজনৈতিক দলের সংলাপ,যাতে শরিকরা সরকারের তাদের নিজস্ব মতামতকেই প্রাধান্য দিয়েছে। এছাড়া ঘটে গেছে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরানোর ঘটনার পাশাপাশি  হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার একটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে ১৫ জুলাই সন্ধ্যার পর দিঘলিয়ার সাহাপাড়ার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলার মতো ঘটনা।

যা দেশে-বিদেশে সরকারের ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তবে এধরনের ঘটনায় সরকারকে দোষারোপ করে তাদের বিরুদ্ধেই আঙ্গুল তুলেছে শরিকদের অনেকে। যা সরকারকে ফেলেছে বেকায়দায়। একের পর এক সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার দায় সরকারকেই নিতে বলেছেন আওয়ামী লীগ ঘরানারই রাজনৈতিক সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। তারা বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং তাঁদের নানাভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে এবং পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহলের মতে, এবিষয়গুলো সত্যিই আগামী দিনে আওয়ামী লীগের পথ চলার জন্য শুভকর নয়। তাদের সামনের পথ যে বড়োই অমসৃণ হয়ে উঠছে শরিকদের আচরেনই তা ফুটে উঠছে।



শেয়ার করুন