২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৯:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে একজন জাহিদ মিন্টু
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৯-২০২২
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে একজন জাহিদ মিন্টু বৃহত্তর নোয়াখালি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু।


গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সোসাইটির বহুল প্রতিক্ষিত এবং ব্যয়বহুল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনে সোসাইটির ভোটাররা রব- রুহল প্যানেলের প্রতি আস্থা রেখেছেন। তবে এই নির্বাচনে রব- রুহুল প্যানেল জয়লাভ করবে- এটা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। কারণ বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনের ইতিহাস বা রেকর্ড সেই কথাই বলে। বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে এ পর্যন্ত যারা বেশি ভোটার বানিয়েছেন তারাই জয়লাভ করেছেন। কিন্তু এবার ঠিক তার উল্টো ঘটনা ঘটেছে। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট জমা দিয়েছিলেন নয়ন- আলী প্যানেল। তাদের দাবি অনুযায়ী ২৭৫১০ ভোটের মধ্যে তারাই জমা দিয়েছেন প্রায় ১৭ হাজার ভোটার। বাকি ভোট জমা দিয়েছে রব-রুহুল প্যানেল এবং স্বতন্ত্র সভাপতি প্রার্থী জয়নাল আবেদীন। বাংলাদেশ সোসাইটির এবারের নির্বাচনের রব-রুহুল প্যানেলের নেপথ্য নায়ক ছিলেন বৃহত্তর নোয়াখালি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু। বলতে গেলে তিনি একাই ভোটারদের মন জয় করে এই প্যানেলকে জয়যুক্ত করেছেন। তার ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বের কারণেই রব- রুহুল প্যানেল জয়লাভ করেছেন। বিশেষ করে ব্রুকলীন কেন্দ্রের ফলাফলই নয়ন- আলী প্যানেলের পরাজয়কে নিশ্চিত করেছে। ব্রুকলীন কেন্দ্রে রব- রুহুল প্যানেলের বিশাল জয়ের নেপথ্য ভূমিকায় ছিলেন জাহিদ মিন্টু। এই কেন্দ্রেই এবার সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন এলেই একটি গোষ্ঠি নির্বাচনে কারিগরের দায়িত্ব পালন করেন। তারাই প্যানেল গঠন করেন এবং তারাই নির্বাচন পরিচালনা করেন। এবারের নির্বাচনেও অধিকাংশ কারিগর ছিলেন নয়ন- আলী প্যানেলের পক্ষে। আবার সুবিধাবাদী অনেকেই ভোটের ব্যাবধান দেখে নয়ন- আলী প্যানেলের পক্ষে চলে যান। তাদের সম্মিলিক প্রয়াসকে ধুলিসাৎ করে দেন জাহিদ মিন্টু একাই। তার চালে সবাই কুপোকাৎ। তিনি প্রমাণ করেছেন সঠিক, সৎ নেতৃত্ব এবং লক্ষ্য যদি স্থির থাকে তাহলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব। নয়ন- আলী প্যানেলের যারা কারিগর ছিলেন তারা শুধু কথার ফুলজুরি ছড়িয়েছেন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে শুধু বড় বড় কথা বলেছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেননি। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিলো ভোটার আনার। কিন্তু তারা সেই কাজটিই করতে পারেননি। তাদের জন্য সেই কাজটি করা কঠিন ছিলো। কারণ তারা এত বেশি ভোট করেছেন যে তারা তাদের ভোটের ট্র্যাকিং রাখতে পারেননি। কারা তাদের ভোটার সেটাই তারা চিহ্নিত করতে পারেননি। অন্যদিকে রব- রুহুল প্যানেল তাদের ভোটারদের চিহ্নিত করেছেন এবং ভোট কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন। অন্যদিকে গোপন যে খেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছিলো সেই খেলায়ও জয়যুক্ত হয়েছে রুব রুহুল প্যানেল। অনেকেই বলেছেন, এক জাহিদ মিন্টুর হাতেই সবাই ধরাশায়ী।

শেয়ার করুন