২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৯:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সর্ববৃহৎ ইফতার
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৪-২০২২
জালালাবাদ  অ্যাসোসিয়েশনের সর্ববৃহৎ ইফতার সৌহার্দ্য সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন জালালাবাদের ইতিহাসে অন্যতম সফল ইফতার মাহফিল,


 মহামারী করোনার কারণে কমিউনিটিতে গত দুই বছর কোনো ইফতার পার্টি ছিল না। এই বছর করোনা মহামারীর ভয়াবহতা শেষে কমিউনিটিতে ইফতার পার্টি শুরু হয়েছে। প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার পার্টি ছিলেঅ গত ৩ এপ্রিল। দ্বিতীয় রমাজানে এই ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয় উডসাইডের গুলশান টেরেসে। শঙ্কা ছিল এবার জালালাবাদবাসীর ইফতার সফল হকে কি না। কারণ একশ্রেণির লোক বিরোধিতা করেছিল। তাদের সেই আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত ইফতার পার্টিতে যেন মানুষের ঢল নামে। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো গুলশান টেরেস একখন্ড জালালাবাদে পরিণত হয়।

একসময় পুরো অডিটোরিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকেই দাঁড়িয়ে ইফতার করেন, আবার অনেকে বাইরে দাঁড়িয়েও ইফতার করেন। এটি ছিল জালালাবাদের ইতিহাসে অন্যতম সফল ইফতার মাহফিল। জালালাবাদের এই ইফতারে ছিল সৌহার্দ্য সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন। আয়োজকদের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। বিশেষ সংগঠনের সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, ইফতারের আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব রোকন হাকিমের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে অংশগ্রহণকারীরা ছিল আবেগাপ্লুত। প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ের দিকে তারা কড়া নজর রেখেছেন। যে কারণে সব কিছুতেই ছিল প্রাণে ছোঁয়া, হৃদয় নিগড়ানো স্পর্শ। যে স্পর্শের পরশে সবাইকে উদ্বেলিত করেছে। অন্তরে মনে রাখার মত দাগ কেটেছে। বিশেষ করে আহ্বায়ক মইনুল ইসলামের জায়নামাজ গিফট সবার হৃদয় স্পর্শ করেছে। কারণ এই গিফট অতীতে কাউকে দিতে দেখা যায়নি। নিউইয়র্কসহ আশেপাশের স্টেট থেকেও অনেকে ইফতার পার্টিতে যোগদান করেন।

জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ ও সদস্য সচিব রোকন হাকিমের পরিচালনায় এবং আহ্বায়ক মইনুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে, সেই সাথে কার্যকরি কমিটির ১১ সদস্যের সার্বিক সহযোগিতায় ইফতার মাহফিল ছিল স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ইফতার পার্টি। ইফতার পার্টিতে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজ, বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, মূলধারার রাজনীতিবিদ হায়রাম মনসুরাত, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন, এম এম শাহীন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানা ফেরদৌস চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আজিমুর রহমান বোরহান, জ্যাকসন হাইটস বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুণ ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলম নমি, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সৈয়দ শওকত আলী, আব্দুল বাসিত, বদরুন নাহান খান মিতা, বিশিষ্ট শিল্পপতি জহিরুল ইসলাম, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আতাউর রহমান সেলিম, গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের সভাপতি শাহ নেওয়াজ, সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ মজিদ, প্রবীন সদস্য ছদরুন নূর, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদের মেয়ে রুমানা আহমেদ জুই প্রমুখ।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ নজরুল হক, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন কমিশনার মিনহাজ আহম্মেদ সাম্মু, সাব্বির হোসেন, মৌলভীবাজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলু মিয়া, সাবেক সভাপতি সৈয়দ জুবায়ের আলী, বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, সাবেক সভাপতি বিলাল চৌধুরী, বদরুল হক, নজরুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, মিজানুর রহমান মিজান, এমদাদ তরফদার, জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম, জাবেদ আহমেদ, মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, দেওয়ান সাহেদ চৌধুরী, ফজল খান, মোদাব্বির হোসেন, মইনুজ্জামান চৌধুরী, এ এফ মিসবাউজ্জামান, জে. মোল্লা সানি, শো টাইম মিউজিকের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলম, রুমান রেজাউল, ফক্কু মিয়া, বাবরুল ইসলাম, বিয়ানীবাজার সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব, আসিফ চৌধুরী, দরুদ মিয়া রনেল, সাইফুর খান হারুণ, আবু সাঈদ আহমেদ, এম বাতিন, আতিকুল হক আহাদ, মিসবাহ আহমেদ, মিসবাহ উদ্দিন, কিনু চৌধুরী, বশির উদ্দিন, আব্দুস সালাম, সৈয়দ এনাম, আজনু মিয়া তালুকদার, দেওয়ান মোস্তাক মঞ্জু, আবু সাঈদ কুটি, ফয়সল আহমেদ, আলমগীর মিয়া, জাকির হোসেন অসিম, আতিকুল হক জাকির, মিজান চৌধুরী, ইফজাল চৌধুরী, আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আব্দুর নূর বড়ভুইয়া, গোলাম জি খান, আকবর হোসেন স্বপন, জাহিদ খান, সাজু মিয়া, আতিকুর রহমান, শাহ মিজান, শাহ সাদেক মিয়া, জামাল হোসেন, ইমরান আলী টিপু, রহমান মালেক, মোহাম্মদ আই সুলতান, মনিরুজ্জামান মনির, মখন মিয়া, বশির উদ্দিন, আব্দুস সালাম, কাজী কাইয়্যুম, মামুনুর রশিদ শিপু, আব্দুল মুসাব্বির, মোহাম্মদ আব্দুল মালেক খান লায়েক, লোকমান হোসেন লকু, অপু, রিজু মোহাম্মদ, অনিক রাজ, ইফজাল আহমেদ, তোলন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরুল আজিম, আব্দুস শহীদ, তারেক আম্বিয়া টিপু, শফিউদ্দিন তালুকদার, বোরহান উদ্দিন, শাহীন কামালী, সুতিপা চৌধুরী, হেলিম উদ্দিন, মান্না মুনতাসির,, মিজানুর রহমান মিজান, হুমায়ুন চৌধুরী, নাজমুল ইসলাম চৌধুরী, আল আমিন, দেলোয়ার হোসেন মানিক, তাজুল ইসলাম, নূরে আলম জিকো, বোরহান উদ্দিন, সাইকুল ইসলাম, রবিউল হাসান, সফিকুল ইসলাম লকু, ফজলুর রহমান চৌধুরী, দিনার চৌধুরী, লিয়ন, আবুল ফজল লিটন, এম এ কাদের জিলানী, শাহ কবির আহমেদ, মাজেদা উদ্দিন, রিমি ভুইয়া, রানো নেওয়াজ, শাহীন আজমল, আব্দুল কুদ্দুস জয়, আফজল চৌধুরী, সালমা চৌধুরী, জেরিন খান, হাফসা রহমান, রুহিন মিয়া সাজু, কাদের খান, রিপন মিয়া, ওয়াহিদ পারভেজ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা সাইফুল আলম সিদিবদকী।

এ দিকে একই দিনে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নির্বাচন কমিশন ৩৩টি মনোনয়ন বিক্রি করেছেন। যার মধ্যে বদরুল- মইনুল প্যানেলের পক্ষে নেয়া হয় ২২টি মনোনয়ন।



শেয়ার করুন