ঢাকায় নয়া পল্টনের বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে ও তার পরবর্তি কর্মকান্ডের দিকে তীকè নজর রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউস, বাংলাদেশে বড় একটি রাজনৈতিক বিক্ষোভের আগে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপর সহিংসতার ঘটনার পূর্ণ তদন্তে আহ্বান জানিয়েছে।
একই সঙ্গে পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানানো হয়েছে। শুক্রবার এ আহ্বান জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দপ্তর। খবর রয়টার্সের।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বদ বিরোধী দল বিএনপির কর্মী ও সমার্থকদের উপর গত বুধবার পুলিশ গুলি চালালে একজন নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন আরো ৬০ জনেরও বেশী।
ভোয়ার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় আজ শনিবার বিএনপির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশকে সামনে রেখে গত মাসে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিক্ষোভে ১০ লাখ লোক অংশ নিতে পারে দলচির শীর্ষ নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময় বলে আসছেন।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, এসব ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্ভিগ্ন। এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুব খুবই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের ভয়ভীতি, হুমকি হয়রানি ও সহিংসতামুক্ত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অধিকারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে সমার্থন জানিয়ে আসছে।
জন কিরবি আরও বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই, তারা হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকবে। কোনো দল কিংবা প্রার্থীকে হুমকি, অন্য কোনো দলের বিরুদ্ধে উসকানি বা সহিংস আচরণ করা যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’
জন কিরবি বলেন, ‘সংহিংসতার ঘটনা পূণাঙ্গ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্তের’ জন্যও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় ওয়াশিংটন।