০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৩:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন


ভারতে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীতে নেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৯-২০২২
ভারতে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীতে নেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাস্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন/ফাইল ছবি


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মুহুর্তে গুরুত্বপুর্ন সফরে রয়েছেন ভারতে। তবে তার সঙ্গে শেষ পর্যন্ত সফরসঙ্গী হতে পারেননি পররাস্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় সুত্রে জানানো হয়েছে অসুস্থ্যতার জন্য তাকে শেষ মুহুর্তে বাদ দেয়া হয়েছে। 

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সফরে যাবেন কি-না এ নিয়ে একটা গুঞ্জন ছিল আগে। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সফরে সোমবার সকালে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং সেখানে পৌছান। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। 

এ সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় ছিল। শেষ পর্যন্ত জানা গেল, তিনি দিল্লি সফরে নেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে শেষ মুহূর্তে এ সফর বাতিল করতে হয়েছে আবদুল মোমেনকে। তবে  নিয়ম অনুযায়ী দেশের সরকার প্রধান যখন কোনো রাষ্ট্রীয় সফরে যান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্যই তার সফরসঙ্গী হন। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সঙ্গী হচ্ছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়ে ওঠেনি।

এদিকে আগষ্টে চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্মাষ্টমী উৎসবের  এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তার বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, সম্প্রতি তিনি দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন, তখন তিনি বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করেছেন। “আমি ভারতে গিয়ে যেটি বলেছি যে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “আজকে অনেকের বক্তব্য এসেছে যে শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাঁকে (শেখ হাসিনা) টিকিয়ে রাখলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে। আমাদের দেশ সত্যিকারভাবে অসাম্প্রদায়িক দেশ হবে।


“সেজন্য শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করার, সেজন্য ভারতবর্ষ সরকারকে আমি সেই সেই অনুরোধ করেছি,” এ বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বক্তব্য নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়। খোদ নিজ দল আওয়ামী লীগেও তিনি প্রচন্ডরুপে সমালোচনার সম্মুখীন হন। এবং কেউ কেউ বলেছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের দলীয় কেউ নন। 

সে সময় থেকে ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হওয়া না হওয়া নিয়ে সমালোচনা হয়। কারন ওই ঘটনায় ভারতও বিব্রত হয়। 


শেয়ার করুন