২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৫:৩২:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


মঈনুল ইসলামের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ৩৮ বছর পর জালালাবাদবাসীর স্বপ্নপূরণ
দেশ রিপোর্ট:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৯-২০২২
মঈনুল ইসলামের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ৩৮ বছর পর জালালাবাদবাসীর স্বপ্নপূরণ


প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন। এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভবনের, কিন্তু জালালাবাদবাসীর সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি, অর্থাৎ অধরাই রয়ে গেল। অতীতে অনেকেই চেষ্টা করেছিলেন, ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, কিন্তু ভবন হয়নি। যদিও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের প্রয়াত সভাপতি কামাল আহমেদ ফিলাডেলফিয়ায় একটি ভবন ক্রয় করেছিলেন। সেই ভবন একসময় বিক্রি করে দেয়া হয়। প্রতিবারই নির্বাচন হয়, নির্বাচনে যারা আসেন তারাই প্রতিশ্রিুতি দেন ভবনের। ভবন শুধু প্রতিশ্রুতির মধ্যেই থেকে যায়। অথচ জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ভবন হবার কথা ছিল বহু আগে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে ভবন করা সম্ভব হয়নি। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন প্রবাসের যতো সংগঠন রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বৃহৎ সংগঠন। শুধু যোগ্য নেতৃত্বে অভাবে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। সেই অসাধ্যকে সাধন করলেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম। যদিও তিনি নির্বাচনের পূর্বে জালালাবাদবাসীকে প্রতিশ্রিুতি দিয়েছিলেন তারা যদি তাকে এবং তার প্যানেলকে নির্বাচিত করেন, তাহলে তিনি জালালাবাদবাসীর জন্য ভবন করে দেবেন। কিন্তু ভবন যে তিনি এতো দ্রুত দেবেন তা কারো কল্পনাতেও ছিল না। তাও আবার বাংলাদেশি অধ্যুষিত এস্টোরিয়া এলাকায়।

অতীতে অনেকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যর্থ হলেও মইনুল ইসলাম ব্যর্থ হননি। তিনি শতভাগ সফল হয়েছেন। তার প্রতিশ্রুতির মধ্যে আন্তরিকতা ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন জালালাবাদবাসীর প্রাণের দাবিটি পূরণ করতে। নতুন ইতিহাস রচনা করতে। সেই ইতিহাস তিনি রচনা করলেন। ইতিহাস রচনায় তাকে সহযোগিতা করেছেন বিদায়ী সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজসহ অন্য কর্মকর্তারা। মইনুল ইসলাম শুধু ইতিহাস রচনাই করেননি, নিজেও ইতিহাসের অংশ হয়ে রইলেন। যখনই জালালাবাদ ভবনের কথা আসবে তখনই মইনুল ইসলামের নাম আসবে।

প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের নিজস্ব ভবনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলেন সংগঠনটির এবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম। নিউইয়র্কে প্রবাসী বাঙালিদের অন্যতম বড় সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের নিজস্ব ভবন ক্রয় করা হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অভিষেক অনুষ্ঠানের পর এই তথ্য জানিয়েছেন নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের নতুন কেনা নিজস্ব এই ভবনটির ঠিকানা এস্টোরিয়ার ৩৬০৭-এর ৩১তম স্ট্রিট, নিউইয়র্ক ১১১০৬।

দেশ পত্রিকার এক প্রশ্নের জবাবে মইনুল ইসলাম বলেন, আমি প্রতিশ্রæতি দিয়েছি রক্ষা করার জন্য। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় আমি এতোই দৃঢ় ছিলাম যে, সুযোগ বুঝেই কাজটি সম্পন্ন করি। তিনি বলেন, আমি মনে করি প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষা করা আমাদের ইমানি দায়িত্ব। যে কারণে আমি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব বা শপথ নেয়ার আগেই বাড়িটি ক্লোজ করি। পরিস্থিতি এমন ছিল যে ভবনটি আমাকে ক্লোজ করতে হয়েছে। আমি বাড়িটি ক্লোজ করি আগস্ট মাসের ১২ তারিখে। আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া আমি আমার দেয়া ওয়াদা পূরণ করেছি। যদিও পুরোদমে সহযোগিতা পেয়েছি সাবেক সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তার। আমার প্রতি তাদের আকুণ্ঠ সমর্থন ছিল। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বাড়িটি আমরা ক্রয় করেছি লাখ ৭০ হাজার ডলারে। ক্লোজিং এবং ডাউনপেমেন্ট আমরা দিয়েছি প্রায় লাখ ডলারের ওপরে। বাকি অর্থের জন্য আমাদের মর্টগেজ পে করতে হবে। তিনি বলেন, আমার ইচ্ছা সভাপতি বদরুল হোসেন খানের নেতৃত্বাধীন আমাদের যে কমিটি সেই কমিটির সহযোগিতায় আমরা এই বাড়িটি পেইডআপ করে যাবো। তিনি বলেন, আমার আরো পরিকল্পনা রয়েছে, আমি আমার কমিটির সাথে বসে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বাড়ির বর্তমান মূল্য পয়েন্ট মিলিয়ন। একজন ক্রেতা এই অফার দিয়েছিল। আমি মনে করেছি, এটা আমি আমার জালালাবাসীর জন্য সেক্রিফাইস করলাম।

তিনি আরো বলেন, বদরুল-মইনুল পরিষদ আগামীতেও আরো উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সকল জালালাবাদবাসীর সহযোগিতা দোয়া কামনা করেছেন।

শেয়ার করুন