জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেছেন- জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি দেশ ও মানুষের অধিকাররে প্রশ্নে সর্বদা সোচ্চার। তিনি দেশ ও মানুষের নেতা। তাই জিএম কাদের এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দেশ ও মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের নেতার কন্ঠরোধ করার অপচেষ্টা নজিরবিহীন। দেশের মানুষ জিএম কাদের এর কথা শুনতে চায়, দেশের মানুষ তাঁর নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে।
এতে হতাশ হয়ে দল থেকে বহিস্কৃত এবং অর্বাচীন কিছু মানুষ জিএম কাদের ও জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তিনি বলেন আদালতের উপর পূর্ণআস্থা আছে আমাদের। আমরা বিশ^াস করি আদালত মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা খারিজ করে দিবেন। আমাদের নেতা জনবন্ধু জিএম কাদের আবারো মুক্ত ভাবে দেশ ও মানুষের কথা বলবেন। তিনি বলেন, আগামী দিনে গণমানুষের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়ে জিএম কাদের এর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি সরকার গঠন করবে।
আজ দুপুুরে বিজয়নগর প্রধান সড়কে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কদের এমপি'র বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি- শেরীফা কাদের এমপি বলেন, জাতীয় পার্টি হচ্ছে সুশৃঙ্খল ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক শক্তি। জাতীয় পার্টির শৃঙ্খলা কখনোই দুর্বলতা নয়। তিনি বলেন, হাজার হাজার মানুষের এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ প্রমাণ করে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। তিনি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ ্কাদের এর বিরুদ্ধে দায়ের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোন বিভেদ নেই, জাতীয় পার্টি জিএম কাদের এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। কোন ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবে না।
এসময় জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা বলেন- রাজনীতিতে হামলা, মামলা ও ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর বিরুদ্ধে যে অপশক্তি ষড়যন্ত্র করেছে তারা এখন আবার সক্রিয় হয়েছে। তিনি বলেন, জিএম কাদের কোন ঠুনকো রাজনীতিবিদ নয়, ষড়যন্ত্র করে জিএম কাদের এর পথচলা স্তব্ধ করা যাবে না। সারাদেশে জিএম কাদের এর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জিএম কাদের এর ওপর গণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার জোয়ারে সকল ষড়যন্ত্র ভেসে যাবে।
এসময় সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য-এস এম আব্দুল মান্নান বলেন, কোন ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। জিএম কাদের এর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি টিকে থাকবে। তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর বিরুদ্ধে দায়ের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বিশেষ সহকারি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য- মীর আবদুস সবুর আসুদ বলেন, বর্তমান সরকারের দূর্নিতী, দুঃশাসন, লুটপাট ও অপরাজনীতির প্রধান সমালোচক হচ্ছেন জিএম কাদের। তাই জিএম কাদের এর কন্ঠরোধ করতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, জিএম কাদের এর কন্ঠরোধ করা যাবে না। জিএম কাদের হচ্ছেন দেশের নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষের মুখপাত্র।
এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, জিএম কাদের হচ্ছেন গণমানুষের নেতা। সাধারণ মানুষের মধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয় নেতা হচ্ছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জনবন্ধু জিএম কাদের। তাই কোন ষড়যন্ত্রে জিএম কাদের’কে দাবিয়ে রাখা যাবে না। দেশের মানুষ জিএম কাদের এর কথা শুনতে চায়। তাই দেশের মানুষই জিএম কাদের এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহরের দাবি জানাচ্ছে।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে বিজয়নগর প্রধান সড়কে সমাবেত হতে থাকেন। তখন জাতীয় পার্টি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দেয়। সকল ষড়যন্ত্র রাজপথে মোকাবেলা করার ঘোষণাও দেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
জাতীয় পার্টির মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন - জাতীয় পার্টির কো -চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য -সাহিদুর রহমান টেপা,এস এম আব্দুল মান্নান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু,এটিইউ তাজ রহমান,হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন,এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া,এমরান হোসেন মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, জহিরুল ইসলাম জহির, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা — শেরীফা কাদের এমপি,হেনা খান , নাজনীন সুলতানা ,
মাহবুবুর রহমান লিপ্টন, এড জহিরুল হক জহির, ভাইস-চেয়ারম্যান - আরিফুর রহমান খান,এইচ এম শাহারিয়ার আসিফ, যুগ্মসচিব - গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ফখরুল আহসান শাহজাদা, এড আব্দুল হামিদ ভাসানী, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক - নির্মল চন্দ্র দাস,মোঃ হেলাল উদ্দিন, হুমায়ূন খান,এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, সৈয়দ ইফতেখার আহসান হাসান,সম্পাদক আহাদ চৌধুরী শাহীন, এস এম আল জুবায়ের, মিজানুর রহমান মিরু,মুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন মৃধা, ফয়সাল দিদার দিপু, সামশুল আলম লিটন,কেন্দ্রীয় নেতা - মেহেদী হাসান শিপন, মাহবুবুর রহমান খসরু, আলহাজ্ব আব্দুল বাতেন, মাহমুদুল হাসান আলাল, জাতীয় ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
উপস্থিত ছিলেন -চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ডঃ নূরুল আজহার শামীম, অধক্ষ গোলাম মোস্তফা, হারুন অর রশিদ,এড লাকি বেগম, মনির আহমেদ, নিগার সুলতানা রানী,সালমা হোসেন,শেখ আলমগীর হোসেন, তারেক এ আদেল, যুগ্মসচিব - এড সাহিদা রহমান রিংকু, মোঃ বেলাল হোসেন, সালাউদ্দিন খোকা মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন সরকার, শাহজাহান মানসুর,এনাম জয়নাল আবেদীন,মাহমুদা রহমান মুন্নি,মাখন সরকার,সুমন আশরাফ, সম্পাদক - এম এ রাজ্জাক খান, মাসুদুর রহমান মাসুম, মঞ্জুরুল হক গোলাম মোস্তফা,জামাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক -
আজাহারুল ইসলাম সরকার, আক্তার হোসেন দেওয়ান,এম এ সোবহান, সুজন দে, নজরুল ইসলাম,মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক,জুবের আলম খান রবিন,লিটন মিয়াজী,ডাঃ সেলিমা খান, কেন্দ্রীয় নেতা - ফজলে এলাহি সোহাগ,রিতু নূর, শফিকুল ইসলাম দুলাল, জি এম বাবু, শেখ সরোয়ার হোসেন, সোলায়মান সামি, নুরুজ্জামান, জাকির হোসেন খান, আলাউদ্দিন আহমেদ, জাহিদ হাসান, রমজান আলী ভূঁইয়া, মোকলেছুর রহমান বস্তু, মোতাহার হোসেন শহীদ, নজরুল সরদার,জাহাঙ্গীর আলম, তাসলিমা আকবর রুনা ,
জিয়া উর রহমান বিপুল,হিয়া,আসমা, শরিফুল ইসলাম শরিফ, ইলোরা ইয়াসমিন, ফারুক শেঠ, মোঃ আরিফুল ইসলাম রুবেল, এড আলতাফ হোসেন,তুলি, প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম সেলিম,এস এম হাশেম, এড আব্দুল ওয়াহাব, নুরুজ্জামান, চৌধুরী সাজ্জাদ পারভেজ প্রমুখ।
