আপনি নিউইয়র্কে এমন কোনো অফিস আদালত খুঁজে পাবেন না যেখানে কাউকে না কাউকে পেয়ে যাবেন যারা সে অফিসের কর্মকর্তা এবং বাংলায় কথা বলেন।
নিউইয়র্ক সিটি স্টেট বা ফেডারেল অফিসগুলোতে এখন প্রচুর বাঙালি কর্মকর্তা কাজ করেন। এটি নিঃসন্দেহে এক বিশাল অর্জন। এ অর্জনের পেছনে রয়েছে একটি সংগঠন, বাংলাদেশি সিভিল সার্ভিস সোসাইটি বা সংক্ষেপে এনবিসিএস।
সোসাইটি কীভাবে কাজ করে তা এখন আর কারো অজানা নয়।
এখানে সরকারি চাকরিগুলোর খোঁজ কোথায় পাওয়া যায়, কী কী যোগ্যতা প্রয়োজন, বাংলাদেশ থেকে পাশ করা সার্টিফিকেটগুলো এখানে কীভাবে মূল্যায়ন করে কী উপায়ে সরকারি চাকরির আবেদন করা যায়, পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নেয়া যায়, কী ধরনের প্রশ্নপত্র থাকে ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও প্রচার করে বাংলাদেশি শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে জানানো ও আগ্রহী করে তোলার কাজটি দীর্ঘদিন থেকে নিরলসভাবে করে আসছে বাংলাদেশি সিভিল সার্ভিস সোসাইটি।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের কুইন্স বুলেভার্ডের একটি অভিজাত পার্টি হলে হয়ে গেলো এই সংগঠনের বার্ষিক পারিবারিক মিলনমেলা। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ডা. নাফিসুর রহমানের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মঞ্চে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় উপদেষ্টা পরিষদ ও নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের।
সিভিল সার্ভিস থেকে সদ্য অবসরে যাওয়া উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে ও নির্বাহী পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিনা সাহাকে সুরম্য ক্রেস্ট দিয়ে বিশেষ সম্মাননা জানান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ভূঁইয়া ও সুজাউদ্দিন মোল্লা।
সংক্ষেপে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা তৈয়বুর রহমান হারুন, আজহার আলী খান, আওকাত হোসেন খান, মোহাম্মদ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব কবীর ও প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মজুমদার।
সাধারণ সদস্যদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আনোয়ার পারভেজ এবং অতিথির বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে সবাইকে মুগ্ধ করে জনপ্রিয় শিল্পী চন্দন চৌধুরী। এছাড়াও সংগীত পরিবেশন করেন ফাহমিন রহমান টুইংকল, ফাতিমা খান, আরিফ আহমেদ অর্ণব, মোহাম্মদ শানু ও ভিক্টর।
মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করেন দেবারতি চৌধুরী ও আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট নাট্যজন লুৎফুন্নাহার লতা।