২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ৬:২৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


গ্রি-মেকানিক্যাল ইয়াংকার্স
সিটির অনুদানে হিটিং-এয়ারকন্ডিশন লংআইল্যান্ডের জন্য বিশেষ সুবিধা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৩-২০২৩
সিটির অনুদানে হিটিং-এয়ারকন্ডিশন লংআইল্যান্ডের জন্য বিশেষ সুবিধা নিজ অফিসে তোফায়েল চৌধুরী লিটন


নিউইয়র্ক সিটির অনুদানে বাসা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অত্যাধুনিক হিটিং এবং এয়ারকন্ডিশন লাগিয়ে দিচ্ছেন গ্রি-মেকানিক্যাল ইয়াংকার্সের স্বত্বাধিকারী বাংলাদেশি কমিউনিটির অত্যন্ত পরিচিত মুখ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তোফায়েল চৌধুরী লিটন। যে কেউ বাংলাদেশি তোফায়েল চৌধুরী লিটনের মাধ্যমে নিজ বাসায় বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অত্যাধুনিক এবং পরিবেশসম্মত এই হিটিং সিস্টেম এবং এয়ারকন্ডিশন লাগিয়ে নিতে পারেন। রক্ষা পেতে পারেন বয়লার সিস্টেম থেকে। জানা গেছে, এখন সিটি থেকে প্রতিটি বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ৮ হাজার ডলার দেয়া হচ্ছে। অতিরিক্তি অর্থ বাড়ির মালিক বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে দিতে হবে। তবে লংআইল্যান্ডবাসীর জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা। তারা ৫০ শতাংশ অর্থে তারা এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। লিটন চৌধুরী জানান, সিটির অনুদানের অর্থ শেষ হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে তাড়িতাড়ি এই সুযোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিকে সহযোগিতা বা সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে তোফায়েল চৌধুরী ২ বছর আগে নিউইয়র্কের ইয়াংকার্সে এই প্রতিষ্ঠান চালু করেন। তার অফিস বা প্রতিষ্ঠান ইয়াংকার্সে হলেও তিনি নিউইয়র্কের সর্বত্র এই কাজ করেন। বিনা অর্থে এই সিস্টেম লাগিয়ে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে দিচ্ছেন ১০ বছরের গ্যারান্টি। আরো রয়েছে সমস্যা তৈরি হলে বিনামূল্যে তা মেরামত। তোফায়েল চৌধুরী লিটন জানান, এটি মূলত নিউইয়র্ক সিটির প্রজেক্ট। নিউইয়র্ক সিটিতে গ্রিন সিটি করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই প্রজেক্ট চালু করা হয়। অন্য কমিউনিটির লোকজন এই সুযোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু বাংলাদেশিদের সেবা দেয়ার জন্য আমি এই প্রজেক্ট চালু করি। তিনি বলেন, এই সিস্টেম চালুর জন্য প্রয়োজন শুধু একজন বাড়ির মালিক বা ব্যবসায়ীর সিদ্ধান্ত নেয়া। সিদ্ধান নেয়ার পর আমরাই নিজেদের লোক দিয়ে সবকিছু বাস্তবায়ন করবো এবং সিটির অর্থায়নের ব্যবস্থাও আমরা করবো। তিনি আরো বলেন, আমাদের এই সিস্টেমটি হচ্ছে পরিবেশসম্মত। কারণ এই সিস্টেম বাসায় বা ব্যবসায় লাগালে সেই বাসায় আর তেল বা গ্যাসের বয়েলার থাকবে না। যার ফলে পরিবেশ থাকবে স্বাস্থ্যসম্মত। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই অর্থ পেতে হলে কোনো ইনকাম চেক করা হবে না। সব ব্যবস্থা আমরাই করবো। তিনি বলেন, কারো বাসায় সিস্টেম চালু করা হলে আমরাই আমাদের অর্থে ফলোআপ করবো। সিস্টেম লাগানোর পর থেকেই আমাদের সার্ভিস শুরু হবে। সিস্টেম লাগিয়ে দিয়ে আসার পর অনেকেই হয়তো মনে করবেন যে, আমাদের দায়িত্ব শেষে। আসলে তা কিন্তু নয়। কম করে হলেও আমাদের সার্ভিস ১০ বছর চালু থাকবে এবং ১০ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি দেয়া হবে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি রুমের নতুন সিস্টেম লাগাতে সিটির অর্থের বাইরে একজন বাড়ির মালিকের ৭ থেকে ৮০০ ডলার খরচ হতে পারে। এই পেমেন্ট ওয়ান টাইম। এরপর বাড়ির মালিককে আর কোনো অর্থ দিতে হবে না। তিনি বলেন, এই সিস্টেম কারেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে করা হবে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের মেশিন কারেন্ট জেনারেট করবে। তবে কারেন্টের বিল আগের তুলনায় একটু বেশি হতে পারে। অন্যদিকে বাড়ির বা ব্যবসার মালিক বয়লারের গ্যাস-তেলের বিল থেকে মুক্তি পাবেন। সে ক্ষেত্রে বিল আসতে পারে রান্নার ক্ষেত্রে। এই সিস্টেমে আরো যেসব সুযোগ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রতিটি ফ্লোরের জন্য আলাদা আলাদা সিস্টেম করে দেয়া হবে। সেই সঙ্গে রুমও। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, আমাদের বাসায় এখন যে হিটিং সিস্টেম তাতে করে সমস্ত বাড়ির হিটিং চলে। নতুন সিস্টেমে আপনি যে রুমে থাকবেন বা প্রয়োজন মনে করবেন সেই রুমেই হিট চলবে। অর্থাৎ আপনি আপনার সুবিধামতো হিট চালাতে পারবেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সিস্টেমের ওয়ারেন্টি ১ বছরের। এক বছরের মধ্যে কিছু হলে আমরা নতুন করে সিস্টেম লাগিয়ে দেবো। ৩ বছরের মধ্যে কোনো পার্টস নষ্ট হলে তা লাগিয়ে দেবো এবং ১০ বছরের মধ্যে কমপ্র্রেশার নষ্ট হলে তাও লাগিয়ে দেবো। তিনি বলেন, এই সুযোগ প্রতিটি বাঙালি বাড়ির মালিক এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক গ্রহণ করতে পারেন। এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই সুযোগ প্রত্যেকের গ্রহণ করা উচিত। কারণ সিটির পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামীতে কোনো বাড়িতে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বয়লার সিস্টেম থাকবে না। যে কারণে সময় উপযোগী সুযোগটি সবার গ্রহণ করা উচিত। তিনি বলেন, বাড়ির মালিক বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক শুধু সিদ্ধান্ত নেবেন, আমরাই তার স্বপ্ন বাস্তাবায়ন করে দেবো। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন বাঙালিদের মধ্যে এই সিস্টেমের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। যারা এই সিস্টেম লাগিয়েছেন, তারা অন্যকে বলছেন এটি লাগানোর জন্য। কারণ এটি খুবই ভালো এবং সাশ্রয়ী। যে কারণে আমার বাঙালি ক্রেতা সন্তোষজনক এবং দিন দিন বাড়ছে।  বিস্তারিত জানতে নিউইয়র্কের জনপ্রিয় এবং পাঠকপ্রিয় পত্রিকা দেশ-এ চোখ রাখুন। (পাতা ১৩)।

শেয়ার করুন