২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১০:৪১:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


প্রবাসে রাজনীতি দেশের ভাবমূর্তি দারুণ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে
খন্দকার সালেক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৯-২০২৩
প্রবাসে রাজনীতি দেশের ভাবমূর্তি দারুণ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ থামাতে পুলিশী পদক্ষেপ


প্রবাসে শাসক দল এবং বিরোধীদল এবং অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরস্পরবিরোধী বাংলাদেশি রাজনীতি দেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ করছে। বিরোধীদল এবং অঙ্গপ্রতিষ্ঠাগুলো যেমন সরকারবিরোধী সত্য মিথ্যা না প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। অন্যদিকে সরকারি দলের একাধিক সংগঠন নিজেদের বিরুদ্ধে সংঘাতপূর্ণ কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। অনেকেই দেশের দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ আমলাদের অর্থ এবং সম্পদ পাচারের মাধ্যম হয়ে কাজ করছেন। 

ইউরোপ, আমেরিকার অধিকাংশ দেশেই অন্য দেশের রাজনীতি করায় নিষেধাজ্ঞা আছে। ইতালি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের অনেক দণ্ডপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ফেরারি জীবনযাপন করছে। সেটা কোনো দলকেন্দ্রিক নয়, সব দলেরই। এরা বিভিন্ন ইস্যুতে নিজ নিজ গোত্রে ঐক্য। এটা ভালো। কিন্তু ওই ঐক্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরকালেও বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন করে বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতির প্রতিফলন ঘটায়। যার কারণে প্রবাসে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পরিষদ আছে অনেক শহরে একাধিক। তেমনি অন্য সব দলেরও আছে নানা দল। জাতীয় স্বার্থে সময় এসেছে প্রবাসে বাংলাদেশের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইন প্রণয়নের।

অধিকাংশ দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেই দেশের তথাকথিত বাংলাদেশি রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে দুর্নীতিমূলক মানব প্রচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময় নানা দল বিদেশ যাচ্ছে। এই দলগুলোর সঙ্গে অর্থের বিনয়ে আদম পাচার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অথচ কিছু বিদেশি মিশন রেমিট্যান্স অর্জনকারী বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবহেলা করে বলে অভিযোগ আছে।

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের বার্ষিক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাবেন। তার নাগরিক সংবর্ধনা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরস্পরবিরোধী আওয়ামী সংগঠন এখন মুখোমুখি। এমনিতেই বিরোধীদল প্রধানমন্ত্রী বিরোধী সমাবেশ, র‌্যালি করবে। সেখানে খোদ আওয়ামীপন্থীরা দ্বিধাবিভক্ত। এক দল অন্যদলকে সহ্য করতে পারছে না। 

এক দলের লোকজন অন্যদের স্বার্থান্বেষী বলতেও ছাড়ছে না। দেশের এহেন পরিস্থিতিতে খোদ সরকার দল তথা, আওয়ামী লীগের নিজেদের দলের অ্যাকটিভিস্টদের সংঘাতপূর্ণ অবস্থান নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। ফলে জাতীয় স্বার্থে পরবর্তী সরকার যেন জাতীয় সংসদে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রবাসে বাংলাদেশের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইন প্রণয়ন করার। আমি প্রবাসে ভারতীয়, পাকিস্তানি, শ্রীলঙ্কান বা আফগানদের রাজনীতি করতে শুনিনি বা দেখিনি। কেন বাংলাদেশিদের করতে হবে? যদি কারো ইচ্ছা হয় দেশে ফিরে রাজনীতি করায় কোনো বাধা আছে কি?

শেয়ার করুন