২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৩:২২:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


দেশকে ফেরদৌস
মানুষের মন হঠাৎ বৃষ্টিতে আটকে গেছে
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৫-২০২৩
মানুষের মন হঠাৎ বৃষ্টিতে আটকে গেছে ফেরদৌস আহমেদ


ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ফেরদৌস নামেই পরিচিত। নন্দিত অভিনেতা ও মডেল। দেশের পাশাপাশি কলকাতার ছবিতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজের প্রযোজনায় বেশ কিছু সিনেমা নির্মাণ করছেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে জিতেছেন পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আরও অনেকগুলো পুরস্কার। এসব নিয়ে তিনি কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলমগীর কবির

প্রশ্ন: আপনি অনেক বছর ধরেই সিনেমায় কাজ করছেন। কিন্তু ‘গেরিলা’ ও ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ নিয়ে আলোচনাটা একটু বেশি। এর কারণ কি? 

ফেরদৌস: আসলে কিছুকিছু সিনেমা তো এপিক হয়ে যায়, গেরিলা তার মধ্যে একটা। গেরিলাতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তুলে ধরা হয়েছে। ছবিটায় ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার বিষয়ও উঠে এসেছে- এ দুটি কারণেই গেরিলা মনে রাখে, তাই আমাকেও মনে রাখে। আর হঠাৎ বৃষ্টির কথা কি বলব, ওটার থেকেও আরো ভালো কাজ করেছি কিন্তু মানুষের মন ওখানেই আটকে গেছে।

প্রশ্ন: আপনি হাতে অনেকগুলো সিনেমার কাজ ছিল। ওই গুলোর খবর কি?

ফেরদৌস: বেশিরভাগ ছবির শুটিং শেষ। ‘আহারে জীবন’, ‘দামপাড়া’, ‘মাইক’, ‘১৯৭১ সেইসব দিনগুলি’, ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ ছবির মুক্তির ঘোষণা আসবে শিগগিরই। এর বাইরে ‘সুজন মাঝি’, ‘জ্যাম’, ‘গাঙচিল’, ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’, ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’সহ আরও যেসব ছবিতে অভিনয় করেছি, তা মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। 

প্রশ্ন: কাছাকাছি সময়ে এত ছবির মুক্তি কি নিজের সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো নয়?

ফেরদৌস: অনেকটা তাই। দু-তিন মাসের ব্যবধানে একটি করে ছবি মুক্তি পেলে সেটা অবশ্যই আনন্দের। কিন্তু একই সপ্তাহে নিজের একাধিক ছবি মুক্তি পাওয়া সত্যিই ভাবনার বিষয়। তা ছাড়া আমিও চাই না নিজের ছবির সঙ্গে অন্যটির প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক।

প্রশ্ন: কলকাতার ‘মীর জাফর চ্যাপ্টার টু’ ছবির কাজ শুরু হয়েছে?

ফেরদৌস: এখনও শুরু হয়নি। পরিচালক অর্কদীপ মল্লিকা নাথ জানিয়েছেন, বেশ কিছু কারণে ‘মীর জাফর চ্যাপ্টার টু’ ছবির শুটিং পেছানো হয়েছে। কাজ শুরুর আগে জানাবেন। দেখা যাক, কবে নাগাদ কী হয়।

প্রশ্ন: প্রযোজক হিসেবে কোন ধরনের ছবিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন?

ফেরদৌস: ব্যবসায়িক কোনো উদ্দেশ্য নয়; শৈল্পিক ভাবনা থেকেই প্রযোজনায় আসা। দর্শকের মনে ভাবনার খোরাক জোগাবে, এমন কিছু বিষয় ও গল্প নিয়ে ছবি নির্মাণ করার ইচ্ছা। সে কারণেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং বাঙালি জাতির কাছে তাঁর অবদান তুলে ধরতে ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ ছবিটি প্রযোজনা করছি। অন্যদিকে ‘যদি আরেকটু সময় পেতাম’ ছবিটি নির্মাণ করছি দর্শকের কাছে সময়োপযোগী কিছু তুলে ধরার প্রয়াসে। এই ছবিটি আরও কয়েকটি ভাষায় ডাব করে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

প্রশ্ন: আপনাকে স্টেজ শোতেও পারফর্ম করতে দেখা যায়। স্টেজ শোয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?

ফেরদৌস: এ ধরনের প্রোগ্রাম শিল্পীদের জন্য জরুরি। এর মাধ্যমে দর্শকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয়। সবসময় তারা আমাদের পর্দায় দেখেন। স্টেজ শোতে পারফর্ম করার কারণে দর্শকদের ভালোবাসা, আমাদের প্রতি তাদের মুগ্ধতা কাছ থেকে স্বচক্ষে দেখা যায়। এটি আমার জন্য বেশ আনন্দময়।

শেয়ার করুন