২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১০:৪২:৩১ পূর্বাহ্ন


রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের স্মরণকালের বৃহত্তম বনভোজনে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৭-২০২৩
রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের স্মরণকালের বৃহত্তম বনভোজনে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের বনভোজন


প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক এবং আদর্শিক সংগঠন রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন। এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আদর্শ নেতৃত্বের কারণে সব সময় সৌহার্দ্য সম্প্রীতি অটুট রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে প্রবাসের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো নানাভাগে বিভক্ত হলেও রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন। এই সংগঠনের কমিটি নির্বাচন করা হয় সমেঝোতার মাধ্যমে। মাঝে মধ্যে এর ব্যত্যয়ও হয়। কিন্তু তাতে কী? কারণ তারা চাঁদপুরের মানুষের স্বার্থে সবসময়ই ঐক্যবদ্ধ। তাদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট। এই প্রবাসে তারা যেন একই পরিবারের সদস্য। নানা মত থাকতে পারে, কিন্তু সংগঠনের স্বার্থে এক মন, এক হৃদয়। সেই আদর্শ সংগঠনের বার্ষিক বনভোজন স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের উপস্থিতিতে গত ৯ জুলাই নিউজার্সির মারসন কাউন্টি পার্কে মনোরম পরিবেশে,হ্রদের পাশে, গাছের ছায়ায়, চমৎকার আবহাওয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ৯ জুলাই বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ভাগ্য তাদের সুপ্রসন্ন। বনভোজন শেষে ছিল বৃষ্টির হানা। কিন্তু বৃষ্টির পূর্বাভাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বনভোজন স্পটে চাঁদপুরবাসীর যেন ঢল নামে। এক সময় পুরো স্পট পরিণত হয় একখণ্ড চাঁদপুরে। নিউজার্সিতে বাংলাদেশের চাঁদপুর।

কয়েকটি বাসসহ কয়েক শত প্রাইভেট গাড়ির বহরে আসা লোকদের উপস্থিতিতে স্পটটি মুহূর্তের মধ্যেই মিলন মেলায় পরিণত হয়। অন্যদিকে স্টটটিও ছিল চমৎকার। পাশেই লেক। বনভোজন উদ্বোধনের পর একদিকে চলছিল বিভিন্ন বয়সীদের খেলাধুলা। মহিলাদের বালিশ খেলা এবং পুরুষদের ফুটবল খেলা। ছিল নতুন প্রজন্মের চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা। কেউবা খেলায় অংশ নেন, আবার কেউবা চলে যান মনে সুখে নৌ ভ্রমণে। সত্যি কথা বলতে কী রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের এবারের বনভোজন ছিল স্মরণকালের বৃহত্তম বনভোজন। কর্মকর্তাদের কষ্ট হয়েছে, কিন্তু দিন শেষে তাদের মুখে ছিল হাসির ঝিলিক। তৃপ্তিময় প্রশান্তি। এছাড়াও বনভোজনে চাঁদপুরবাসীর জন্য কবরের স্থান ক্রয়ের খবর দেওয়া হয়। যাতে সবাই আপ্লুত এবং অভিভূত হয়েছেন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন বর্তমান কার্যকরি কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সবকে। জয়তু রূপসী চাঁদপুর।

সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মাছুমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মনির পরিচালনায় সকালে বনভোজনের উদ্বোধন করেন সভাপতি ফখরুল ইসলাম মাছুম, সাবেক সভাপতি মামুন মিয়াজী, সাবেক সভাপতি আমিন খান জাকির। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বনভোজন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম মিলন, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু ছাদেক, যুগ্ম-সদস্যসচিব আবু তাহের, সদস্য সোহেল গাজী, আব্দুর রহিম ভুইয়া, আবু বকর, ফয়সাল পাটোয়ারি, ফয়সাল আহমদ রিপন, আব্দুল আহাদ ভুইয়া, আনোয়ার হোসেন অনু, শাহ আলম, হাসান মাহমুদ সোহেল, মোবারক হোসাইন, নূরুল আমিন, মিজানুর রহমান, মামুন মজুমদার, বিপ্লব সাহা, মোহাম্মদ কবীর, আক্তার হামিদ, আব্দুল মমিন, লুৎফর রহমান চুন্নু, মাহাবুবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম লিটন, সাইফুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ টিটো, রেজাউর রহমান রাজু, আলমগীর হোসেন, মিয়া ওবায়দুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আবু তাহের।

বনভোজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বনভোজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হারুণ ভুইয়া, সংগঠনের উপদেষ্টা ফিরোজুল ইসলাম পাটোয়ারি, মোহাম্মদ আলম, মনিরুজ্জামান মজুমদার, নূরে আলী স্বপন, মনির হোসেন, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সভাপতি ডা. এনামুল হক, ইউছুস সরকার, কাজী তোফায়েল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম ভুইয়া রুমি, মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, তপন জামান, হাজী খবির উদ্দিন, বাংলাদেশে সেবা ফাউন্ডেশনের মিনহাজুল ইসলাম শিয়াম প্রমুখ।

বনভোজনের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো র‌্যাফেল ড্র। র‌্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার ১ হাজার ডলারসহ প্রায় ১৫টি পুরষ্কার দেয়া হয়। যারা র‌্যাফেল ড্রতে সহযোগিতা করেছেন তারা হলেন- বারী হোম কেয়ারের আসেফ বারি টুটুল, জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্ট, শাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহ জে. চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, কাজী তোফায়েল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম ভুইয়া রুমি, আরিফুল ইসলাম, সানম্যান মানিট্রান্সফার, রহমানিয়া ট্রাভেলস, মান্নান সুপার মার্কেট, বিসমিল্লাহ হালাল পোলট্রি ইত্যাদি সুপারমার্কেট, অবকাশ। বনভোজনে সেবা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সবাইকে ফ্রি ব্যাগ দেওয়া হয়।

খেলাধুলায় যারা বিজয়ী হয়েছেন তারা হলেন- তানজিম, আহাদ, ফারহান, আবিদা, জারা, স্বপনীল, নাজারি, রাহান, সামারা, ফারুক, তাহা, অরক, তিসুন, রাফিদ, আনিকা, আদিবা, লাবিবা। মহিলাদের বালিশ খেলায় বিজয়ীরা হলেন- তাপসী, পলি, তাবাস্সুম ও জারা। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলেন- মোস্তাকিম, মাহমুদুল হাসান, মারিয়া জালাল। আরো যারা সহযোগিতা করেছেন তারা হলেন- এটর্নি মঈন চৌধুরী, খামার বাড়ি, সিকে ফ্রোজেন ফুড, অ্যালিড ম্যানেজমেন্ট সিলিউশন ইনক, সিএএস ফান্ডিং ইনক, গ্লোবাল ট্রাভেলস এন্ড ট্যুর, প্রবাসী মতলব সমিতি, ফারহাদ, ক্যালিসা অটো রিপেয়ারস ইনক, ইসমাইল হোসাইন, শাহ নেওয়াজ, আলমগীর হোসেন, আলমগীর হোসেন আলম, সারা হোম কেয়ার, ফাহাদ সোলায়মান, মোহাম্মদ মফিজ, মোহাম্মদ জামাল, রেদওয়ান, দিনাজ ও হোসেন মেডিক্যাল কেয়ার।

বনভোজনকে সফল ও সার্থক করার জন্য সভাপতি মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মাছুম সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মনির সব পৃষ্ঠাপোষক এবং যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।

সবশেষে র‌্যাফেল ড্রর মাধ্যমে বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন সভাপতি। বলেন, দেখা হবে আগামীতে, আরো সুন্দর আয়োজনে। 

শেয়ার করুন