আগামী ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প কি পুনরায় পরস্পরের প্রতিচ্ছবি হিসেবে লড়তে যাচ্ছেন? যদি এরকমটাই ঘটে যায় তবে সে সম্পর্কে কি ভাবছেন আমেরিকান ভোটাররা।
এ বিষয়ে এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিনীরা এ সম্পর্কে দেখিয়েছেন একরকম নেতিবাচক মনোভাব। তারা রাজনীতির মঞ্চে ২০২০ সালের মতো একটি নাটকের পুনরাভিনয় দেখতে উৎসাহী নন। এইএসএ টুডে ওসাফক ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে সদ্য প্রকাশিতএক সমীক্ষা পরিচালনা করেছে, তাতে শতকরা ৬৫ ভাগ রেজিস্ট্রার্ড ভোটার যে মতামত দিয়েছে এতে দেখা যাচ্ছে ডেমোক্র্যাট ভোটারদের সংখ্যা অর্ধেকই চান না প্রেসিডেন্ট বাইডেন পুনরায় নির্বাচনে অংশ নেন। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের মধ্যে শতকরা ৬৮ জন চায় না ট্রাম্প পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। ইন্ডিপেনডেন্ট ভোটারদের মধ্যে ১০ জনের মধ্যে সাত জনই চায় না বাইডেন কিংবা ট্রাম্প আবার নির্বাচনে আসুক।
অথচ প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক বলে তাদের মনোভাব ইতোমধ্যে ব্যক্ত করেছেন।
ইউএসএ টুডে ও সাফক ইউনিভার্সিটি ২২ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত যে সমীক্ষাটি করেন তাতে এক হাজার রেজিস্ট্রার্ড ভোটার অংশ নেন।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হতে ইচ্ছুকরা বলেছেন যদি বাইডেন পুনরায় প্রার্থী হন তা হলে তারা তাদের প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়াবেন। সমীক্ষায় দেখা যায় ডেমোক্রেটিক প্রাইমারি ভোটারদের মধ্যে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সকে সমর্থন করেন শতকরা ১৮ ভাগ। ট্রান্সপোর্টেশন সেক্রেটারি পিট বুটাজেগকে শতকরা ১৬, সিনেসোটা সিনেটর এমি কোলবাসার শতকরা ১১, নিউইয়র্কের কংগ্রেসওম্যান আলেসজান্দ্রিয়া ওকাশিও করটেজ শতকরা ১০, ক্যালিফোর্নিয়া গভর্নর নিউসম ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন উভয়েই শতকরা ৮ ভাগ।
অন্যদিকে রিপাবলিকান পার্টি থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প নমিনেশন চাইলে দলের আরো অনেকে তার সাথে প্রাইমারিতে লড়বেন এমন মনোভাব জানিয়েছেন।
সমীক্ষা অনুযায়ী রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্প শতকরা ৪৩ ভাগ, ফ্লোরিডা গভর্নর ডি স্যান্টিস শতকরা ৩৪ ভাগ, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স শতকরা ৭ ভাগ। এছাড়া বাকি চারজনকে শতকরা এক থেকে তিন পার্সেন্ট ভোটার সমর্থন করে।