২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৮:১১:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


মায়ানমারের আপত্তি খারিজ জাতিসংঘের আদালতে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৭-২০২২
মায়ানমারের আপত্তি খারিজ জাতিসংঘের আদালতে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেইগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের বাইরে গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ডাওডা জালো (মাঝে)


রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী সংখ্যালঘুদের গণহত্যার দায়ে মায়ানমারকে অভিযুক্ত করে করা এক মামলায়, মায়ানমারের আপত্তিগুলো গত ২২ জুলাই জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকরা খারিজ করে দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের এখতিয়ার আরোপকারী এই সিদ্ধান্তটি শুনানির পথ খুলে দিলো, যাতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের প্রমাণ পেশ করা হবে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং জাতিসংঘের এক অনুসন্ধান বলছে যে, মায়ানমারের এমন আচরণ ১৯৪৮ সালের গণহত্যা চুক্তির লঙ্ঘন। মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিøঙ্কেন বলেন যে, মায়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহিংস দমন গণহত্যার শামিল। মায়ানমার আগে বার্মা নামে পরিচিত ছিল।

বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকে এর সভাপতি, তুন খিন এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ৬ লাখ রোহিঙ্গা এখনো গণহত্যার মুখোমুখি হচ্ছে, যখন কিনা ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশের শিবিরে রয়েছে, তারা ন্যায়বিচারের আশার অপেক্ষা করছে।

আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে মামলাটি দায়ের করে। সে সময়ে রোহিঙ্গাদের প্রতি করা আচরণে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। ২০১৭ সালে মায়ানমারের বাহিনী নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন আরম্ভ করলে, লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। গাম্বিয়া যুক্তি দেখায় যে, গাম্বিয়া ও মায়ানমার, উভয়ই ১৯৪৮ সালের ওই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী পক্ষ এবং সকল স্বাক্ষরকারী পক্ষেরই দায়িত্ব রয়েছে এটা নিশ্চিত করার যে চুক্তিটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আদালতের বিচারকগণ এমন যুক্তির সাথে একমত পোষণ করেন।

সিদ্ধান্তের সারসংক্ষেপ পাঠকালে এই আদালতের প্রধান বিচারক, যুক্তরাষ্ট্রের বিচারপতি জোন ই. ডনোহিউ বলেন, গণহত্যা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী যে কোনো রাষ্ট্রই স্বাক্ষরকারী অপর কোনো রাষ্ট্রের দায়িত্বের বিষয়টি উত্থাপন করতে পারে, যার মধ্যে আদালতে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তেমনটি করাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

 

শেয়ার করুন