২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ১০:৪০:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি সরকারের কথিত উন্নয়নের প্রতি জনগণের বিন্দুমাত্র মোহ নাই


সেমিনারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না
বিশেষ প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৪-২০২২
আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক শীর্ষক সেমিনারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাস,ছবি/সংগৃহীত


‘গত ৫০ বছরে আমরা আমাদের সংস্কৃতি, জনগণ ও আমাদের অর্থনীতিকে সম্পৃক্ত করে একসাথে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করেছি। তাছাড়া আমাদের সম্পর্ককে বাংলাদেশ যত দ্রæত  প্রসারিত ও গভীর করতে চাইবে, যুক্তরাষ্ট্রও তত দ্রæত এগিয়ে যেতে প্রস্তত। তবে ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য করলে আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পরিবর্তন আসবে। কারণটা সহজ, বদলে গেছে বাংলাদেশ।’ -বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক শীর্ষক সেমিনারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাস  এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দ্রæততম  বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি। আপনারা স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা উত্তীর্ণ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই পরিবর্তন এক গতিশীল নতুন সম্পর্ক নির্দেশ করে। সহজ কথায়, বড় বড় অর্থনীতি ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নেতৃত্বশীল দেশগুলোর সাথে যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি পরিচালনা করে ভিন্নভাবে।’ 

তিনি বলেন, ‘আইন প্রয়োগের বিষয়ে আমি সৎভাবে বলতেক চাই, সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহিতা ছাড়া র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোন সুযোগ নেই। আমরা এমন একটি র‌্যাব চাই যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে তেমনি কঠোর থাকবে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে। কিন্ত র‌্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মানে এই নয় যে, আমরা জোরদার আইনপ্রয়োগ বিষয়ে। আমাদের ইতোমধ্যে স্থাপিত শক্তিশালী নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারবো না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে আমরা বাংলাদেশের সাথে কাজ করে যাবো।’

পিটার হাস বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার উৎসাহিতকরণ যেখানে আমরা একসাথে কাজ করতে পারি। যুক্তরাষ্ট্র নিখুঁত নয়। আমরা আমাদের নিজেদের গণতান্ত্রিক নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’ 

তিনি বলেন,‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ বিদেশী পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে মর্মে বিবৃতি দেয়ায় আমি সন্তোষ প্রকাশ করছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে এ আইন সংস্কারে আইনমন্ত্রীর সাম্প্রতিক প্রস্ততিরকেও আমি স্বাগত জানাই।

আন্তর্জাতিক মানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান শুধু নির্বাচনের দিন ভোটদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কার্যত, ইতোমধ্যেই নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য আবশ্যক হলো নাগরিকদের মতামত প্রকাশ, সাংবাদিকদের ভীতিহীন অনুসন্ধান এবং সুশীল সমাজের ব্যাপক পরিসরে জনমত গঠনের সুযোগ নিশ্চিত করা। আমি সুস্পষ্ট করতে চাই যে, আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ বেছে নেবে না। আমরা শুধু এমন একটি প্রক্রিয়ার প্রত্যাশা করি। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত  নিতে পারবে, কে দেশ চালাবে।’

তিনি বলেন,‘আমাদের দুটি দেশ গত ৫০ বছরে একসাথে একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলেছে। আমাদের দুদেশের মানুষে মানুষে বন্ধন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করে এবং তাঁরা বিদেশী শিক্ষার্থী জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ১৪তম এবং তাঁদের সংখ্যা দ্র“ততম হারে বাড়ছে। প্রাণচঞ্চল বহুদেশীয় জনগোষ্ঠী ও শক্তিশালী ব্যবসাযয়িক সংযোগ আমাদেরকে নিবিড়ভাবে পরস্পর যুক্ত রাখে। এখন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন দিকে মোড় নিয়েছে।

আমাদের অংশীদারিত্ব জোরদার করতে এবং আমাদের সম্পর্কের বিশাল সম্ভাবনা বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয় ভূমিকা নিতে প্রস্তুত। আমরা আপনাদের গতির সাথে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। উল্লেখ্য, গতকাল অনুষ্টিত ওই অনুষ্ঠানে অণ্যান্যদেও মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনও উপস্থিত ছিলেন। তথ্যসুত্র: ইউএস অ্যাম্বাসী ভ্যারিফাইড ফেসবুক থেকে। 


শেয়ার করুন