৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০২:৫৪:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


দেশকে রুকাইয়া জাহান চমক
বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু হতে চায় সেটা হয়নি তাই এমন ঘটনা
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৮-২০২৩
বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু হতে চায় সেটা হয়নি তাই এমন ঘটনা রুকাইয়া জাহান চমক


রুকাইয়া জাহান চমক। ছোট পর্দার এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে শুটিংয়ে অসদাচরনের অভিযোগ এনে টেলিভিশন নাট্যপরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডে অভিযোগ করেছেন এক পরিচালক। এ বিষয়ে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন চমক। সাক্ষাতকার নিয়েছেন আলমগীর কবির 

প্রশ্ন: গত ৪ আগস্টে নাটকের সেট থেকে আপনি রাগারাগি করে চলে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আসল কারণ কি ছিল?

রুকাইয়া জাহান চমক: আসলে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পন্ন মিথ্যা। আমার সঙ্গে দুর্ব্যাবহার করে উল্টো আমাকেই ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যখন কোনো উঠতি নায়িকা ভালো করতে থাকে, আশপাশের কারও কোনো চাহিদা পূরণ করতে না পারে, তখন তাঁর বিরুদ্ধে কিছু লোক লেগে যায়। এটা সব দেশেই যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে, এটা স্বাভাবিক, উঠতি নায়িকা আশপাশের কারও চাহিদা পূরণ না করলে তার পেছনে কেউ লাগবেই। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। আমার বিরুদ্ধে অনেক বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে!

প্রশ্ন: আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অন্যদের লাভ কি?

রুকাইয়া জাহান চমক: লাভ ক্ষতির হিসাবটা ওরাই ভালো বলতে পারবেন। ওই নাটকের নাম ছিল ‘শ্বশুরবাড়িতে প্রথম দিন’। শুটিং চলছিল রাজধানীর উত্তরার আনন্দবাড়ি শুটিং হাউসে। সেই শুটিংয়ের নির্মাতা ও অভিনেতা আরশ খান আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ছড়িয়েছেন। তারা বলছেন, আমি নাকি সিনিয়র অভিনয়শিল্পী মাসুম বাশারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছি। এটা কীভাবে সম্ভব? আমি কেন তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করব, এমন শিক্ষা তো আমি পাইনি।

প্রশ্ন: ওইদিন আপনি শুটিংয়ে দেরি করে গিয়েছিলেন কেন?

রুকাইয়া জাহান চমক: আমি শুটিংয়ে দেরি করে আসিনি। ১১টায় আমি শুটিং সেটে পৌঁছেছি। মেকআপ রুমে এক ঘণ্টার মতো ওয়েট করেছি, এরপর আমার আরেক সহকর্মী আরশ খান আসেন। তাহলে আমি পরে এসেছি এটা কীভাবে বলেন তারা?

প্রশ্ন: নির্মাতার সঙ্গে আপনার দ্বন্দ্বটা কিভাবে শুরু?

রুকাইয়া জাহান চমক: ডিরেক্টর একদম নতুন। সে আবার আরশের ঘনিষ্ঠ। আরশ তাকে সামনে আনার চেষ্টা করছে। আরশ বিষয়টি ম্যানুপুলেট করে, পরিচালককে বলে সিনক্রিয়েট শুরু করে। পরিচালক আরশের পক্ষ নেয়। পরে দেখি সবাই পরিচালকের পক্ষে কথা বলছে। তখন আমি বলি শুটিং করব না, চলে যাব। এ কথা শুনে পরিচালক বলতে থাকেন তার এলাকা উত্তরা। এখান থেকে এক পা নড়তে হলে আমাকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। আমাকে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়। তখন আমি বাধ্য হয়ে আমাদের অ্যাক্টর ইকুইটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সহযোগিতা চাই, আমি নিরাপদ বোধ না করায় ঘটনা পুলিশকে জানাই। কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ আসে। এর মধ্যে আবার পরিচালক আরশের কথা মতো অসুস্থ হওয়ার নাটক শুরু করে। তখন মাসুম বাশার আংকেল এসে বলেন, ‘আমার জন্য পরিচালক অসুস্থ হয়ে গেল... এই নিয়ে আংকেলের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু ঘটনার দিন আংকেল কিন্তু ডিরেক্টরস গিল্ডকে কিছু বলেননি। এখন সবাই বলছেন। আমি নিশ্চিত পরিকল্পনা করে আরশ আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

প্রশ্ন: তাহলে ‘দুর্ব্যবহার’-এর অভিযোগ আনার কারণ কী?

রুকাইয়া জাহান চমক: কারণ তো অবশ্যই আছে। এখানে নির্মাতা আর আরশ খান চক্রান্ত করে এটা ছড়াচ্ছেন। কারণ, আরশ আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল। এক সময় বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু হতে চায়। সেটা হয়নি। সেই রাগ আর ক্ষোভ থেকেই এমন ঘটনা সাজিয়েছে। যাতে আমার ইমেজ ক্ষুণ্ণ হয়; আমি আর কাজ না করি। অথচ আমি ডাক্তারি পড়া শেষ করে অভিনয়কে ভালোবেসে কাজ করছি। এমন মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে অপমান করলে কীভাবে কাজ করব? দরকার হলে কাজ করাই ছেড়ে দেব, তবুও আমি আমার সিনিয়র শিল্পীর গায়ে হাত তুলেছি- এ ধরনের অভিযোগ মেনে নেব না।

প্রশ্ন: প্রোডাকশন বয় ‘চমৎকার’ বলায় আপনি রেগে গেছেন। এমন অভিযোগের কারণ কি?

রুকাইয়া জাহান চমক: সেদিন সকালে আমাকে আরশ খান ফোন দিয়েছে। আমি তাঁর ফোন ধরিনি। পরে মেকআপ রুমে এসে আমাকে বলে, ‘তোমাকে ফোন দিলাম ধরলে না...’ তখন আমি বলি, আমাকে কল টাইম দেওয়ার দায়িত্ব সহকারী পরিচালকের। তুমি আমাকে কো-অর্ডিনেশন করতে পারো না। এটা বলায় সে ক্ষেপে গিয়েছে। সে আমাকে বলে ‘তুমি বেয়াদবি করলা আমার সঙ্গে।’ আমি বলি, কী বেয়াদবি করলাম? তার সবকিছু মাথায় উঠে গেছে।

শেয়ার করুন