২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৩:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা সদরে গুম-খুনের শিকার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওই মানববন্ধন
১০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী মানববন্ধনের কর্মসূচি বিএনপির
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-১২-২০২৩
১০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী মানববন্ধনের কর্মসূচি বিএনপির


মহাসমাবেশ করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ। ইসি বক্তব্য শোনার পর সে প্লান ত্যাগ করে ক্ষমতাসীন দল। ইসি বলেছিল অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু বিএনপি তাদের কর্মসূচিতে অটল। ১০ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা সদরে গুম-খুনের শিকার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধন করবে বিএনপি। এদিন রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয়ভাবে এই কর্মসূচি পালন করবে দলটি। এই কর্মসূচি উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।


আজ শুক্রবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।


এ সময় বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে। সেদিন গুম-খুনের শিকার পরিবারের সমন্বয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঢাকা মহানগরসহ জেলা সদরে এই কর্মসূচি পালিত হবে। ঢাকায় মানববন্ধন হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১টায়। এই বিষয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলাসমূহে মানববন্ধনে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য তারা প্রস্তুতি নিয়েছেন।’


রিজভী আরও বলেন, সরকারের দিক থেকে বাধা-বিপত্তি যদি আসে, সবকিছুকে প্রতিহত করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে এই মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করতে হবে। রিজভী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, মানববন্ধন কর্মসূচিতে যে সকল পরিবার নিপীড়ন-নির্যাতন ও গুম-খুনের শিকার হয়েছেন সেই সব পরিবারের সদস্যদের আপনারা মানববন্ধনে উপস্থিত করবেন।


ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পন্ড হওয়ার পর থেকে (গত ২৮ অক্টোবর) লাগাতার হরতাল-অবরোধ করে যাচ্ছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং তফসিল বাতিলের দাবিতে ১০ ম দফায় ২০ দিন অবরোধ এবং তিন দফায় চার দিন হরতাল করেছে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষ হয়েছে শুক্রবার সকাল ৬টায়।

দেশ ব্যাপী অবরোধ পালিত হওয়াকে কেন্দ্র করে দলের নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে রিজভী বলেন, এই কর্মসূচি অনাচারের বিরুদ্ধে, অবিচারের বিরুদ্ধে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে, একটা কর্তৃত্ববাদী সরকার যে জনগণের কাঁধের ওপর আরব্য উপন্যাসের দৈত্যের মতো চেপে বসেছে, যার কাছে মানবতা, মানবাধিকার, মানুষের নাগরিক অধিকারের কোনো দাম নেই।


তিনি বলেন, আজকে একটি জাতির সমস্ত সম্ভাবনা, অগ্রগতি, এগিয়ে যাওয়া সকল কিছুকে স্তব্ধ করে দিয়ে নিজের হাতে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য স্বৈরাচারে রূপান্তরিত হয়েছে আওয়ামী সরকার। তারা দেশ থেকে, রাষ্ট্র থেকে, সমাজ থেকে সত্য কথা ভুলিয়ে দিতে চাচ্ছে। তারা ন্যায় বিচার বিবেককে অন্তর্হীত করছে, নিরুদ্দেশ করতে চাচ্ছে। এ রকম একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে সত্য কথা, মানুষের অধিকারের পক্ষে কথা বলা সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়, সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়, অন্যায় হিসেবে গণ্য করা হয়।
নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারা দেশে অন্তত ২১৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাতটি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৮৭৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে। এ সময়ে বিভিন্ন হামলায় দলের অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব।

শেয়ার করুন