২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৬:৩২:১১ পূর্বাহ্ন


‘কুইন কনসর্ট’ ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলা
প্রিন্স চার্লস নতুন রাজা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৯-২০২২
প্রিন্স চার্লস নতুন রাজা মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর সাথে প্রিন্স চার্লস/ফাইল ছবি


শনবিার যুক্তরাজ্যরে রাজধানী লন্ডনরে সন্টে জমেসসে প্রসাদে বস্তিৃত এক অনুষ্ঠানরে মাধ্যমে প্রন্সি র্চালস ফলিপি র্আথার র্জজকে ব্রটিনেরে রাজা তৃতীয় র্চালস হসিবেে ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় সময় সকালে সন্টে জমেসসে প্রসাদে অ্যাকসশেন কাউন্সলি নামে একটি আনুষ্ঠানকি পরষিদরে সামনে রাজা হসিবেে তৃতীয় র্চালসরে অভষিকে হয়। এই অ্যাকসশেন কাউন্সলি ব্রটিশি রাজপরবিাররে সদস্য, দশেটরি প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য জ্যষ্ঠে রাজনীতবিদিগণ এবং ক্যান্টারবুররি র্আচবশিপকে নয়িে গঠতি। সন্টে জমেসসে প্রসাদ ঘোষতি র্সাবভৌম রাজার সরকারি বাসভবন।

তৃতীয় র্চালসকে রাজা ঘোষণার আগে ব্রটিশি র্পালামন্টেরে নম্নিকক্ষ হাউস অব কমন্সরে নতো পনেি র্মডান্ট রানি দ্বতিীয় এলজিাবথেরে মৃত্যু ঘোষণা করনে।এর আগে  ্ব্রিটেনের নতুন রাজা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হবে ‘রাজা তৃতীয় চার্লসের’ নাম, এ ঘোষনা শুক্রবার বাকিংহ্যাম প্যালেস জানিয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার মৃত্যুর পর পরই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রিটেনের রাজা হন প্রিন্স চার্লস। তবে রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর সেন্ট জেমস প্যালেসে শনিবার ব্রিটেনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় এ ঘোষণা অনুষ্ঠান হবে বলে জানানো হয়। 

এদিকে ব্রিটেনের নতুন রাজা- তৃতীয় চার্লস শুধুমাত্র ব্রিটেনেরই রাজা নন, তিনি বিশ্বের আরও ১৪টি দেশের শিরোমনি। এই ১৪টি দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা। পুরানো রীতি অনুসারে এখনো বিশ্বের ১৪টি দেশ ব্রিটেনের রাজা-রানিকে তাদের রাষ্ট্রপ্রধানের মর্যাদা দেয়ার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।  

এদিকে ব্রিটেনের রাজা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজা তৃতীয় চার্লস ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর সর্বময় ক্ষমতাবান, বিচার বিভাগের প্রধান এবং সিভিল সার্ভিসের প্রধান হয়েছেন। তাছাড়া এখন নাইটহুড বা অন্যন্য যেসব উপাধি দেওয়া হবে সেগুলো দেওয়া হবে রাজা তৃতীয় চার্লসের নামে।

উল্লেখ্য, প্রিন্স চার্লস রাজা হলে তার ক্ষমতা কতটুকু সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে।  বিশেষ করে তার মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যতটা ক্ষমতাবান ছিলেন ঠিক ততটাই ক্ষমতাবান হবেন তো রাজা তৃতীয় চার্লস! 


প্রিন্স চার্লস ও ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলা


‘কুইন কনসর্ট’ ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলা 

চলতি বছরের শুরুতেই রানি এলিজাবেথ ঘোষণা করেছিলেন, তার অবর্তমানে ‘কুইন কনসর্ট’ হবেন চার্লসের স্ত্রী, ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলা। তবে একজন সাধারণ নারী থেকে ‘কুইন কনসর্ট’ হতে ক্যামিলাকে পাড়ি দিতে হয়েছে বন্ধুর পথ। বিশেষ করে প্রচণ্ড জনপ্রিয় প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে চার্লসের ডিভোর্সের পর নিজেকে চার্লসের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে ক্যামেলিয়াকে ডিঙাতে হয়েছে বিতর্কের পাহাড়। 

বছরের পর বছর ধরে, ক্যামিলা নিন্দিত হয়েছেন চার্লস-ডায়ানার রূপকথার রাজকীয় প্রেমের গল্পকে ভেঙে দেওয়ার জন্য। প্রিন্সেস ডায়ানাও ১৯৯৫ সালে বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছিলেন যে ‘এই বিয়েতে আমরা তিনজন ছিলাম’ তিনি, চার্লস এবং তার দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ক্যামিলা। এমনকি ডায়ানা তার প্রেমের প্রতিদ্বন্দ্বীকে ‘রটওয়েলার’ (বিশেষ জাতের কুকুর) বলেও অভিহিত করেছেন বলে কথিত আছে। 

ব্রিটেনের অভিজাত পরিবারে ১৯৪৭ সালের ১৭ জুন ক্যামিলার জন্ম । 

আত্মবিশ্বাসী এবং আকর্ষণীয় ক্যামিলার সঙ্গে ১৯৭০ এর দশকের গোড়ার দিকে একটি পোলো ম্যাচে তরুণী ক্যামিলার সঙ্গে প্রিন্স চার্লসের প্রথম দেখা হয়। পরে তারা ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন। তবে চার্লসের সঙ্গে প্রথমবার সাক্ষাতের তিন বছর পর ১৯৭৩ সালে ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তার অ্যান্ড্রু পার্কার বোলসের সঙ্গে বিয়ে হয় ক্যামিলার। তাদের বিয়েতে রাজকীয় অতিথিদের মধ্যে রানির বোন, রাজকুমারী মার্গারেট এবং রাজকুমারী অ্যানও উপস্থিত ছিলেন। 

বোলস-ক্যামিলার দুই সন্তানও আছে। যদিও ক্যামিলা-চার্লসের পরস্পরের প্রতি টান রয়েই যায়। এমনকি ১৯৮১ সালে প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে রাজকীয় বিয়ের পরও ক্যামিলাকে ভুলতে পারেননি চার্লস। গোপনে ক্যামিলা ও চার্লসের প্রণয় নিয়ে সেসময় অনেক কানাঘুষাও হয়। ১৯৯৫ সালে অ্যান্ড্রু পার্কার বোলস ও ক্যামিলার বিচ্ছেদ হয়। এর মাত্র এক বছর পর প্রিন্সেস ডায়ানা ও চার্লস তাদের সম্পর্কের ইতি টানেন। 

প্রিসেন্স ডায়নার রহস্যজনক মৃত্যু ও ক্যামিলা 

১৯৯৭ সালে প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনায় রহস্যজনক ডায়ানা মৃত্যুর হয়। এরপরও চার্লস ও ক্যামিলা তাদের সম্পর্ককে চেপেই রেখেছিলেন। এরপর চার্লস এবং ক্যামিলা ধীরে ধীরে জনসমক্ষে একসঙ্গে উপস্থিত হতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসে যে তারা স্বামী ও স্ত্রী হিসাবে একসাথে বসবাস করছে।

কয়েক মাস সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পনা করার পর, ১৯৯৯ সালে তারা প্রথম জনসাধারণের সামনে আসেন। তারপরে তাদের সম্পর্ক নিয়ে আর কোনো রাখঢাকই থাকে না। এক সময় তাদের জুটিকে হিসেবে সবাই মেনেও নেয়। ২০০৫ সালে তারা বিয়ে করেন। তাদের বিয়েতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথও উপস্থিত ছিলেন। 

অবশ্য চার্লসের সঙ্গে বিয়ের পরও রয়ে যায় ক্যামিলার উপাধি নিয়ে বিতর্ক। যদিও ঐতিহ্যগতভাবে রাজার স্ত্রী হলেন রানি। কিন্তু চার্লস রাজা হলে ক্যামিলার উপাধি কী হবে তা বছরের পর বছর ধরে একটি বড় প্রশ্ন ছিল। রাজতন্ত্রে তার অবস্থান সবসময়ই একটি সংবেদনশীল বিষয় ছিল। প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর চার্লসের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে রাজতন্ত্রে ক্যামিলার অবস্থান সব সময়ই একটি সংবেদনশীল বিষয় ছিল।

প্রাসাদের কর্মকর্তারা বছরের পর বছর ধরে বলেছিলেন যে, চার্লস রাজা হলে ক্যামিলাকে সম্ভবত ঐতিহ্যবাহী ‘রানি কনসর্ট’ এর পরিবর্তে ‘রাজকুমারী কনসর্ট’ উপাধি দেওয়া হবে।

রাজ প্রাসাদের কর্মকর্তাদের মতে, ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ইতিহাসে ‘প্রিন্সেস কনসর্ট’ উপাধির কোনো উদাহরণ নেই। একই ধরনের উপাধি ‘প্রিন্স কনসর্ট’ শুধুমাত্র একবার রানি ভিক্টোরিয়ার স্বামী অ্যালবার্টের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন যে, তার ছেলে প্রিন্স চার্লস রাজা হলে ক্যামিলাকে ‘কুইন কনসর্ট’ উপাধি দেওয়া হবে। এরপরই এই নিয়ে বিতর্কের অবসান হয়। এমনকি চার্লসের রাজা হিসেবে অভিষেকের সময় ক্যামিলার মাথায় উঠবে কোহিনুর বসানো মুকুট।

তথ্যসূত্র: এএফপি,বিবিসি। 


  


শেয়ার করুন