২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ১০:৫২:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


চবি অ্যালামনাইয়ের নতুন কমিটির বর্ণাঢ্য অভিষেক ও বিজয় দিবস
ছন্দা বিনতে সুলতান
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০১-২০২৪
চবি অ্যালামনাইয়ের নতুন কমিটির বর্ণাঢ্য অভিষেক ও বিজয় দিবস নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার শামসুদ্দীন আজাদ


প্রবাসে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনগুলোর মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। সেই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির (২০২৪-২০২৫) অভিষেক এবং মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য আয়োজনে গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। হলভর্তি অডিটোরিয়ামে চমৎকার এই অনুষ্ঠানটি জ্যাকসন হাইটসের মামা’স পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়। তিন পর্বের এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল নতুন কমিটির অভিষেক, দ্বিতীয় পর্বে ছিল আলোচনা সভা এবং তৃতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শাটল ট্রেনখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন চবিয়ানরা বিকেল থেকেই মিলিত হতে থাকেন। সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও কবি ছন্দা বিনতে সুলতান এবং শিক্ষা- সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমীন ফাত্তাহ ঝর্নার প্রাণবন্ত পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আশরাফ উদ্দিন, গেস্ট অব অর্নার ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র এবং নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা। বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে আরো উপবিষ্ট ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার শামসুদ্দীন আজাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি জাহাঙ্গীর শাহ নেওয়াজ ডিকেন্স এবং নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।

বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সূচনা করা হয়। ১ মিনিট দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় মুক্তিযুদ্ধে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের সম্মানে। এরপরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার শামসুদ্দীন আজাদ নবনির্বাচিত কমিটির (২০২৪-২-২৫) সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ গ্রহণের পরই দুটি সমবেত সংগীত পরিবেশন করা হয়। সমবেত সংগীত পরিবেশনে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাংস্কৃতিক শিল্পীরা। এছাড়া কবিতা আবৃত্তি করেন ফাহমিদা জিগর জাহান, শিবলী সাদিক, সৈয়দা পারভীন পলি, জাহাঙ্গীর শাহনেওয়াজ ডিকেন্স। নিজের লেখা গল্প এক কাপ চায়ের কিয়দংশ পাঠ করেন কবি ছন্দা বিনতে সুলতান। সংগীত পরিবেশন করেন হাসান মাহমুদ, শামসুন নাহার মিলি, ফুলু রায়, রেজা কামাল প্রমুখ।

প্রধান অতিথি সাবেক অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্যের মধ্যে চবিয়ানরা যেন ফিরে গিয়েছিলেন স্যারের ক্লামরুমে। উপস্থিত সকলেই মগ্ন হয়ে প্রিয় এই শিক্ষকের বক্তব্য শুনছিলেন। গেস্ট অব অর্নার কন্সাল জেনারেল যেহেতু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন সেহেতু তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় নস্টালজিক হয়ে পড়েন এবং সবাইকে নস্টাজিক করে তোলেন। ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরূপ প্রকৃতির কথা তুলে ধরেন। শাটল ট্রেনের কথা, শহর থেকে ছুটে নিরিবিলি অপরূপ প্রকৃতি কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের পাঠে মগ্ন করে গবেষণা করতে এবং কবি-সাহিত্যিক হতে প্রেরণা জোগায় তাও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও আয়োজনের প্রধান সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর শাহ নেওয়াজ ডিকেন্স, বর্তমান ও নবনির্বাচিত সভাপতি মাহমুদ আহমেদ, নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু নোমান সরকার, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বিষ্ণু গোপ, জসীম উদ্দিন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর করিম এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি কবীর কিরণ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের সর্বশেষ আকর্ষণ ছিল অতিথি শিল্পীদের পরিবেশনা। অতিথি শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন কামরুজ্জামান বকুল, আফজাল হোসেন এবং ক্লোজআপ ওয়ান তারকা নীলিমা শশি। অনুষ্ঠানে আয়োজক চবিয়ানরা ছাড়াও সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সন্ধ্যা রাত থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও মনোমুগ্ধকর আয়োজন শেষে সবার মধ্যেই ছিল বিষাদের সুর। এ যেন বন্ধু কি খবর বল, কত কাল দেখা হয়নি। দেখা হবে আবার কোনো না কোনো আয়োজনে-এই প্রত্যাশায় অনুষ্ঠানের যবনিতাপাত ঘটে।

শেয়ার করুন