২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:১৯:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


ভূরাজনীতির কবলে সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধান?
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০২-২০২৩
ভূরাজনীতির কবলে সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধান? গ্যাস ব্লকের চিত্র


বে অফ বেঙ্গলে মায়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিরসন করাকে যদি বলা হয় ‘সমুদ্র জয়’, তাহলে প্রায় এক দশক সময়েও বাংলাদেশের স্থলভাগের সমপরিমাণ জলসীমায় নীল সাগরের সম্পদ আহরণের ব্যর্থতা বাংলাদেশকে মহাবঞ্চিত রেখেছে বলা যায়। অনেকেই বলেন ভূরাজনীতির কারণেই বাংলাদেশ সাগরের সম্পদ আহরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিবেশী দুই দেশ মিয়ানমার ও ভারত তাদের সমুদ্রসীমায় অনুসন্ধান করে গ্যাস-তেলসম্পদ আহরণ করলেও এযাবৎ বাংলাদেশ সাগরে অনুসন্ধান করার জন্য কার্যকর কিছু করতে পারেনি। নিজেদের কাছে গভীর সাগরে জ্বালানিসম্পদ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য থাকা সত্ত্বেও নানা অজুহাতে নতুন করে পিএসসি বিডিং করেনি। এমনকি মালটি ক্লায়েন্ট সার্ভে নিয়েও নানা টালবাহানা হয়েছে।

২০২৪ সালে নতুন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে সাগরে গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন রাজনীতি। পরাশক্তি চায় মিয়ানমার সংলগ্ন ব্লকগুলো ওই দেশের অনুসন্ধান কোম্পানি গুলোর অধিকারে দেয়ার। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে মায়ানমারে কর্মরত অপর পরাশক্তিগুলো, বাংলাদেশের ওপর নাখোশ হবে। বাংলাদেশের এখন শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থা। মনে হয়, নির্বাচনের আগে নতুন করে পিএসসি আহ্বান না করাই যুক্তিযুক্ত হবে। 

বাংলাদেশের গ্যাস সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ১৯৯৯-২০০০ সময়ে তৎকালীন সরকার ভারতে পাইপ লাইনে গ্যাস রফতানির মার্কিন কোম্পানি ইউনোকলের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ার পর থেকে প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশি কোম্পানিগুলো আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ভূরাজনীতির অশুভ প্রভাবে সেবার ক্ষমতা হারায় আওয়ামী লীগ সরকার। বিজয়ী বিএনপি সরকার জনতার প্রতিরোধের মুখে গ্যাস রফতানির সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ২০০১-২০০৬ প্রকৃতপক্ষে ঝিমিয়ে পড়ে গ্যাস-বিদ্যুৎ খাত। ২০০৯ সালে যখন আবার ক্ষমতায় ফিরে আওয়ামী লীগ সরকার তখন দেশ জুড়ে তীব্র গ্যাস বিদ্যুৎ সংকট। ২০০৯-২০২৩ পর্যন্ত তিন টার্মের কার্যকালেও আওয়ামী লীগ সরকার গ্যাস-তেল অনুসন্ধানে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে বলা যাবে না।  

যা হোক, বাংলাদেশের অংশে সাগরে গ্যাস-তেল প্রাপ্তির বিপুল সম্ভাবনা আছে। সাগরের কনটিনেন্টাল শেলফে বিপুল মৎস্যসম্পদ সঞ্চিত আছে। যথাযথ সংগঠনের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতি সেল সাজানো হলে ৫-১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি পালটে যাবে। তবে ভূরাজনীতি অশুভ প্রভাব সামাল দেয়াই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ওই চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ সেটাই এখন দেখার বিষয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সব দিক সামাল দিয়ে বাংলাদেশ পারবে কি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে?

শেয়ার করুন