নিউইয়র্কের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটছে। প্রতিদিনই খুন- খরাবির ঘটনা ঘটছে। সেই সাথে বেড়েছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই এবং বর্ণবাদী হামলা। এর বাইরে নয় বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস। বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের দোকান পাটে প্রায় প্রতিদিনই চুরি- ডাকাতি এবং ছিনতাই’র ঘটনা ঘটছে। পুলিশ এসে রিপোর্ট করে এবং ভিডিও ফুটেজ নিয়ে চলে যায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আবার পুলিশি তৎপরতাও বাড়ানো হয়নি। পুলিশের এই ভ‚মিকা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজার বাংলাদেশী মালিকানাধীন মল্লিকা ইলেকট্রনিক্সে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ১৫ মে রবিবার ভোররাত চারটার দিকে চোররা মল্লিকা সেল ফোন স্টোরের ছাদ কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। সিসিটিভি’র ফুটেজ চেক করে দেখা গেছে দুই ব্যক্তি পুরো শরীর ও মুখ বিশেষভাবে তৈরি কালো পোষাকে ঢেকে ছাদ বেয়ে নিচে নামে। তারা ২০ মিনিটের মতো সময় নিয়ে স্টোরের সামনের দিকে সেলফে সাজানো প্রায় সাড়ে চারশ’ মূল্যবান ফোন প্লাস্টিকের গারবেজে ভরে নিয়ে আবারও ছাদে উঠে চলে যায়। যে সব ফোন নিয়ে তার মধ্যে আইফোন এবং স্যামসাংয়ের দামি ফোনগুলোই বেশি।
এ ব্যাপারে পুলিশে রিপোর্ট করা হয়েছে বলে জানান মল্লিকা ইলেকট্রনিক্সের মালিক আব্দুস শাহেদ। তিনি জানান, জ্যাকসন হাইটসের মতো ব্যবস্ততম বাণিজ্যিক এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর না হলে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি জানান, চুরির ঘটনা ঘটলেও তার দোকানের স্বাভাবিক কার্যক্রম এখনো চালু আছে।
ডাইভারসিটি প্লাজা সংলগ্ন ৭৪ স্টিটের কর্নারে অবস্থিত মল্লিকার অপর ফোন স্টোরের ম্যানেজার সাইফুল করিম জানান, চোররা প্রায় দুই লাখ ডলারের ফোন নিয়ে গেছে। চোররা সংখ্যায় অন্তত ৬ জন ছিলো বলে তাদের ধারণা। তবে তারা খুব দ্রুত ডাকাতি শেষ করে চলে গেছে, কারণ তখন ফজর হবার সামান্য বাকি ছিলো।
এ বিষয়ে বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি সিস্টেম এক্সপার্ট টেকলাইফ ইউএসএ ও আমেরিকান সিকিউরিটি সিস্টেমের সাজিদ সীমান্ত জানান, বর্তমান অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেটা প্রতিরোধে সবার আরও স্বচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। প্রত্যেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়িতে সিকিউরিটি ক্যামেরা ও স্মার্ট ডোর লক লাগাতে পারলে দুস্কৃতকারীরা সহজে সেখানে হানা দিতে সাহস পাবে না। ক্যামেরা থাকলে সেখানে অপরাধীরা অপরাধ সংগঠনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হয় এবং ভয় পায়। সিকিউরিটি ক্যামেরা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ভ‚মিকা রাখতে পারে বলেও জানান তিনি। বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সার্বক্ষণিক নজরে রাখতে সিকিউরিটি ক্যামেরা, ভিডিও ডোরবেল ও স্মার্ট ডোরলকের বিষয়ে পরামর্শের জন্য ৯১৭-৪৫৫-৫৩০৮ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বলেছেন তিনি।