৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ১১:০৯:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে এবার বন্দুকধারীর গুলিতে তিন আইনশৃংলাবাহিনীর সদস্য নিহত ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ


ভোটকে প্রত্যাখ্যান করে মানুষ জানিয়ে দিয়েছে দেশে কোন নির্বাচন নাই-গণতন্ত্র মঞ্চ
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০১-২০২৪
ভোটকে প্রত্যাখ্যান করে মানুষ জানিয়ে দিয়েছে দেশে কোন নির্বাচন নাই-গণতন্ত্র মঞ্চ


আজ গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একতরফা নির্বাচন বর্জন করে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের পর একটি মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব হতে পল্টন হয়ে পুনরায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর পরিচালনায় এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে মানুষ ভোট দিতে যায়নি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা জোরজবরদস্তি, হুমকি-ধামকি দিয়েও ভোটকেন্দ্রে জনগণকে উপস্থিত করতে পারেনি। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন গণতন্ত্র আছে এটাই নাকি প্রমাণ করতে মানুষ ভোট দিতে আসবে! কিন্তু মানুষ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দিয়েছে দেশে কোন নির্বাচন নাই। জনগণ ভোটকে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের মানুষকে হাতে-পায়ে ধরেও ভোট কেন্দ্রে আনতে পারেনি। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য দিয়েছেন, শতকরা ১ ভাগ ভোটার উপস্থিতি হলেও নাকি বুঝতে হবে 'সুষ্ঠু ভোট' হয়েছে! কিন্তু এর  প্রকৃত অর্থ হচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নিজেই পরোক্ষভাবে স্বীকার করলেন ভোটাররা এই একতরফা, ডামি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, জনগণ নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ৭ জানুয়ারি যেমন বাংলাদেশের জন্য সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকির ফেলানী দিবস; তেমনি আজকে রচিত হলো দেশের জন্য কালো দিবস। আজকের দিনে ক্ষমতাসীনরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকেও কাঁটাতারে ঝুলিয়ে দিয়েছে। কাজেই জনগণের জন্য আজকের এই দিনে ফ্যাসিবাদীবিরোধী সংগ্রাম নতুন করে শুরু হবে। নতুন করে বাংলাদেশের আইন, সংবিধান, বিচারব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। এই দেশকে স্বাধীন ও মর্যাদাবান নাগরিকের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশবাসী আজকে ভোটকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন এই ‘আওয়ামী লীগের ভুয়া রাজনীত’, ‘ভুয়া প্রধানমন্ত্রী’ এবং ‘মাফিয়াগোষ্ঠীর’ ক্ষমতা থেকে হঠিয়ে দিয়ে জনগণের দেশ ও রাষ্ট্র গড়ে তোলার রাজনীতিকেই গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য নতুন গণপ্রতিরোধের সংগ্রামের সূচনা করতে হবে।  রাষ্ট্র-সংবিধান, ক্ষমতাকাঠামো ইত্যাদি সংস্কার করে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কারের লড়াইকেই সামনে আনতে হবে।

সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ।

 


শেয়ার করুন