২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:২৭:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


সরকার দেশে বাকশাল কায়েমের চক্রান্ত করছে : চরমোনাই পীর
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০২-২০২৪
সরকার দেশে বাকশাল কায়েমের চক্রান্ত করছে : চরমোনাই পীর


জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় রাজনৈতিক মিছিল, সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ নিষিদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এধরনের নির্দেশে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীরসাহেব চরমোনাই। 

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, সরকার দেশে বাকশাল কায়েমের চক্রান্ত করছে। সরকার দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েমের জন্যই খোড়া অজুহাতে বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করছে। বায়তুল মোকারম মসজিদ গেটে যে সকল ইসলামী দল মিছিল মিটিং করেন, তারা মূলত মসজিদের সম্মান রক্ষা করে এবং মুসল্লিদের যেন কোন সমস্যা না হওয়া সেদিকে সুদৃষ্টি রেখেই মিছিল মিটিং করে থাকেন। কাজেই নামাজে আসা মুসল্লিরা আতঙ্কিত হওয়ার অজুহাতে জাতীয় মসজিদ এলাকায় মিছিল মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করলে তা সরকারের জন্য সুখকর হবে না। 

পীরসাহেব চরমোনাই বলেন, প্রহসনের নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার পর সরকার বিরোধী দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। সরকার জনরোষের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে বিরোধী দলসহ ইসলামী দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। 

পীরসাহেব চরমোনাই বলেন, একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে সরকার। ঐতিহাসিক প্রাণকেন্দ্র জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিছিল মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা সফল হবে না। রাজনীতি, মিছিল মিটিং নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধানের ৪১ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে (ক) প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনও ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে; (খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, কাজেই মুসল্লিরা ভয় পান, আতঙ্কিত হন এই অজুহাতে মিছিল মিটিং নিষিদ্ধের এখতিয়ার কারো নেই। এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশে নতুন করে সঙ্কট সৃষ্টি করবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গণরোষ সৃষ্টি হবে। কাজেই এধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে বিরত থাকতে হবে।

শেয়ার করুন