২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৪:২৫:০২ পূর্বাহ্ন


জাতিসংঘে ভোটের ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৩-২০২২
জাতিসংঘে ভোটের ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ


ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর জাতিসংঘ তোলা শান্তি প্রস্তাবে বাংলাদেশ কেন ভোটদানে বিরত ছিল এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সংসদে তিনি বলেছেন, এ যুদ্ধে পিছনে উস্কানি ছিল সে কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যখন প্রস্তাব তোলা হল, বাংলাদেশ তাতে ভোট দেয়নি। তবে পরেরটি ইউক্রেনের মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে হওয়ায় বাংলাদেশ পক্ষে ভোট দিয়েছে।  মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে রাশিয়ার অবদানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে দেশের এই অবস্থান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। 

সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু জানতে চেয়েছিলেন, রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের ভোটের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান আসলে কি ছিল? উল্লেখ্য, গত ২৪ শে ফেব্রুয়ারি আগ্রাসনের শুরু হওয়ার পর মার্চ মাসের শুরুতে রাশিয়াকে আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংগে একটি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল ১৪১ দেশ বাংলাদেশসহ ২৫ টি ভোটদানে বিরত ছিল। তবে গত ২৪ মার্চ ইউক্রেনের হামলার কারণে সৃষ্ট মানবিক সংকট অবসানে, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ত্রাণ কার্যক্রম এর সুযোগ দিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় বাংলাদেশ। সংসদে প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের প্রথম বাংলাদেশে ভোটদানে বিরত ছিল তার ব্যাখ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন জাতিসংঘের যখন প্রস্তাবটি এলো আমরা দেখলাম এই প্রস্তাবে কোনো মানবাধিকারের কথা নেই। যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা নেই। একটা দেশের বিরুদ্ধে ভোট। সেটা হল রাশিয়া। তখন আমি বললাম না, এখানে তো আমরা ভোট দেব না। কারণ, যুদ্ধ একা একা বাধেনা। উস্কানি তো কেউ-না-কেউ দিচ্ছিল। দিয়ে বাধালো যুদ্ধটা। তাহলে একটা দেশকে নিন্দা করা হবে কেন? সেজন্য আমরা ভোটদান  বিরত ছিলাম।

 রাশিয়ার পক্ষে বাংলাদেশের দীর্ঘ বন্ধুত্বের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে যখন পাকিস্তানের পক্ষে দাড়ায়। রাশিয়া তখন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা নিশ্চয়ই তাদের পাশে থাকব, কিন্তু তারা যদি কোন অন্যায় করে নিশ্চয়ই সেটা আমরা মানবো না। আর আমরা যুদ্ধ চাইনা। কিন্তু যুদ্ধটা কেন হলো, সেটাও আমাদের দেখতে হবে। সেজন্য আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। যেহেতু একটি দেশের বিরুদ্ধে, সেজন্য সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা ভোট দেব না। পরের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট দেওয়ার এখন যে প্রস্তাবটা- যুদ্ধের ফলে মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সবাই কষ্ট পাচ্ছে। সেখানে মানবাধিকার বিষয়ে ছিল। তাদের বিষয়টি রয়েছে,সেজন্য আমরা ভোট দিয়েছি। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যখন একটি দেশের প্রস্তাবে আমরা ভোট দেইনি যখন মানবতার বিষয়টি সামনে আমরা ভোট দিয়েছি। এটা একেবারে স্পষ্ট, এটা নিয়ে আর কোন দ্বিধা থাকা উচিত নয়। 

শেয়ার করুন