বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ইফতার মাহফিলে একমাত্র স্পন্সর ছিলেন কুইন্স ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। পবিত্র রমজানের প্রতিদিনই কোন না কোন মসজিদে মুসল্লিদের মাঝে ইফতার পরিবেশন করেন তিনি। কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট ও মূলধারার রাজনীতিক মঈন চৌধুরী এজন্য প্রবাসীদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
গত ২৩ মার্চ শনিবার কুইন্সের জয়া পার্টি হলে বাপার এ ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়। এতে এনওয়াইপিডির সর্বস্তরের সদস্য ছাড়াও ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্বকারী তিন শতাধিক ব্যক্তি। বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ম্যালিন্ডা ক্যাটজ সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশি মুসলিম আমেরিকানরা কুইন্স কাউন্টি তথা নিউইয়র্ক সিটির অহংকারের অংশীদার এবং এই সিটির ভবিষ্যৎ বিনির্মাণেও অন্যতম সহায়ক শক্তি। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতার ক্ষেত্রেও শক্তিশালী পার্টনার। সপরিবারে বসবাসরত বাংলাদেশি আমেরিকানরা কুইন্স বরোর অবকাঠামোগত উন্নয়নেও প্রশংসনীয় অবদান রাখছেন। ম্যালিন্ডা ক্যাটজ বাপার প্রশংসা করে বলেন, পুলিশ বাহিনীতে এসব অফিসারের সক্রিয় ভূমিকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে অপরিসীম অবদান রাখছে। তারা জীবনবাজি রেখে কুইন্সের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছেন। এজন্য আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিবাদন জানাচ্ছি। এ সময় এনওয়াইপিডির অফিসারেরা দাঁড়ালে সবাই করতালিতে মুখরিত করেন গোটা পরিবেশ।
বাপার প্রেসিডেন্ট (সুপারভাইজার ডিটেকটিভ স্কোয়াড) এরশাদ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ইফতার-ডিনার মাহফিল সঞ্চালনা করেন বাপার সেক্রেটারি ডিটেকটিভ রাশিক মালিক। মওলানা ইসমাইল হোসেনের কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং রমজানের গুরুত্ব আলোকে বক্তব্যের আগে নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মীর বাশার, বাপার সাবেক সভাপতি ক্যাপ্টেন করম চৌধুরী এবং ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম আলমও সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সবাইকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা এবং আগাম ঈদ মোবারক দেন। এ সময় সিটি মেয়রের পক্ষ থেকে বাপার কার্যক্রমের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বাপা কর্মকর্তাদের হাতে একটি সাইটেশন হস্তান্তর করেন মীর বাশার।
মীর বাশার এ প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্বের রাজধানী খ্যাত এই নিউইয়র্ক সিটির জনজীবনকে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশি অফিসাররা সততা-নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার যে স্বাক্ষর রাখছেন তা একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমাকেও অভিভূত করে।
অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, আমার পরিবারের অনেকে পুলিশ বাহিনীতে রয়েছেন। তাই আমি মনে করি, এটি আমার পরিবার। যতদিন সামর্থ্য থাকবে ততদিন এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো। এজন্য সবার দোয়া চাই। তিনি বলেন, ডেমোক্রেটিক পার্টির লিডার এবং আইনজীবী হিসেবে কমিউনিটি ও প্রশাসনের অনেকের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ ঘটে। প্রায় সকলেই বাংলাদেশি পুলিশ অফিসারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এমন প্রশংসাবাক্য আমাকেও আবেগিত করে।
এ মাহফিলে আগতদের স্বাগত জানান বাপার সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ চৌধুরী, কমিউনিটি লিয়াজোঁ সর্দার মামুন, মিডিয়া লিয়াজোঁ জামিল সরোয়ার, করেসপনডিং সেক্রেটারি অক্সিলারি ক্যাপ্টেন সাঈদ এনায়েত আলী, সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস মাহবুব জুয়েল, ট্রেজারার মেহদী মামুন এবং কো-ট্রেজারার জসিম মিয়া। তারা প্রবাসীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সব কর্মকাণ্ডে অকৃপণভাবে সাড়া দেওয়ায় পুলিশ হিসেবে আমাদের কর্মকাণ্ড উৎসাহিত হচ্ছে। এতে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মাসুদুর রহমান, বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান জিল্লু, আবু সাইয়িদ আহমেদ, সাইফুর খান হারুন, রিয়েলটর সারওয়ার খান বাবু, এ কে এম রফিকুল ইসলাম ডালিম, আহমেদ সোহেল, এবাদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হাসাইন, সৈয়দ এনায়েত আলী প্রমুখ।