১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার, ০৬:১৩:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘সহিংসতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার একমাত্র উত্তর ভালোবাসা’ বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে- ড. ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ৩-দিনব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব’ সুন্দরবন দিবসের বিষয়ে তরুণ প্রজন্ম কিছুই জানে না! ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন দুবাই পৌঁছেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছে- ড. ইউনূস মানবাধিকার লঙ্ঘনে শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত- ভলকার টার্ক হজযাত্রীদের সঙ্গে শিশুদের নিতে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞা


প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসতে চায় জামায়াত
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০১-২০২৫
প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসতে চায় জামায়াত


আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ক্ষমতায় নয়, প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসতে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একেই দলটির আর্দশিক বিজয় বলে মনে করে। আর এজন্য বাকি ইসলামী দলগুলির পাশাপাশি বিএনপি’র সাথে দীর্ঘদিন ধরে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ছোট ছোট দলগুলিকে আগে ভাগেই কাছে টানতে গোপনে কাজ করে যাচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনের মাঠ ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামী এখন সংসদে প্রধান বিরোধী দল ও তাদের নেতাকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসাবেই দেখতে চায়। জামায়াতের বিভিন্ন বিশ্লেষণে তারা দেখেছে এমুহূর্তে তারা সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনেই বসাকেই তাদের গুরুত্ব বিজয় বলে মনে করে। এজন্য তারা ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলিকে বিভিন্ন ধরনের অগ্রিম আর্থিক রাজনৈদিক সহায়তার আশ্বাস দিয়ে গ্যারান্টি সহকারে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। 

তারা মনে করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপি’তে অনেক বিদ্রোহী প্রার্থীর জন্ম হতে পারে। দেখা যাবে বিএনপি’র ওইসব প্রার্থীর এলাকায় প্রভাব আছে কিন্তু দলের হাইকমান্ড মনোনয়ন পায়নি এমনদের সঠিকভাবে আর্থিক বা রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে গোপনে কাজ করার পরিকল্পনা জামায়াতের। বিএনপি তার পুরোনো জোটসঙ্গী খেলাফত মজলিসের সঙ্গে এমন সময় বৈঠক করেছে জামায়াত। আবার শোনা যায় যে, নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের দিকেও হাত বাড়িয়েছে জামায়াত। বিএনপি’র সাথে থাকা ১২ দলীয় জোটের কাউকে কাউকে কাছে আনার চেষ্টা করেছে জামায়াত। 

জাতীয় পার্টি (জাফর), বিকল্পধারার একাংশ, বাংলাদেশ জাতীয় দল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশ, ইসলামী ঐক্য জোটের একাংশকে কাছে ভেড়াতে চায় জামায়াত। এদলগুলিকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে আওয়ামী ছাড়া ফাঁকা মাঠে জামায়াত প্রধান বিরোধী দলের আসনটি বাগিয়ে নিতে চায় আপাতত। 

শেষ কথা

সম্প্রতি চরম আদর্শিক বিরোধ থাকা সত্ত্বেও জামায়াতে ইসলামী’র সাথে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষনেতাদের দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে ২১ জানুয়ারি রেজাউল করীমের সঙ্গে বরিশালের চরমোনাই গিয়ে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সাক্ষাৎ নিয়ে আলোচনারও জন্ম দেয়। যদিও এমন বৈঠকে বিএনপির একাধিক নেতা একে ‘স্বাধীনতাবিরোধী এবং ফ্যাসিবাদের সহযোগীর মিলন’ আখ্যা দিয়ে কটাক্ষ্যও করেন। তবে বৈঠকের একটি সূত্র জানায় বরিশালে জামায়াতের আমিরের দলীয় সমাবেশ ছিল। আর এর এর ফাঁকে তাঁরা চরমোনাইতে মিলিত হন। 

তাই একটি বৈঠকেই ধরে নেয়া যায় না যে জামায়াতের নেতৃত্বে বা তাদের নেতৃত্বকে মেনে নিয়ে অন্তত চরমোনাইর পীর ও ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সঙ্গে জামায়াতের ঐক্য হয়ে যাবে। আসলে চরমোনাইর পীর ও ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সঙ্গে ২১ জানুয়ারি ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ-অন্য কিছু না। বাকি দলগুলিকে জামায়াত কাছে টেনে কতটা সফল হবে তা হয়তো সময় বলে দেবে। তবে আপাতত ইসলামী দলগুলিকে কাছে টেনে ইসলামী ঐক্যের যে ধোয়া তুলছে তা যে কেবলই সংসদে প্রধান বিরোধী দল হওয়ার চেষ্টা তা হয়তো অল্প সসময়ে প্রকাশ পেয়ে যাবে।

শেয়ার করুন