লন্ডনে অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের মধ্য দিয়ে দেশের ভেতরে বাইরে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজনীতি থেকে বিএনপি’কে পুরোপুরি মাইনাস করার নতুন ফর্মূলাাটও নস্যাৎ হয়ে গেছে। অন্যদিকে নির্ধারিত হয়ে গেলো ২০২৬ সালেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। একিই সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মহান ত্যাগকে যথাযথ সম্মান দিয়ে এর সাথে জড়িত তারুণ্যের নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটি বিএনপি’র সাথে বোঝাপড়া পাকাপোক্ত হয়েছে। তাছাড়া ভূ-রাজনৈতিক ইস্যুতে ড. ইউনুসের এজেন্ডা অনুযায়ী সামনের দিনগুলিতে বিএনপিকে কিভাবে বাংলাদেশের নীতি নির্ধারণ করতে হবে বা কোন পথে হাঁটতে হবে সে-ব্যাপারেও ধারণা দিয়ে দেওয়া হয়। এমনটাই ধারণা পাওয়া গেছে বিভিন্ন পর্যায়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আলাপ আলোচনা বিশ্লেষণ করে।
কেনো এমন বৈঠকের আয়োজন?
লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক শেষ হয়েছে। কিন্তু এই বৈঠকটি নিয়ে প্রথমেই প্রশ্ন এসে যায় কেনো এই বৈঠক? এব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। কারো কারো মতে, দেশের ভেতরে বাইরে একটি মহল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মারাত্মক দূরত্ব তৈরি করেছে। এই মহলটি ধারণা দিয়েছে যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই ক্ষমতায় থাকতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছে। এর আগে বিশেষ করে ২০০৮ সালেও তিনি এধরনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছিলেন বলে বাজারে চাওড় ছিল। আবার একটি মহল প্রচার করে বাংলাদেশের একটি স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ব্যক্তির সাথেও ড. ইউনূসের মারাত্মক মতভেদ দেখা দিয়েছে। এটি যে কোনো সময়ে খারাপের দিকে মোড় নিতে পারে তা খুব দ্রুত স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। ইতোমধ্যে মাঠে আলোচিত হতে থাকে ড. ইউনূস ক্ষমতা ছেড়ে দিতে চান। এটা প্রচার করে পরিস্থিতিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যে, মাঠে বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন লাগাতারভাবে দাবি দাওয়া হুমকি-ধামকি দেওয়ার কারণে ড. ইউনুস অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন, তিনি বিরক্ত। আর একারণে তিনি বিএনপি’র প্রতি বড়ই বিরক্ত। এদিকে রাজনৈতিক মাঠে এমন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে এক অস্বস্তিকর পরিবেশের জন্ম দেয়ায় ধরে নেয়া হয়, হয়তোবা বাংলাদেশে ২০২৪ সাথে জুলাই বিপ্লবের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে যাচ্ছে। আর এমন সুযোগ তৈরি হলে দেশের ওই স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানটির সর্বোচ্চ ব্যক্তিটি অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে হাত গুটাতে থাকে একটি মহল। জনগণের মধ্যে ধারণার সৃষ্টি হয় অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা শেষ, সামনে নতুন কিছু হচ্ছে বা ঘটতে যাচ্ছে। কারো কারো মতে, এমন পরিস্থিতিতেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকটি আয়োজনে একটি মহল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা সাফ সাফ জানিয়ে দেয় যে দেশের এধরনের পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়া যাবে না। কারো মতে, এমন বৈঠকের পেছনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের প্রয়োজনীতা একটি প্রভাবশালী পক্ষ থেকে সেসময়ে দেশে অবস্থারত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের সাথেই যোগাযোগ করা হয়। কেননা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থায় এধরনের বৈঠক পাল্টা বৈঠক আয়োজন করা অনেক কষ্টসাধ্য। তাই সঙ্কট নিরসনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের সাথেই যোগাযোগ করেন ওই পক্ষটি। আর একারণে ডা. জুবাইদা রহমান ১৭ বছর পর দেশে পা রেখেও বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপন না করেই ৫ জুন কাতার এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে লন্ডনে চলে যান। একটি সূত্র আরও জানায়, জুবাইদা রহমান দেশে থেকেও সার্বক্ষণিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদার জিয়ার আশেপাশে ছায়ার মতো অবস্থান করেন।
তিনি মুক্ত থাকা অবস্থায় খালেদার জিয়ার রাজনৈতিক কর্মকান্ড দেখভাল করতেন যেন অন্য কারো পরামর্শে দলের মধ্যে যেনো কোনো বিপত্তি না ঘটে। কারণ বিএনপি কোনো একটি অংশ খালেদা জিয়াকে ওই অবস্থায় একা পেয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। কিংবা খালেদা জিয়ার সাংগঠনিক ক্ষমতাবলে এমন পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলতে না পারে, যা দলে নেতিবাচক অবস্থা তৈরি হতে পারে। তাই ডা. জুবাইদা রহমানের দেশে এসে খালেদা জিয়ার পাশে ছায়ার মতো থেকে থেকেছেন। কিন্তু এমন সময়ে দেশে ঘোরতর রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হলে ওই পক্ষটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকটি আয়োজনে বিষয়টিকে ডা. জুবাইদা রহমানের কাছেই উপস্থাপন করে।
জানা গেছে, ডা. জুবাইদা রহমান বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপণ না করেই লন্ডনে তারেক রহমানের সাথে যোগাযোগ করে সরাসরি স্বশরীরে গোপন বার্তাটি নিয়ে দ্রুত লন্ডনে চলে যান। এবং লন্ডনে গিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। পরিস্থিতি এতোই নাজুক ছিল যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকটি একেবারে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ হওয়ার ব্যাপারেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একারণে বৈঠক শুরুর আগে অনেকদিন গোপন রাখা হয়। এবং একেবারে শেষে দিকে তা গণমাধ্যমে জানানো হয় যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকটি ওয়ান টু ওয়ানই হচ্ছে। আর একারণে বৈঠকটির গুরত্ব বেশ বেড়ে যায় এবং যা এখনো রহস্যের বেড়াজালে বন্দী হয়ে আছে। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের পরের উভয়ের হাসৌজ্জ্বল মুখ একটি বার্তা দিয়ে দেয় যে ওই ওয়ান টু ওয়ান বৈঠকের সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক ও কার্যকর হয়েছে।
নির্বাচন হচ্ছে, হতেই হবে
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের মধ্যে দিয়ে একটি বিষয় পরিস্কার হয়ে যায় বা সন্দেহ অবিশ্বাস কেটে যায় যে তা-হলো আগামী বছরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছেই। এবং নির্বাচনের মাধ্যমেই আগামী দিনের সরকার গঠন হতে যাচ্ছে তা পরিস্কার। এখন আর এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কোনো পক্ষের কাছে সন্দেহ নেই। ইতোমধ্যে দেখাও যাচ্ছে যে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সংস্কারের কাজ এগিয়ে নিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রুখে দেয়া হলো বিএনপি’কে মাইনাস ফর্মূলা
এদিকে কারো কারো মতে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকটি সম্পন্ন হওয়ার মধ্যে দিয়ে পক্ষান্তরে মাইনাস ফর্মূলাকে রুখে দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হতে থাকে যে, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ইমেজকে পুঁজি করে একটি মহল এবার বিএনপি’কেই মাইনাস করে দেবে। তারা কখনো জাতীয় সরকারের কথা বলে কখনো বা দীর্ঘমেয়াদী সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বিএনপি মাইনাসের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকটির কারণে এমন ধারণা বাস্তবায়নকারীদের চিন্তায় পেরেক মেরে দেখা হয়।
দেশ পরিচালনায় প্রাধান্য থাকছে ২৪’এর তারুণ্যের
২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে গেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ব্যানারে এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে দেশে ছেড়ে পালিয়ে গেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তার প্রভাব দেশে এখনো আছে বলে কারো কারো নিশ্চিত ধারণা। এদিকে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের একটি বড়ো অংশ মনে করে বা তাদের ধারণা ক্ষমতায় বিএনপি গেলে দেশ আওয়ামী লীগের শাসনামলের মতোই হবে। সে-ই একিই কায়দায় দখল, চাদাবাজি, মাস্তানীতে দেশ ছেয়ে যাবে। শুরু হয়ে যাবে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে চাদাবাজি। এমন আশঙ্কা ওই সময়ে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তেমনি তাদের চেনতা নিয়ে গড়া এনসিপি’র নেতা কর্মীদের মধ্যেও আতঙ্ক যে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দলটি একিই কায়দায় দেশ চালাবে। এর পাশাপাশি তাদের আশঙ্কা বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় জুলাই ও অগাস্টে শহীদ ছাত্র-জনতার চেতনাকে গুরত্বই দেবে না। বরং বিএনপি পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়ে জুলাই ও অগাস্টে শহীদ ছাত্র-জনতার চেতনাকে তছনছ করে দেবে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও ক্ষতিগ্রস্তদের সম্মাননা, পুনর্বাসন এবং আর্থ-সামাজিক সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়বে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লন্ডনে অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে একান্তে বৈঠকে এমন বিষয়টি বেশে ভালোভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এর পাশাপাশি জুলাই ও অগাস্টে শহীদ ছাত্র-জনতার চেতনাকে প্রাধান্য দিয়ে তরুণদের রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়টি এসেছে বলে কারো কারো অভিমত। কেননা তাদের ধারণা জুলাই ও অগাস্টে শহীদ ছাত্র-জনতার চেতনাকে বাদ দিয়ে আগামী বিএনপি’র যেনো কিছু না করে সেব্যাপারে মাঠে একটা বড়ো ধরনের তাগাদার মধ্যেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের একান্ত বৈঠকে ওয়ান টু ওয়ান পর্বটি রাখা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভূ-রাজনৈতিক
তবে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকটি যে কবল নির্বাচনী ইস্যুতে হয়েছে তা মানতে নারাজ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ড. ইউনূস ভবিষ্যতে ক্ষমতায় থাকার বা কোনো দলের সরকারের অধীনে রাষ্ট্রপতি হওয়ার খায়েশ থেকে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি, বিশেষ করে ওয়ান টু ওয়ান পর্বটি। কারো কারো মতে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের সাথে কোন কোন ক্ষমতাধর দেশের নেপথ্য ভূমিকা ছিল তা রাজনৈতিক মহলে কম-বেশি সবার জানা। তাই ধরেই নেয়া যায় যে, ওই বিষয়টি বাদ দিয়ে কেবল নির্বাচনী ইস্যুতে দেশের একজন অত্যন্ত বিচক্ষণ সুশিক্ষিত বয়োজ্যেষ্ঠ আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব তারেক রহমানের সাথে কথা বলেছেন তা ঠিক না। আর বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর বিধায় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নিজস্ব ভঙ্গিমায় খোদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসই বৈঠকটির একটি পর্বে অত্যন্ত গোপনীয়তায় রাখতে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ পর্বটি সাজিয়েছেন বলে বলে শোনা যায়। যা রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ চাঞ্চল্যের পাশাপাশি রহস্যের সৃষ্টি করেছে। আর এমন গোপনীয়তার রহস্য কোনোভাবেই যে শুধু নির্বাচন ইস্যুতে সীমাবদ্ধ থাকবে না তা হয়তবা সামনের দিনে আস্তে আস্তে পরিস্কার হয়ে যাবে। ধারণা করা যেতে পারে একমাত্র ভূ-রাজনৈতিক ইস্যুতেই ওয়ান টু ওয়ান বৈঠকের এমন অতি গোপনীয় পর্ব রাখা হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
কারো কারো মতে, ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৃহৎ দল হিসাবে বিএনপি কি ধরনের বক্তব্য-বিবৃতি দিতে হবে সেব্যাপারটি-ই বেশি গুরুত্ব পায় ওই বৈঠকে। সামনের দিনে রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে কি কি পদক্ষেপ নেয়া দরকার-ভবিষ্যত নেতৃত্বকে সেব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয় দেশের এ-ই বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিটির তরফ থেকে। আর সেভাবে পা না ফেললে নিজ দলই নয় পুরো বাংলাদেশের অস্থিত্বই যে বিলীন হয়ে যেতে পারে সে ধারণাটিও যে ড ইউনূস তারেক রহমানকে দিয়েছেন- এমনটা মনে করেন তথ্য বিশ্লেষণকারীরা।