বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির বনভোজন
দিনভর আনন্দ উৎসব, খেলাধুলা, আড্ডা আর গল্পের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হল প্রবাসের অন্যতম সংগঠন বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি যুক্তরাষ্ট্র ইন্কের বার্ষিক বনভোজন ও মিলনমেলা। গত ৩ জুলাই রবিবার লং আইল্যান্ডের বেথ পেইজ স্টেট পার্কে বনভোজনের আয়োজন করা হয়। এতে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের জোয়ার প্রবাহিত হয় বৃহত্তর কুমিল্লাবাসীর মাঝে। দেখা হয় পুরাতন বন্ধু বান্ধব আর পরিচিত হয় নতুনদের মাঝে। সকালে বাস ছেড়ে যায় বনভোজেনের উদ্দেশ্যে সাথে যোগ দেন আরো কয়েক শত প্রাইভেট কার। মুহূর্তেই বৃহত্তর কুমিল্লাবাসীর (কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মিলন মেলায় পরিণত হয়। সেখানে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বনভোজনের আহবায়ক-সদস্য সচিব ও কার্যকরি কমিটির নেতৃবৃন্দ।
পার্কে পৌঁছানোর পর সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙীর আলম সরকার ও সদস্য সচিব বাছেদ ভুইয়ার পরিচালনায় বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন উদ্বোধক কাজী এনামুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথি ও কার্যকরি কমিটির নেতৃবন্দ। এর পর শুরু হয় বিভিন্ন ইভেন্টে সাজানো শিশু-কিশের, মহিলা ও পুরুষদের পৃথক খেলাধুলা। এছাড়াও শেষ বিকেলে রাফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা পর্বে সমিতির সভাপতি ডা: মো: ইনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন আহবায়ক বীর মুক্তিযাদ্ধা ফিরোজুল ইসলাম পাটোয়রী, প্রধান অতিথি সরকার ইসলাম, গেস্ট অব অনার এটর্নী মঈন চৌধুরী, উদ্বোধক কাজী এনামুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি পদপ্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি সিনিয়র সহ সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, প্রধান সমন্বয়কারী মো: ইউনুস সরকার, জাহাঙ্গীর হোসেন ভুইয়া বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, মো: শাহ জাহান সিরাজী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহ সভাপতি ফারুক হোসেন মজুমদার, সারওয়ার খান বাবু বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, আবুল কালাম ভুইয়া বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, মো: জাকির হোসেন মজুমদার, সামসুদ্দিন শামিম, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মাসুম, কুমিল্লা সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকার সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটি অব ইউএসএ’র সভাপতি এইচ এম ইকবাল, কুমিল্লা সোসাইটি অব ইউএসএ’র সভাপতি আবুল খায়ের আখন্দ, বৃহত্তর দাউদকান্দি সোসাইটি ইউএসএ’র সভাপতি মো: আবু মুসা, প্রবাসী মতলব সমিতির সভাপতি মো: রবিউল আলম, সাবেক সভাপতি কুমিল্লা সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকার প্রফেসার মনির হোসেন খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো: জামান তপন, কুমিল্লা সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকা’র নব নির্বাচিত সভাপতি কাজী আছাদ উল্যাহ, কুমিল্লা সোসাইটি ইউএসএ’র প্রধান উপদেষ্টা আবুল বাসার মিলন, কুমিল্লা সোসাইটি ইউএসএ’র সিনিয়র সহ সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ দাউদ, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি আমিন খান জাকির, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি মামুন মিয়াজী, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো: মনির হোসেন, কুমিল্লা সোসাইটি ইউএসএ’র সাধারণ সম্পাদক এইচএম মিজানুর রহমান, কুমিল্লা সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকা’র সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মিঠু, চৌদ্দগ্রাম সোসাইটি ইউএসএ’র সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, হাসান মাহমুদ সোহেল, কবির হোসেন অভি, প্রবাসী মতলব সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজির আহমেদ সোহেল, নুরে আলম বিপু, মো: আলমগীর হোসেন মোল্লা, মো: জামিল খান, বৃহত্তর দাউদকান্দি সোসাইটি নর্থ আমেরিকা’র সাধারণ সম্পাদক মো: সালাউদ্দিন জাহীদ, মো: তারেকুল ইসলাম, মো: হেলাল উদ্দিন, মাহাবুব আলম, মো: মহসিন, মো: তাজুল ইসলাম, মো: কামাল উদ্দিন, মো: আলী প্রমুখ।
বৃহত্তর কুমিল্লাবাসীর উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, সমিতিকে ইস্পিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে প্রয়োজন সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মানসিকতা। রাফেল ড্র ও অন্যান্য ইভেন্টে বিজয়ী ভাগ্যবানদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথি ও সমিতির কর্মকর্তারা। বনভোজনে ভোজন বিলাসীদের জন্য ছিল ব্রঙ্কসের খলিল বিরিয়ানী রেস্টুরেন্টের সুস্বাদু খাবার। রাফেল ড্র পর্ব পরিচালনা করেন প্রধান সমন্বয়কারী ইউনুস সরকার ও মিয়া মোহাম্মদ দুলাল। সার্বিক তত্ত¡াবধানে ছিলেন মো: এ সিদ্দিক পাটোয়ারী।
সার্বিক সহযোগিতায় হাজী মো: ইসমাইল মিয়া, হাজী নুরুল ইসলাম, মো: নাঈমুল হক, ইকবাল খান, এল আর চুন্নু, মো: সোহেল গাজী, মো: আনোয়ারুল ইসলাম, মো: রহিম ভুইয়। সবশেষে সমিতির সভাপতি ডা: মো: ইনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর আলম সরকার, আহবায়ক ফিরোজুল ইসলাম পাটোয়ারী, প্রধান সমন্বয়কারী ইউনুস সরকার ও বাছেদ ভুইয়া বনভোজনে স্বার্থক ও সফল করার জন্য আমন্ত্রিত অতিথি, সাংবাদিক, বনভোজনকে যারা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে, রাফেল ড্র’র পুরষ্কার দিয়ে, বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। সভাপতি বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষণার পর পড়ন্ত বিকেলে সকলে নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রাওয়ানা দেন।
