২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ১০:৪৯:২৮ পূর্বাহ্ন


ফ্লাইট বিলম্বে যাত্রীদের ২৭,৫০০ ডলার ক্ষতিপূরণের দাবি বার্নি স্যান্ডার্সের
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৭-২০২২
ফ্লাইট বিলম্বে যাত্রীদের ২৭,৫০০ ডলার  ক্ষতিপূরণের দাবি বার্নি স্যান্ডার্সের


সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এয়ারলাইন্সগুলোর নানান অব্যাস্থাপনার  কারণে যাত্রীদের ভয়াবহ  দুর্গতির মুখোমুখি হওয়ার বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে  এক টুইট করে  বলেছেন এয়ারলাইনন্সগুলোকে   তাদের প্রয়োজনে মার্কিন করদাতাদের অর্থ থেকে দেওয়া হয়েছিল ৫০ বিলিয়ন ডলার। অথচ এতো বিপুল পরিমাণ অর্থ লাভ করে তাদের কাছে থেকে কি পাচ্ছে আমেরিকানরা? তারা পাচ্ছে ফ্লাইটের বিলম্ব,লাগেজের অব্যাস্থাপনাসহ নানাবিধ ভোগান্তি। সিনেটর স্যান্ডার্স তার টুইটে  দাবি করেছেন ফ্লাইটে বিলম্ব ঘটলে এয়ারলাইন্সগুলো প্রত্যেক যাত্রীকে জনপ্রতি  ক্ষতিপূরণ দেবেন ২৭,৫০০ ডলার।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বর্তমান সময়েবার্নি স্যান্ডার্স  মার্কিন সিনেটে  তার তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিনিধি পরিষদে পূর্ববর্তী ১৬ বছর ধরে বার্নি  আমেরিকান কংগ্রেসের  ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘকালীন ইন্ডিপেন্ডেন্ট সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন।

পাইলট ধর্মঘট এবং গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সাথে হাজার হাজার  ফ্লাইট হয় বাতিল হয়ে যাচ্ছে অথবা ঘটছে  বিলম্বিত যাত্রা। এইসব নিয়ে  ভ্রমণ  করার জন্য এই সময়টা  একটি উৎকৃষ্ট  সময় নয় -তারপরেও  গ্রীষ্মকালীন সময়ে  সন্তানদের স্কুল ছুটির সাথে নিজেদের কর্মস্থল থেকে  বরাবরের মতো এই সময়টাই আমেরিকান মানুষ বেছে  নিয়েছিলেন নিজেদের  ছুটির জন্য। করোনাকালীন সময়ে দু’বছর ব্যাপী ঘরবন্দি জীবন থেকে চলতি বছরের অবকাশকালীন যাত্রার এমন এক আনন্দময় ছবি এভাবে মলিন হয়ে যাবে সেটি কেউকী ধারণা করেছিল?শুধু তাই নয়এই গ্রীষ্মে ভ্রমণ করতে গিয়ে এয়ারলাইন্সগুলির নজিরবিহীন হারে লাগেজ লাপাত্তা করে দেওয়ায় বহু যাত্রী ভ্রমণ আনন্দের বদলে ভুগছেন  নারকীয়  যন্ত্রণায়।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইনগুলোতে ভ্রমণকারী যাত্রীদের লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার পরিমাণ ইদানিংকালে ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে।এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এবছর লাগেজ হারানোবৃদ্ধি পেয়েছে১৩৫ শতাংশ। বিস্ময়করভাবে  যাত্রীদের মালামাল হারিয়ে যাওয়ার ফলে যাত্রীরা সম্মুখীন হচ্ছেন চরম ক্ষতির ও সীমাহীন ভোগান্তির।

জুলাইয়েপ্রকাশিত এয়ার ট্র্যাভেল কনজিউমার রিপোর্ট অনুসারে, এপ্রিল মাসে প্রায় ২২০,০০০ লাগেজ 'মিস হ্যান্ডেল' এর ফলে  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে গিয়েছিলো ভুল জায়গায়। আগের বছরের  এই সময়ে প্রায় ৯৪,০০০ লাগেজ হারিয়ে গিয়েছিলো। এবার এর সাথে আরো অতিরিক্ত যোগ হয়েছে শত শত হুইলচেয়ার, ওষুধ, গাড়ির আসন এবং স্ট্রলারের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। জানা গেছে  স্টাফ শর্টেজের কারণে সৃষ্টি হয়েছে এই অব্যবস্থাপনা। যাত্রীরা বলছেন তাদের মালামাল  কয়েক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ  থাকলেও এয়ারলাইনন্সগুলির কাছ থেকে এ বিষয়ে পাওয়া গেছে সামান্যই প্রতিক্রিয়া। যাত্রীরা যখন ভ্রমণ করছিলেন  আমেরিকার অভ্যন্তরে  অথচ  তখন যাত্রী ছাড়াই লাগেজ  ভুল ক্রমে চলে গেছে    লন্ডন, প্যারিস ইত্যাদি নানা এয়ারপোর্টে।

এদিকে  হারিয়ে যাওয়া লাগেজের নানান  ভৌতিক গল্পে পূর্ণ হয়ে আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন টিকটক ব্যবহারকারীর কাছ থেকে প্রেরিত ’এয়ার কানাডা লস্ট মাই লাগেজ’- এইরকম শিরোনাম দেওয়া এক চিত্রে দেখাযাচ্ছিলো-চারধারে এলোমেলো পরিত্যক্ত ইতস্তত বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে  আছেলাগেজ আর লাগেজ। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চিত্রগুলিতে দেখা যাচ্ছে ভুলভাবে  স্থানান্তরিত শত শত  দাবিহীন ব্যাগ পড়ে আছে যত্রতত্র।  বিমানবন্দরটি অবশেষে ঘোষণা করেছে যে এই সমস্যাগুলি প্রশমিত করার প্রয়াসে তারা প্রতিদিন ১০০,০০০  যাত্রী সীমাবদ্ধ করবে।

এক টিভি নিউজে দেখা গেছে যে ডাবলিন বিমানবন্দরের ব্যাগেজ-ক্লেইম এলাকায় প্রবেশ করার জন্য একজন যাত্রীকে বিমানের নতুন করে একটি টিকিট কিনতে হচ্ছে যাতে  সেই  এলাকায়প্রবেশ করে তিনি তার হারিয়ে যাওয়া ব্যাগগুলি খুঁজে নিতে পারেন পারেন।


শেয়ার করুন