২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ০১:৫০:৫৯ অপরাহ্ন


বিএনপির গতিবিধি নিয়ে সরকার টেনশনে
রহস্যেঘেরা বিএনপির জামায়াত ত্যাগ
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৯-২০২২
রহস্যেঘেরা বিএনপির জামায়াত ত্যাগ


জামায়াতের সাথে দীর্ঘদিনের সর্ম্পকে ইতি টানার খবরে বিএনপি যতো না চিন্তিত তার চেয়ে বেশি অখুশি ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে খোদ সরকার ও তার দল আওয়ামী লীগ। এনিয়ে বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরেই বেশি আলোচিত ও তোলপাড় হচ্ছে। সরকারের মধ্যে এনিয়ে নানান ধরনের চাপা গুঞ্জন বিরাজ করছে। তারা মনে করে এটা এক ধরনের দেশী-বিদেশী গভীর যড়যন্ত্র। খবর সংশ্লিস্ট সূত্রের। 

বিএনপি-জামায়াতের দুই যুগ 

বিএনপির সাথে ১৯৯৯ সালে শক্তভাবে গড়া জোটে যোগ দেয় জামায়াতে ইসলামী। এভাবে তাদের সাথে জোটবদ্ধ হওয়া থেকে শুর করে সরকার গঠন পর্যন্ত সম্পর্ক চলে টানা দুই যুগ। জামায়াতকে জোটের সঙ্গী করে ২০০১ সালে ক্ষমতার স্বাদ পায় বিএনপি। অন্যদিকে জামায়াত পেয়েছে তাদের দলের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেও দলটির বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রীত্ব পেয়ে যায় এধরনের জোট করার সুবিধায়। এধরনের পাওয়াকে জামায়াত তাদের নেতাকর্মীদের বোঝাতে চেষ্টা করে বিরাট রাজনৈতিক বিজয় হিসাবে। এমনকি বলা হয়ে থাকে বিএনপিকে ক্ষমতার স্বাদ নিয়ে সমর্থন দেয়ার সুবাধে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তার বদলে জামায়াত ও তার দলের নেতাকর্মীরা সারা দেশে শক্তভাবে দল গঠনে সমর্থ হয়, দৃঢ় হয় তাদের রাজনৈতিক অবস্থান। তাদের দলের নেতা কর্মীরা সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হাউজিং ব্যবসা গড়ে তুলে। এর পাশাপাশি বিএনপির দুর্বলতার সুযোগে জামায়াত নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান সংস্থায় কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়।

২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপিকে তাদের প্রাণের অঙ্গ সংগঠন বলে দাবিদার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের দূরে ঠেলে দেয়। কাছে টেনে নেয় জামায়াতের প্রাণের অঙ্গ সংগঠন বলে পরিচিত ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীদের। যারা ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে বিএনপিকে ১৯৯১ এবং ২০০১ সালে ক্ষমতায় বসিয়েছিল তাদের অনেককে সন্ত্রাসী দুর্নাম দিয়ে ক্রস ফায়ারে দেয়ার পেছনেও জামায়াতের ইন্দন ছিল বলে সেসসময়ে অভিযোগ উঠে। ছাত্রদল-যুবদলের বিরুদ্ধে এমন দুর্নাম ছড়িয়ে বিএনপির থেকে নিজেরা সৎ ও দেশপ্রেমিক সেজে সুযোগ- সুবিধা নেয়ার অভিযোগ জোড়ালো হলেও বিএনপি তাতে নজর দেয়নি। 

খালেদা’কে অকৃতজ্ঞ বলা হয়

১৯৯৯ সালে চারদলীয় জোট গঠন করে জামায়াত-বিএনপি। এসময় সঙ্গে ছিল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি এবং আজিজুল হকের ইসলামী ঐক্যজোট। চারদলীয় জোট গঠন থেকে এক পর্যায়ে এরশাদ এবং আজিজুল হক জোট ছেড়ে দেন। কিন্তু জামায়াত-বিএনপি সম্পর্কে ছেদ পড়েনি। জোট গঠনের দুই বছর পরে ২০০১ সালে যে জাতীয় নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসে এ জোট। এসময় জামায়াত বিএনপির কাছ থেকে অনেক অনেক বড়ো কিছু দাবি করে। এক পর্যায়ে জমায়াতের শীর্ষ নেতাদের কয়েকজনের সাথে বেগম খালেদার দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। বিএনপির এক শীর্ষ নেতা এই প্রতিবেদককে কিছুদিন আগে আলাপ কালে জানান, জামায়াত ২০০১ সালে বিএনপির বিজয়ের সাথে তাদের দলের নেতাকর্মীদের অবদান আছে বলে খালেদা জিয়াকে সরাসরি বলে বসে। এবং এর বিনিময়ে তারা মন্ত্রীত্ব দাবি করেন ।

এসময় বেগম খালেদা জিয়া জমায়াত নেতাদের মন্ত্রীত্ব ছাড়া অন্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে দল গঠন করতে পরামর্শ দেন। শোনা যায় এসময়ে খালেদা জিয়াকে কয়েকজন শীর্ষ নেতা বলে বসেন, আপনি এখন আমাদের সাথে বেঈমানী করছেন? উত্তরে খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা মন্ত্রীত্ব পেলে দেশে অনেক কথা সমালোচনা হবে। আপনাদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে চলাফেরা নিয়ে পরে আমাকে ও আপনাদের অনেক মাসুল দিতে হবে। তারচেয়ে বরং অন্যসব সুযোগ সুবিধা নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু তারা বেগম খালেদা জিয়াকে বেশ চাপাচাপি করে মন্ত্রীত্ব দেয়ার দাবিকে বাস্তবায়নেই মন দেন। পেয়ে যান। আর এমন সুযোগ পেয়ে জামায়াতের নেতাকর্মী রজনৈতিক অঙ্গনসহ প্রশাসনে বেশ ক্ষমতাধর হয়ে উঠে। তবে জামায়াত শুধু খালেদা জিয়ার বিএনপি থেকেই সুযোগ পায়নি। দলটি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সময় ১৯৭৯ সালে পুনরায় রাজনীতির সুযোগ পায় স্বাধীন দেশে। 

জামায়াতের কাছে কি পেলো বিএনপি?

জামায়াতকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ থেকে নিয়ে সব ধরনের সুযোগ দিলেও বিএনপি তাদের কাছ থেকে বড়ো ধরনের সঙ্কটে আশাব্যঞ্জক সাড়া পায়নি। বিশেষ করে ২০০৬ থেকে ২০২২ পর্যন্ত  দেশের রাজনীতিতে অনেক বড়ো সঙ্কটে বিএনপির পাশে দাঁড়ায়নি তারা। বরং ২০০৮ সালে তারা তাদের সৎ মানুষের শাসন প্রতিষ্ঠান ডায়ালগ দিয়ে রাজনৈতিক গুটি চেলেছিল বলে শোনা যায়। অন্য দিকে বিএনপির সাথে জামায়াতের সর্ম্পক থাকার কারণে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশের একটি বড়ো অংশ যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে এবং এর পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা বলে তাদের সাথে দলটির (বিএনপির) বিরাট গ্যাপ তৈরি হয়ে গেছে।

একমাত্র জামায়াতের সাথে সর্ম্পক থাকার কারণে বিএনপিকে দীর্ঘ ২০বছর স্বাধীনতা বিরোধী, সাম্প্রদায়িক শক্তি হিসাবে দেশে বিদেশে বলা চলে পুরো আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে এক ঘরে করে ফেলা হয়। বিএনপির সভা সমাবেশসহ এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও তাদের দলের নেতাকর্মীদের সাথে মুক্তিযুদ্ধে স্বপক্ষের শক্তির সাধারণ জনগণ থেকে নিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এড়িয়ে চলে। বলা চলে দেশে বিদেশে আন্তর্জাতিব অঙ্গনে বিএনপি একটি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সাম্পদায়িক এমনকি কেউ একে জঙ্গী সংগঠন বলতে কুন্ঠা করতো না। প্রায় দুই যুগ ধরেই বিএনপিকে এমন দুর্নাম বয়ে বেড়াতে হয়। সত্যিকারের বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন বদ্ধমূল যে বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ম্লান করে দিযেছে জামায়াতের সাথে দলটির সঙ্গ দেয়ার কারণে। এমনকি ২০০৮ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে জামায়াতই বিএনপিকে বাধ্য করে। বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী সেদিন ঔই নির্বাচনে অংশ নিতে চাননি। অন্যদিকে ২০১৪ সালেও জামায়াত তাদের নিজস্ব এজেন্ডা মোতাবেক বিএনপিকে সেই নির্বাচনে অংশ না নিতে পরামর্শ দেয়। যার খেসারত বিএনপিকে দিতে হচ্ছে বলে মনে করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। 

সরকার যে কারণে বিব্রত ও উদ্বিগ্ন 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম কৃতিত্ব তারা জনগণে দীর্ঘদিনের দাবি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে দন্ডিত করা হয়েছে জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতার ফাঁসি। আওয়ামী লীগের এমন পদক্ষেপে বিএনপি সরাসরি সমর্থন না দিলেও বিভিন্ন রায়ের পরে তারা এধরনের নিরবতা দেখিয়েছে। এটাই ছিল সরকারের আরেক বিজয়। কিন্তু এতো শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার পরও সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করছে না যা এখনো বিরাট প্রশ্ন হিসাবে দেখা দিচ্ছে রাজনৈতিক মাঠে। অনেকে মনে করেন মানবতাবিরোধী অপরাধে দন্ডিত হয়ে জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতার ফাঁসি হলেও দলটির (জামায়াত) অর্থের উৎস এবং লাভজনক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেনি আওয়ামী লীগ। এমন অভিযোগ আছে যে এসব প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ-জামায়াত মিলে মিশে চালাচ্ছে।


তবে এসব কারণে যে তারা জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিচ্ছে তা কিন্তু নয় বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন। কেননা সরকার চাইলেই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে পারে। কিন্তু তারা তা করবে না কারণ তাদের ইচ্ছা জামায়াত বিএনপি’র সাথেই জোটবদ্ধ বা যেকোনোভাইে হোক থাকুক। এতে তারা দেশে বিদেশে বিএনপির বিরুদ্ধে দারুণভাবে প্রচার প্রপাগান্ডা চালাতে পারবে, এবং এনিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ থাকে। পাশ্ববর্তী দেশ থেকে নিয়ে সারা বিশ্বে প্রমাণ করতে পারবে বিএনপি জামায়াতের মতো একটি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছে। শোনা যায় এমন অভিযোগ দেখিয়েই বিএনপিকে জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দলটিকে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে অতীতে। ফলে এখন যদি বিএনপিকে জামায়াত ছেড়ে চলে যায় তাহলে জামায়াতের চেয়ে আওয়ামী লীগ নিজেদের জন্য ক্ষতি বেশি মনে করে। কারণ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতির বিরুদ্ধে একটি বিরাট ডানপন্থী সমর্থকগোষ্ঠী যেমন আছে তেমনি সরাসরি দেশের ভেতরে থেকে মুক্তিযুদ্ধ অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি উদার গণতান্ত্রিকমনা বাম প্রগতিশীদের একটি অংশও রয়েছে। যারা আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপিকে পছন্দ করে। তবে একমাত্র জামায়াতের কারণেই তারা বিএনপির সাথে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে কাছেও ভিড়ছে না। তাই জামায়াত ত্যাগের খবরে বিএনপির সাথে এধরনের শক্তির আবারো উঠা বসা শুরু হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে তাতে করে বিপাকে পড়বে ক্ষমতাসীনরা।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ক্ষমতাসীন সরকার বিষয়টি কেবল দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেনি। তারা মনে করছে দেশি বিদেশী চক্রান্তের কারণেই হঠাৎ করে জামায়াত বিএনপির সঙ্গ ছাড়ার খবর নেট দুনিয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কারণ এমনিতেই বিভিন্ন জোট গড়া ও আন্দোলনের খবরের পাশাপাশি বিএনপির গতিবিধি নিয়ে সরকার টেনশনে আছে। এরই মধ্যে জামায়াত নিয়ে এমন খবরে তারা বিচলিত। অপরদিকে আওয়ামী লীগের ত্যাগি নেতাকর্মীরাও উদ্বিগ্ন। কারণ তারাও সবসময় চায় বিএনপি-জামায়াত সর্ম্পক অটুট থাকুক। তা নাহলে বিএনপি ঠেকাওয়ের নামে আওয়ামী লীগ জামায়াতের সাখে সখ্যতা বাড়িয়ে তুললে ত্যাগিরা বিপাকে পড়বে। কারণ এমনিতেই আওয়ামী লীগে হাই ব্রীড নেতার জ্বালায় নেতাকর্মীরা বিপাকে। তারপরে জামায়াতকে যদি সরকারকে দলে বিভিন্ন ক্ষেত্র তৈরি করে স্থান দেয়া তাহলে তারা আরো ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাছাড়া এমন অভিযোগও আছে আওয়ামী ও তার অঙ্গসংগঠনে জামায়াতের অনুপ্রবেশ ঘটেছে গত কয়েক বছরে মারাত্মকভাবে।  

শেষ কথা

২০১৩ সালে হাইকোর্টের রায় অনুসারে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধীকরণ অবৈধ বলে ঘোষিত। এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করেও জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা যায়। অন্যদিকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে তো রিট দায়েরের প্রয়োজন নেই, সংসদে তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে সরকার এখনই তো সেটা করতে পারে। এরপরেও ভিন্ন নামেও নিবন্ধনের সুযোগ নেই জামায়াতের। এসবই হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের মতামত। প্রশ্ন হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার কেনো জামায়াতের বিরুদ্ধে এধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না?


রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন একমাত্র রাজনৈতিক কূটকৌশলের কারণেই তা করা হচ্ছে না। কারণ সরকার তা বিভিন্ন এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে জামায়াত বিএনপির সাথে থাকাই তাদের জন্য নিরাপদ। বিএনপিকে রাজনৈতিক ভাবে ঘায়েল করা যায়। দেশে বিদেশে বিএনপিকে প্রশ্নের মধ্যেও রাখা যায়। কিন্তু তাদের সে পরিকল্পনায় চ্ছেদ পড়লো। জামায়াত সরে গেলো বিএনপি থেকে। এটা কি কোনো বড়ো ধরনের যড়যন্ত্র না কি নতুন খেলা? দেশি বিদেশী কোনো যড়যন্ত্রের খেলা? কেননা বিএনপি থেকে জামায়াতকে সড়িয়ে দিলে রাজনৈতিক অঙ্গনে অন্যরকম মেরুকরণ হতে বাধ্য, যার ফল বিএনপি দীর্ঘদিন ঘরে তুলে নিতে পারে। সরকার সেধরনের সুযোগটি আদৌ রুখে দিতে পাররে কি এটাই তাদের দুশ্চিতা ও মাথা ব্যাথা বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।

শেয়ার করুন