৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৬:৫৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


উত্তেজনাপূর্ন আফগানিস্তান পরাজিত
পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার মধ্যে এশিয়া কাপের ফাইনাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৯-২০২২
পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার মধ্যে এশিয়া কাপের ফাইনাল শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৬ বলে ১১ রানের টার্গেটে প্রথম বলে ছক্কা হাকানোর পর দ্বিতীয় বলেও ছক্কা হাকান নাসিম শাহ। এরপরই এমন দৌড়। আম্পায়ারের ছক্কার সিগনাল। কে দেখে। এশিয়া কাপের ফাইনাল কর্নফার্ম। সাথে উত্তেজনাপূর্ন ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানো। এটা তো ওই মুহুর্তের সেরা চিত্র/ছবি সংগৃহীত


এশিয়া কাপের ম্যাচের উত্তেজনায় ক্রিকেট অনিশ্চিয়তার খেলা সেটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। প্রায় প্রতিটা ম্যাচেরই একই চিত্র। পাকিস্তান আফগানিস্তান ম্যাচেও তাই। লো’স্কোরিং এ ম্যাচে জিততে শেষ ওভারের নাটকীয়তা ছিল পাকিস্তানের।


শেষ ওভারে প্রয়োজন ১১ রান। পাকিস্তানের শেষ উইকেট জুটি। আউট হওয়া মানেই আফগানিস্তান জিতে যাবে। আর পাকিস্তান জিততে ৬ বলে করতে হবে ১১। এমন পরিস্থিতিতে সবচে বেশী টেনশনে ছিল ভারত। কারন পাকিস্তানের পরাজয় মানেই ভারতের ফাইনালের স্বপ্ন জিইয়ে থাকা। আফগানদের স্বপ্নও জিইয়ে থাকে সে সাথে। কিন্তু সবকিছু মুহুর্তে ওলটপালট করে দিলেন নাসিম শাহ। আফগান পেসার ফজল হক ফারুকীর করা ওই ওভারের প্রথম বলটি ফুলটস দিয়েছিলেন।


ভেবেছিলেন, লো’য়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান এটা হজম করতে পারবে না। কিন্তু কী। বলটির জন্যই যেন অপেক্ষা ছিল নাসিমের। সোজা বলটি পাঠিয়ে দেন শুন্যে ভাসিয়ে সীমানার ওই প্রান্তে। ছক্কা। তুমুল স্টেডিয়াম যেন মেতে ওঠে। পাচ বলে পাচ রান। এ পরিস্থিতিতে আবারও সেই একই ধরনের বল অনেকটাই। যদিই ছিল কিছুটা ইয়র্কার লেন্থে। কিন্তু নাসিম এটাকেও উড়িয়ে সেই একই রকম সীমানার ওই পাড়ে ফেলেন। বলটির গন্তব্য দেখার আগেই পাকিস্তান দল যেন আনন্দে মেতে ওঠে। গ্যালারীতে থাকা পাকিস্তানের সমার্থকরাও হাফ ছেড়ে বাচেন । সম্ভব্য আফগানিস্তানের মত একটি দলের কাছে হার অন্তত এড়ানো গেছে। তবে পাকিস্তান দলের উচ্ছাস ছিল এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার। 

এ জয়ে শ্রীলঙ্কার প্রতিদ্বন্ধি হলো তারা ফাইনালে। এতে করে আফগানিস্তান ও ভারত ব্যার্থ হলো ফাইনালে উঠতে। যদিও তাদের খেলা রয়েছে। কিন্তু তা নিছক আনুষ্ঠানিকতা।

মাঠে পাকিস্তানও  আফগান ক্রিকেটারদের মধ্যে কিছুটা স্লেজিং ছিল। এতেই উত্তেজনা ও পাকিস্তান দলের কারো কারো উচ্ছাস। তবে কেউ কেউ ক্রন্দনরত আফগান ক্রিকেটারদেরও শান্তনা দেন।

এর আগে প্রথম ব্যাটিং করে আফগানিস্তান সংগ্রহ করেছিল ১২৯ রান ৬ উইকেটে।  ইব্রাহীম জারদানের ৩৫ রানের সুবাদে ওই রান করেন তারা। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে হারিস রউফ নেন দুই উইকেট।

এরপর খেলতে নেমে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরাও ধুকেছে। তবে ইফতেখার আহমেদ, শাদাফ খান, ও শেষের দিকে নাসিম শাহের ব্যাটিং নৈপুন্যে ৪ বল হাতে রেখে পৌছায় জয়ের মার্কে। 

ফজল হক ও ফরিদ নেন তিনটি করে উইকেট। 


শেয়ার করুন