ডারবানে প্রচন্ড চাপে পরে গেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসের সুচনাতেই তিন উইকেট ওই প্রেসারটা মাথায় তুলে নিয়েছে তারা। দলের রান দ্বিতীয় ইনিংসে সবে ১১। আজ ম্যাচের শেষ দিন। বাকী সাত উইকেটে ক্রিজে টিকে থাকাই এখন বড় চ্যালেঞ্জের। যদি টিকে যাওয়া যায়, তাহলে ম্যাচটা ড্র হবে। তবে জয়ের চিন্তাটা মাথায় আনা যাচ্ছেনা আর। কেননা শেষ দিনের তিন ইনিংসে জিততে করতে হবে ২৬৩। উইকেট না হারালে একটা রিক্স নিলে নিতেও পারতো। কিন্তু মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ও মুমিনুল আউট হয়ে যাবার পর অমন টার্গেট এখন ফিকে হয়ে গেছে।
ক্রিজে রয়েছেন মুশফিকুর রহীম ও নাজমুল হোসাইন শান্ত। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসে দ্বায়িত্বশীলদের ব্যার্থতায় যখন মাহমুদুল হাসান জয় অসাধারন এক ইনিংস খেলে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। এখন এদের মধ্যে কাউকে সেভাবে দ্বায়িত্ব নিতে পারলে সন্মান বাঁচবে। নতুবা পরাজয়ের গ্লানিটাও চলে আসতে পারে। তবে ম্যাচের শেষদিন ব্যাটিং করা চ্যালেঞ্চের বিষয়। দিন যত গড়ায় উইকেটও ভেংগে যায়। পারফেক্ট উইকেটের ধরন এমনই।
তবে ডারবানে পঞ্চম দিনে ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে কেমন আচরন করে উইকেট সেটা দেখার বিষয়। তবে চতুর্থ দিনের শেষ মুহুর্তে প্রোটিয়া স্পিনার কেশব মহারাজ দুটি উইকেট নিয়েছেন। হারমার বাকীটি। ফলে স্পিনারদের দাপট চলবে বলেই মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের স্পিন খেলার অভ্যাস মন্দ না। কিন্তু সমস্যা হয়ে গেছে তিনটি উইকেটের দ্রুত পতন। রিক্সটা নিতে কঠিন। এ মুহুর্তে অবশ্য সেসন বাই সেসন ধরে খেলতে হবে। এবং অন্যসবাইকেই দ্বায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিংটা করতে হবে। তবে এটা ঠিক গোটা বাংলাদেশই চেয়ে থাকবে আজ ব্যাটসম্যানদের দিকে।
প্রোটিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছে। ২০৪ রানে অলআউট হয় তারা। মেহেদি হাসান মিরাজ ও এবাদত নেন তিনটি করে উইকেট। তাসকিন নিয়েছেন দুটি। ডিন এলগার সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন দ্বিতীয় ইনিংসে।