২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০১:২২:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


নাটক আমাকে নিয়ে গেছে স্বপ্নের কাছাকাছি
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৪-২০২২
নাটক আমাকে নিয়ে গেছে  স্বপ্নের কাছাকাছি মেহজাবীন চৌধুরী


দেশ’কে মেহজাবীন চৌধুরী

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। নাটকের পর ওয়েব ফিল্মেও তিনি এখন বেশ জনপ্রিয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছিলো তার প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘রেডরাম’। অনলাইন মধ্যমগুলোতে এটি এখন দর্শক চাহিদার শীর্ষে। এদিকে সম্প্রতি তিনি পূর্ণ করলেন অভিনয় ক্যারিয়ারের একযুগ। এসব নিয়ে তিনি কথা বলেছেন দেশ পত্রিকার সাথে। 

প্রশ্ন : সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত আপনার প্রথম ওয়েব সিরিজে বেশ সারা ফেলেছে। এটি কি নাটকে অভিনয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে? 

মেহজাবীন চৌধুরী : নাটক এবং ওয়েব সিরিজ দুটোই আলাদা। আমার মনে হয় না একটি আরেকটির উপর কোনো প্রভাব ফেলবে। তাছাড়া আমি নাটকের মানুষ। এই নাটক থেকেই আমার জীবনের এত কিছু অর্জন। স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া। অনেক মানুষ ওটিটির কাজ না দেখে নাটকই দেখেন, দেখবেন। সুতরাং এই মাধ্যমটি কখনোই ছাড়ব না। তবে বাস্তবতা হলো ফিল্ম বা ওয়েব ফিল্মের বাজেট অনেক বেশি থাকে। সেখানে গল্পের ডেভেলপমেন্ট, স্থায়িত্বকাল বেশি থাকে। ক্যারেক্টারাইজেশনের সময় পাওয়া যায়। চরিত্রে উন্নতি, চরিত্রটিকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ থাকে। এ কারণে ওটিটিতে কাজ করলে এই সুবিধাগুলো পাওয়া যায়। ৪০ মিনিটের টেলিভিশন নাটকে সময়টা কম। চরিত্রের ডেভেলপমেন্টের সুযোগ কম থাকে। দুই মাধ্যমে দুই রকম ভালো লাগা কাজ করে।


প্রশ্ন : আপনার ওয়েব সিরিজ ‘রেডরাম’ বড় পর্দায়ও দেখানো হয়েছে। দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পেলেন?

মেহজাবীন চৌধুরী : আসলে এর মাধ্যমে দর্শক অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। আমি বড় পর্দায় কাজ করব কি করব না, এমন প্রশ্ন কেন আসবে এই যে দেখুন, না চেয়েই বড় পর্দায় আমাকে পেয়ে গেছেন দর্শক। দর্শক হয়তো বুঝে ওঠার আগেই আমি বড় পর্দায় চলে এলাম। সুতরাং কখন আসব, কীভাবে আসব, জানা নেই আমার। সবকিছু সময় ঠিক করে দেবে।


প্রশ্ন : শোবিজে আপনার এক যুগের ক্যারিয়ার। এই পথ চলায় সংগ্রাম কেমন করতে হয়েছে?

মেহজাবীন চৌধুরী : এখানে সবাই আমাকে যথেষ্ট সম্মান ভালোবাসা দিয়ে রেখেছে। আমি যে এতদূর আসতে পেরেছি এখানে আমার সহকর্মীদের অবদান রয়েছে। তারা যদি আমাকে এই পেশার প্রতি সিরিয়াস হতে না বলতেন, তাহলে হয়তো আমি হতাম না। হয়তো আমার চেষ্টাতেও কমতি থাকত। সেদিক থেকে বলব আমার অ্যাক্টিং ক্যারিয়ারের জার্নিটা খুব সুন্দরভাবে উপরের দিকে গিয়েছে। এই সময়টাতে অনেক ভালো ভালো নির্মাতা, শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছি। আর বাধাটা ছিল আমার নিজের দিক থেকে। শুরুর দিকে যখন বাইরের দেশ থেকে এখানে এসেছি তখন এডজাস্ট করতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। প্রথম দিকে ভাষা নিয়ে আমার সমস্যা হচ্ছিল। পরে নিজের চেষ্টা ও চর্চার মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠতে পেরেছিলাম।


প্রশ্ন : ছোট থেকেই কি মিডিয়াতে কাজ করার স্বপ্ন ছিল?

মেহজাবীন চৌধুরী : অভিনয় করব ছোট থেকে এমন স্বপ্ন ছিল না। আমি সবসময় চেয়েছি এমন একটা কাজ করব, সেটা যে পেশায় হোক। যেখানে কাজের জন্য সবাই আমাকে চিনবে জানবে। সেটা পর্দায় দেখবে, নিউজে আমার খবর পড়বে। তখন থেকেই চেয়েছি যে কাজটাই করব সে কাজ দিয়ে যেন শীর্ষে যেতে পারি। ছোটবেলায় অভিনয়ের চেয়ে আমি স্পোর্টস পছন্দ করতাম। নিজেও দৌড়ঝাঁপ করতে পছন্দ করতাম। সে সময়ে অনেক মেডেলও জিতেছিলাম। তখন চিন্তা করতাম বাংলাদেশে আসলে আমি বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করব। বাংলাদেশে আসার পর সেটা পরিবর্তন হয়ে যায়। লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করি। তারপর সেটা জিতে যাওয়ার পর লাইফের ট্র্যাক চেঞ্চ হয়ে যায়।


প্রশ্ন : এক যুগে কতটা প্রাপ্তি ঘটেছে?

মেহজাবীন চৌধুরী : আমি যতটুকু প্রাপ্য তার চেয়ে বেশি পেয়েছি। অবশ্যই অনেক গুণ বেশি পেয়েছি। যে পরিমাণ ভালোবাসা, পরিচিতি, সহযোগিতা আমার দর্শক, সহশিল্পী, নির্মাতাদের কাছ থেকে পেয়েছি তার জন্য তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। অল্প বয়স থেকে আমার ক্যারিয়ার শুরু। তাই অনেকে ছোট বোন বা মেয়ের মতো করে সবার কাছে নিয়েছে। এবং আমাকে আপন মনে করেই শিখতে সহযোগিতা করেছেন। সেদিক থেকে বলব আমি অনেক অনেক লাকি। এত দ্রুত সবার আপন হয়ে গিয়েছি এটা ভাগ্যের ব্যাপার।


প্রশ্ন : ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার নিয়ে পরিকল্পনা কী?

মেহজাবীন চৌধুরী : এই যে অভিনয়ের ১২ বছর হবে এটাও কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আল্লাহ যদি চান ভালো কাজ করতে পারলে দর্শকরা যেদিকে নিয়ে যান সেদিকে যাব।


প্রশ্ন : অভিনয়ে চরিত্র নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

মেহজাবীন চৌধুরী : চরিত্র নিয়ে যে একই গ-িতে থাকতে চাই না সেটা এতদিনে সবাই বুঝে গিয়েছে। আমি সবসময় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করতে আগ্রহী। আমি চাই প্রতিটা চরিত্র খুব কঠিন, চ্যালেঞ্জিং হোক। যাতে কাজটা দ্রুত করে ফেলতে পারি।



শেয়ার করুন